প্রতিটি দিনও শতবর্ষ ধারণ করে,
অগুনতি সূত্রের বাইরে; নিপাতনে।
বহতা সময় ও থেমে যায়,
কারো জন্য, কারো কাছে।
জৈবিক শরীরও দরবিগলিত হয়ে ভেসে যায়,
তুমুল দুঃসহ যন্ত্রণার দিকে।
নিজের অস্তিত্ব বুঝতে পারাও বাকী থাকে;
সময়ের নির্বিকার আবর্তে।
কত সুখস্মৃতিও মুছে যায় ধীরে,
জারুলের বনে ঝড়ে পড়া
বাতাসতাড়িত বেগুণীর মত।
কারো কারো ক্যালেন্ডারে বসন্ত আসে না,
শীতের সর্বগ্রাসী রুক্ষতাই
ঝুলে থাকে আজীবন।
আজন্ম ফেরারী চাঁদও
অনেককে শিহরিত করেনা,
চিরতার বিস্বাদ লেগে থাকা রসনা নিয়ে
তারা বর্তে থাকে
দূরন্ত অবহেলায়ও।
এরকম কারো সাক্ষাৎও তুমি পেতে পারো,
বা তার সাথে দুদণ্ড বসতেও পারো,
অথবা কিছু আলাপও
কিন্তু তুমি চিনতে পারবে না তাকে।
কোন যন্ত্রই ধারণ করতে পারে না
মর্মের অবারিত রহস্য।
তাদের অনেকে
এই শহরে প্রতিদিন ঘুরে বেড়ায়
বুকের ভিতর তীব্র আত্মহননপ্রবণতা নিয়ে।
এভাবেইই তাদের টিকে থাকা
সেই প্রথম মুহূর্ত থেকে
তাদের হাতেই রচিত হয়
যত অস্থির সময়ের কাব্য।
তারা আছে, সর্বত্র, সর্বময়ের মত!
মানুষই সৃষ্টির প্রথম-আশ্চর্য্য।