


বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত
এখানকার মাটি খুবই উর্বর। বীজ ফেলে পানির ব্যবস্থা করলেই ফসল ফলে যায়। চ্যনেল আইয়ে ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রচার করা হয়েছিল। কি হয় না এখানে? ধনেপাতা, মরিচ থেকে শুরু করে আলু, লাউ, টমেটো, ফুলকপি, পাতাকপি, কচু, পেঁয়াজ, করোলা, পালং শাক, মুলা, শিম প্রায় সবই পাওয়া যায়।
আমাদের বাসার পাশের জমিতেই এসব চাষ করা হয়। আমরা প্রায় বিকালেই সেখানে ঘুরতে যাই। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী সেখানে কাজ করে। আমরা তাদের সাথে কথা বলি, সময় কাটাই। এই ক্ষেতের যিনি প্রধান তিনি সৌদি মালিকের কাছ থেকে জমি নিয়ে চাষ করেন। মাস শেষে মালিককে কিছু টাকা দিয়ে দেন। তিনি বললেন ক্ষেতে অনেক লাভ। সব্জি সাপ্লাই দিতে গিয়ে উনি কোরিয়া ঘুরে এসেছেন। এখানে অনেক টাকা। গর্বের সাথেই বললেন ওনার নাকি দেশে ৪ কোটি টাকার এফডিআর করা আছে। অথচ দেখলে খুব সাধারন মনে হয়। আসার পথে আমাদের প্রায়ই তাজা শাক সব্জি আর লাউ দিয়ে দেন। ... আমার এক আত্নীয় এই সব্জি ব্যবসার সাথে জড়িত, মাসে তার লাখ লাখ টাকা আয়। তারা হয়তো ভালো আছে, কিন্তু তাদের অবদানের কোন স্বীকৃতি নেই।
বাংলাদেশী মালিক ক্ষেতে কাজ করছে ... (ধনে পাতার ক্ষেত)
আমাদের জন্য লাউ
কুমড়া
পেঁয়াজ ও মরিচ
আমদের বাসার পাশের ক্ষেতের বাংলাদেশী মালিক ওখানেই এক ছোট্ট টিনের ঘরে থাকেন। রুমে টিভি, ডিশ লাইন আছে। সামনেই একটি এপ্রিকোট ফলের গাছ। গাছের নীচে পুরনো সোফা রাখা আছে। আমরা প্রায়ই ওখানে গিয়ে বসি। আরামদায়ক বাতাসে আমার চোখ বুঁজে আসে। মনে হয় আমার দেশের কোন এক সবুজ গ্রামে আছি।
বাংলাদেশী মালিকের বাসস্থান

বাংলাদেশী মালিকের বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত
ওমরাহ’র জন্য যখন মক্কার পথে যাই- চারপাশে দেখতে পাই সবুজের সমারোহ। সৌদি আরবকে কিভাবে বাংলাদেশীরা পাল্টে দিয়েছে। মরুভূমিতে মাইলের পর মাইল তরমুজ ক্ষেত দেখা যায়।
আমাদের বাসার পাশের মাজরাটির সৌদি মালিকের একটি ছোট কিন্তু চমৎকার কটেজ আছে। মাঝে মাঝে সে এখানে এসে থাকে। পাশেই ক্ষেত আর ফুলের বাগান। আহা! আমার যদি এমন একটা কটেজ থাকতো।
সৌদি’র কটেজ
কটেজের পাশের বাগান
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৯