লেখালেখির হাতেখড়ি সামুর সাথে। আজ তার তিনটি বছর পূর্ণতা পেল। তিন একটি বিশেষ সংখ্যা। তিন দ্বারা তিনটি কালকে প্রকাশ করা যায়। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। অতীত নিয়ে আজ তিনটি বছর পর যা দেখি তা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। শুকরিয়া আদায় করি এই ভেবে যে এখনো শ্বাস নিই কবিতার সাথে। সন্তুষ্টি এই যে সমুদ্র নিয়ে জলকাব্য আঁকি, জীবনের ব্যবচ্ছেদ করি,অনুকাব্যে লেখি, ভালবাসি সকল কবিতাকে, কবিতার প্রেক্ষাপটকে। অনুভব করার চেষ্টা করি প্রিয় কবিদের সকল কবিতা যতটুকু পারি।
কবিতাকে নিজের মত করে লেখতে পড়তে ভাবতে কে না চায়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই।এই দীর্ঘ তিনটি বছর নিজের মত করেই লেখে গেছি। অনেক ভালবাসাও পেয়েছি। এই ক্ষুদ্র প্রাণে এ অনন্য পাওয়া। ব্লগে কবিতা লেখার বিনিময়ে এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। হয়ত সাদা কাগজে নিজের লেখাটি ছাপাতে পারিনি, হয়ত কবিতার বইটি বই মেলায় তুলতে পারিনি তবে হলফ করে বলতে পারি সামুতে যা পেয়েছি তা কোথাও পেতাম না। নিজেকে প্রস্তুত করার জন্যে সামু একটি অনন্য চর্চাক্ষেত্র।
কবিতার চর্চা করতে গিয়ে কখনো আদিম যুগে, কখন মধ্যযুগে, কখনো রবীন্দ্র যুগে আবার কখনো ফিরেছি জীবনবাবুর দুয়ারে। তবে সবচেয়ে বেশি শিখেছি ব্লগারদের বিভিন্ন মন্তব্যের সমালোচনা আলোচনায়। যেহেতু আমি সমালোচনা তেমন একটা নিতে পারিনি তাই মনে করছি এখনো লেখক বা কবি হবার মত যোগ্যতা অর্জন করিনি। এই সামনের দিনগুলিতে তা কাটিয়ে উঠার প্রচেষ্টায় থাকব।নিজস্বতা নিয়ে মৌলিক লেখার বলয় তৈরি করা বেশ কঠিন তবে অসম্ভব কিছুই নয়।
আর সেই অসম্ভবকে সম্ভব করতেই সহব্লগাদের সহযোগিতা ও আলোচনা অত্যন্ত জরুরী। এই সুদীর্ঘ তিনটি বছরে অনেক ব্লগারের কথাই মনে পড়ছে। এক এক করে বলতে গেলে কথার শেষ হবে না। চলতেই থাকবে। প্রত্যেকের সাথে যে ব্লগীয় মিথস্ক্রিয়া তা নিয়ে এক একটি পোষ্ট করে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। পরিশেষে সকল সহব্লগারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের ভালবাসার জন্যে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই! আর বিশেষ ধন্যবাদ জানাই সামু প্লাটফর্মের সকল কলাকুশলীদের! সামু না থাকলে এই চর্চা সম্ভব ছিল না। এমন একটি প্লাটফর্মের জন্যে সামুর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৩