গুগল ব্যক্তিত্ব
গুগলের শুরু হয় ১৯৯৬ সালে ল্যারি পেজ এবং সারজেই ব্রিন এর একটি রিসার্চ প্রোজেক্ট থেকে ।
তখনকার সার্চ সিস্টেম গুলো ছিল একটি টার্ম কতবার সার্চ করা হচ্ছে তার উপর নির্ভরশীল । তারা তখন "পেজ র্যংক টার্ম" টার উৎপত্তি করেন , যে একটি ওয়েবসাইট এর লিংক আরেকটি ওয়েবসাইটের লিংক এর সাথে সম্পর্কযুক্ত হবে এবং এভাবেই সার্চের ফলাফল আসবে ।
তারা এই সার্চ ইন্জিন এর নাম দেন "ব্যাকরাব", কারন এই সিস্টেম টা সব ব্যাক লিংক চেক করে রেজাল্ট দিত ।
তারা পরে এর নাম দেন গুগল , নামটির উৎপত্তি একটি ভুল বানান "googol" থেকে ।
তাহলে ইতিহাস তা বলি,
এক "googol" হচ্ছে টেন টু দি পাওয়ার একশো । অর্থ্যাৎ ১ এর পেছনে ১০০ টি ০ থাকবে।
ব্যাপারটা এরকম
10,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000
এই শব্দটির উদ্ভাবক, ৯ বছর বয়সী মিলটন সিরোটা, সে ম্যাথমেটিশিয়ান এডওয়ার্ড ক্যাসনার এর ভাতিজি ছিল। সেই এটা কে বিখ্যাত করে তোলেন তার বইয়ে এর কথা লিখে ।
তো এই নাম টি পছন্দ করার পেছনে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে তাদের এই সার্চ ইন্জিন এর পেছনেও এরকম অনেক মানুষ থাকে।
হেডকোয়াটার:
হেডকোয়াটার টির নাম গুগলপ্লেক্স । নামটি নেয়া হয় , googolplex থেকে ।
১ googolplex = ১০ টু দি পাওয়ার
ওয়েলকাম সাইন
গুগলপ্লেক্স
কাজ করছেন একজন কর্মী
সুইমিংপুল
হ্যাং আউট.
ভলিবল কোর্ট
আর এই অফিস টা তে পোষা কুকুর নেয়া যায়। কিন্তু বেড়াল না।
এটা ৫০৬,৩১০ স্কয়্যার ফিট এর । এর ভেতর ভলিবল কোর্ট আছে, পিয়ানো আছে, দুটি সুইমিংপুল আছে , ব্যায়ামাগার আছে এবং ১৮ ক্যাফেটেরিয়া আছে ।
এটা তে কয়েকটি সোলার প্লান্ট রয়েছে যা এটার ৩০% বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
ব্রাইট সোর্স একটি প্রতিষ্ঠিত বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান। তাদের নতুন একটি প্রজেক্টে গুগলও অংশিদার হতে যাচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গুগলের অংশিদারিত্ব তাদেরকের আরেকটা নতুন পথের যাত্রাই নিশ্চিত করছে। বিখ্যাত বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ব্রাইট সোর্স এনার্জির সাথে তারা কাজ করবে।
আনওফিসিয়াল স্লোগান:
গুগলের ইন্জিনিয়ার এবং
পল বুচেইট ( জি-মেইল এর স্রষ্টা) দিয়েছেন
"Don't be evil"
লোগো:
১৯৯৭ সালে এটা ব্যবহার করা হত।
১৯৯৯ থেকে ২০১০ পর্যন্ত এটা ব্যাবহার করা হয়।
গুগল বিভিন্ন বিশেষ সময়ে বিভিন্ন লোগো ব্যবহার করে। যা দিয়ে শেষ করা যাবে না । তবে কয়েকটি দেয়া যেতে পারে।
এই ইলেক্ট্রিক গিটারের লোগো দেয়া হয়েছিল লেস পল এর জন্মদিনে যাকে ইলেক্ট্রিক গিটারের জনক বলা হয়।
এটা এবছরেরই ১৫ জুন দেয়া হয়, চন্দ্রগ্রহন এর সময়।
লোগো নিয়ে অন্য দিন কপচাবো !!
গুগল হার্ডওয়ার:
প্রথম দিকের সার্ভার "সিরকা"
সিরকা এর বিশেষত্ব ছিল:
১. ২০০ মেগাহার্জ প্রসেসর
২. ২৫৬ র্যাম
৩. পেন্টিয়াম ২ সার্ভার ডোনেটেশন দিয়েছিল ইন্টেল, তার স্পেসিফিকেশণ ছিল : ৫১২ মেগাবাইট র্যাম, ১০ ইনটু ৯ গিগা হার্ডড্রাইভ, এটা দিয়েই মেইন সার্চ চালাতে হত।
মানে কত টা নিচ থেকে শুরুয়াত হয়েছিল গুগলের ভাবুন।
এখন কার গুগল হার্ডওয়ার:
২০০৫ সালে একটি পরিসংখ্যান করা হয়, তাতে বের হয়-
১. গুগলের ২০০.০০০ এর মত সার্ভার আছে । ২০০৬ সালে বলা হয় ৪০০,০০০ সার্ভার.
২. ১৬ গিগাবাইট র্যাম
৩. ২ টেরাবাইট ডিস্ক স্পেস পার মেশিন।
বিশ্বব্যাপী গুগলের ডেটা সেন্টারগুলোর প্রায় ২৬ কোটি ওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন, যা একটি পারমাণবিক বিদ্যু ৎ কেন্দ্রে মোট উ ৎ পাদিত বিদ্যুতের এক-চতুর্থাংশ। তারা প্রতিনিয়ত যে পরিমাণ বিদ্যু ৎ ব্যবহার করে, তা দিয়ে দুই লাখ বাড়ির চাহিদা মেটানো সম্ভব।
কি বিশাল অবস্থা এখন। বাপরে বলতেই হয় মনে মনে ।
চলুক সার্চিং, পরে আরও কোন খবর নিয়ে আসবো..
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৩