"প্লিজ কাম ব্যাক মাই লাভ! আর কখনো রাগ করে পার্টি থেকে চলে আসব না। পাশা ডু ইউ হিয়ার মি?" আবছায়া অন্ধকারে পাশার সমাধিফলকের সামনে শারলিকে দেখা গেল রজনীগন্ধার তোড়া হাতে।পাশার প্রস্থানের আজ এক বছর।গত বছর নভেম্বরের এক মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো অবস্থায় নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের পিলারের সাথে পাশার গাড়ির সংঘর্ষ হয়। দুমড়ানো মোচড়ানো গাড়িতেই পাশা দিন না ফুরানোর দেশে পাড়ি জমায়।
সন্ধ্যাবেলা সমাধিস্থলটি ভীষন নির্জন। "আমাকে শুনতে পাচ্ছ পাশা?" শারলি নিচুস্বরে আরেকবার ডাকে পাশাকে। সমাধির অভ্যন্তর হইতে কোন সাড়া পাওয়া না গেলেও শারলির মনে হলো কে যেন ঝোপের অন্ধকার হতে তার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অবচেতন মনের ভাবনা ভেবে শারলি স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে। খানিক পরে কারো নিঃশ্বাসের আওয়াজ শুনতে পায় তার গ্রীবার পিছনে।একটা শীতল স্রোত বয়ে যায় তার শিরদাঁড়ায়।পিছনে তাকানোর সাহস হয় না তার । এই নিঃশ্বাসের আলামত তার বড় চেনা। সমাধিস্থল ছেড়ে দ্রুত গাড়িতে উঠে বসে সে।
কুয়াশা নামতে শুরু করেছে ধুলার শহরে। শারলি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দেখে ধুলার দাপটে পরাস্ত কুয়াশার আগমন ভঙ্গিমা ।রাত ৮টা ২৫ মিনিটে সাগুফতা হাউজিংয়ের ২৮/বি ম্যাগনাম ফ্ল্যাটের কলিংবেল বেজে উঠে । একবারই মাত্র বাজে। কলিংবেল একবার বাজানোর রেওয়াজ ছিল তার ।শারলি দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেয়। মাথায় কালো হ্যাট, পায়ে ক্রীম কালারের বুট এবং নীল জ্যাকেট পড়া পাশা দাঁড়িয়ে আছে।
"আই এ্যাম ব্যাক ডার্লিং।" বলে রজনীগন্ধার তোড়াটি বাড়িয়ে দেয় শারলির দিকে। তোড়াটির রাপিং পেপারের দিকে এক পলক তাকিয়েই শারলি বুঝতে পারে এই তোড়াটি নিয়েই সে আজ সমাধিস্থলে গিয়েছিল ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৬