লেড বাল্বের ঠিক নিচে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন। পরনে ধবধবে সাদা শার্ট আর লুজ কালো প্যান্ট। যুবক পূর্বপরিচিত না হওয়া সত্ত্বেও মুখোমুখি হতেই সওয়াল শুরু করলেন। জিজ্ঞেস করলেন কাফরুল কচুক্ষেত নিয়েই কী ক্যান্টনমেন্ট নাকি এগুলো ক্যান্টনমেন্টের বাইরে?
ইতস্তত যুবক জবাব দেওয়ার বুক পকেটে রাখা ফোনটি দেখিয়ে তিনি আবার বললেন, আমার ফোনটা বাজলে আমাকে বলবেন।আমি কানে শুনিনা। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থেকে আমার মেয়ে ফোন করবে।মেয়ের অফিস শেষ হয় ছয়টায়।
যুবক ইশারায় তাকে আশ্বস্ত করলেন।
সিগারেটে শেষ টান দিয়ে তিনি আবার যুবককে জিজ্ঞেস করলেন,সিগারেট খেলে কী অযু ভাঙ্গে?
এইবারও যুবক উত্তর দেয়ার আগে তিনি নিজেই জবাব দিলেন, না ভাঙ্গে না। এইটা মাকরুহ। আমার আসরের অযু আছে। এইটা দিয়েই মাগরিব পড়া যাবে।ঠিক না?
যুবকের জবাব ছিল না। অবশ্য তিনি জবাবের প্রত্যাশা করছেনও না।
এইবার প্রস্থানে উদ্যত হলেন তিনি। পাশের বেঞ্চিতে রাখা শরীরে সংযুক্ত স্যালাইন হাতে তুলে নিলেন।শরীর থেকে নিসৃত গাঢ় ঘন রক্ত জমা হচ্ছে সেখানে।
"আমার ফোন কী বেজেছিল? আমার মেয়ে ফোন দিয়েছিল?" আরেকবার জিজ্ঞেস করলেন তিনি। যুবক ইশারায় না সূচক জবাব দিলে ভদ্রলোক একহাতে স্যালাইন এবং অন্য হাতে ফিচার ফোনটির কললিস্ট চেক করতে করতে পাশের হাসপাতালে প্রবেশ করলেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৮