মনের আকাশে শকুন উড়ে চলে!
খুবলে খুবলে খায় প্রতিনিয়ত!
না জানি কত নিঃস্ব হবার গল্প বুনে
দগ্ধ হতে থাকে আহতের রক্তক্ষরণের ক্ষত!
দুই চোখ ভাসিয়ে বয় অশ্রুর বন্যা
কষ্টের রুক্ষতায় কৃষ্ণচূড়ার মত লাল!
তারপর টুপটুপ করে জলের স্রোতে বয়ে চলে ঘৃণা!
কত খানি মোচড়ান ব্যথা,
কত খানি দুমড়ানো অনুভূতি নিংড়ে হয় এক ফোটা অশ্রু বিন্দু
সে হিসেব বুকেতে গুম করে হুতুম পেঁচার মত রাত জেগে রই নীরবে!
এখানে মুখোশের আড়ালে মুখোশ!
তুমি যেন তুমি নও!
আমিও যেন অন্য কেউ!
আমার আমিকে তুমি কোন দিন দেখো নি!
জানোা ঠিক আমি কে? আসলে যেন কোন টা!
কতগুলো মহাসমুদ্র পোষে এই হৃদয় তুমি জানো না!
তাই ঐ হৃদয়ের ডুবুরী হয়ে
কেবলই তলিয়ে যাই! নিঃস্ব হয়ে ঘরে ফিরি!
ঝড়ে ডানা ভাঙা পাখির মত সর্বস্বান্ত!
তাই কখনোই আমার গভীরে তুমি আসো না,
আমিও ছুঁতে পারি না তোমার তোমাকে!
যোজন যোজন দুরত্বে হেঁটে চলা ক্লান্ত পথিক দু জন!
যদি কখনো পথ ভুল করে এসে ঠাই নেই একই বৃক্ষের নিচে
দু জনেই চমকিত হই যেন
''তুমিই কি ছিলে ঐ টলমল চোখের ওপাশে!''
তারপর আবার আসে পিষ্ট হবার ক্ষণ!
দুঃখের সাক্ষী হয়ে দুমড়ে মুচড়ে যাই
পদতলে চূর্ণ শুকনো পাতার মত!
আমরা যে আহত হতে ভালোবাসি!
কিছু দুঃখ বড় যতনে হৃদয়ে পুষি!
জানি তার স্পর্শে প্রতিনিয়ত ক্ষয়ে যাবো!
তবুও ওই স্পর্শ সাগর সেঁচে মুক্তর মত কুঁড়িয়ে আনি বার বার!