দূরত্ব
কুয়াশায় ঢাকা ধুলোবালি নগর
ঝরে যাওয়া পাতার হাহাকার।
তুমিহীন এই একলা শহর,
একলা শহুরে গলি।
নিস্তব্ধ এই একলা সকাল,
একলা চা'য়ের কাপ।
রুক্ষ এই একলা বাতাস,
একলা হেটে চলা।
গভীরতা আর গুরুত্বে হাজার বছর,
বুঝবে কে? যে কাটায়নি,
তুমিহীন একা, একলা একটি প্রহর।
সুহাসিনী
তোমার জন্য আনা হয়েছিল সারা পৃথিবী খুঁজে শেষ একশত আটটি নীলপদ্ম,
তুমি তা অবহেলায় পায়ে ঠেলেছিলে।
তোমার জন্য লড়াইয়ে নেমেছিল রোমের সব যুবক,
তুমি তা অবহেলায় পায়ে ঠেলেছিলে।
তোমার জন্য বেধেছিল গোটা একটা বিশ্বযুদ্ধ,
তুমি তা হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলে।
আমি তোমার এই অবজ্ঞা, অবহেলার মানে ঠিকই খুজে পেয়েছি পাইনি শুধু তোমার হাসির মানে।
কি চমৎকার সে হাসি তোমার।
ভেলেরিয়ান স্টিলের থেকেও ধারালো,
বরফের জগতের রাজাকেও যে কুপোকাত করতে পারে।
আমি তো সেথায় নস্যি।
আমি বারবার ঘায়েল হয়েছি তোমার হাসিতে।
মরণের ভয় বাধিয়েছি, "যদি এই হাসি না পাই দেখিতে মরণের পরে!"
এক আকাশ নীরবতা ভেঙে হাসি আসে তোমার।
এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে হাসি আসে তোমার।
আমি বারবার প্রেমে পড়ি,
পড়তে চাই,
মিশতে চাই,
মিশাতে চাই,
মিশে যাই,
তোমার হাসির প্রেমে।
আলো
অন্ধকারে আলোর প্রতীক্ষা হয়ে আসো তুমি,
আলোয় ঝলমলে, জীবন্ত সকাল হয়ে।
সঙ্গমের নেশায় মাতাল হয়ে থাকা রাত্রিতে,
কাছে পাবার প্রবল আকর্ষণে,
ঠোঁটের সাথে মিশে যাওয়ার বাসনাতে,
মন আর দেহের সন্ধিক্ষণে,
এমনো,
বৃষ্টি ঝড়েছিল মনের আকাশে, বহুকাল আগে!
আজ এই অন্ধকারে, শহরের অলিগলি ভুলে
তুমি হারিয়েছো কোন দ্বীপ, উপকূলে।
গোলাপি রঙা আলতা পায়ে দিয়ে,
তুমি এই পথে আবার ফিরে আসো।
পূর্ণিমা চাঁদের মতো টিপ মাথায় দিয়ে,
সহস্র মিলিয়ন জোনাকিদের সাথে নিয়ে,
অন্ধকারের আলো হয়ে,
তুমি এই পথে আবার ফিরে আসো।