মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলছেন, ‘হন্য হয়ে আই এস খুঁজছি’,
প্রশ্ন হল কেন তিনি হন্যে হয়ে আই এস খুঁজছেন? যুক্তরাষ্ট্র বলছে এদেশে আই এস আছে সে জন্যে নাকি তিনি নিজেও সন্দেহ পোষণ করেন?
আই এস তিনি যে কারণেই খুঁজুন না কেন জঙ্গিদের যে তিনি খুঁজছেন না এটা নিশ্চিত কেননা ৩৬ হামলার ৩৪টির ব্যাপারেই নাকি আমাদের পুলিশ প্রশাসন তথ্য পেয়ে গেছে যদিও সাধারণ মানুষ প্রয়োজন হলেই ঘাড় বাড়িয়ে দিতে হবে এটুকুনই ছাড়া এদের বিষয়ে আর কিছুই জানেন না।
সরকার যেভাবে নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারছে কারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ঠিক তেমনি করে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারছে না অথবা আনছে না।
প্রতিটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পরে প্রথমেই খোঁজা হয় নিহত ব্যক্তির পরিচয়। যদি তিনি ব্লগার হন তাহলে তো হয়েই গেল এ দেশের মানুষ এটা এক রকম মেনেই নিয়েছে যে ব্লগার হত্যা বৈধ। তারই ধারাবাহিকতায় বৈধতা পেয়ে গেছে অনলাইন এক্টিভিষ্টদের হত্যাও।
একটু কি লক্ষ করে দেখবেন যে এই সকল হত্যাকাণ্ডের যারা স্বীকার হন তাদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। অন্য সকলের মতই আমিও সকল হত্যাকাণ্ডের বিরোধী। কিন্তু যখন দেখতে পাই একেবারেই নির্বিরোধী অসহায় সাধারণ মানুষগুলোই হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হচ্ছে আর নেতারা কেবল ব্লেইম গেম খেলেই চলেছেন । তখন তো এই সাধারণ মানুষ এ প্রশ্ন করতেই পারে যে। নেতারা কি আসলেই এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে চান নাকি এটাকেও রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের একটি উপায় বলে ধরে নিয়েছেন।
দেশী বিদেশীর ষড়যন্ত্র বলুন আর আই এস বলুন। কিংবা দেশীয় জঙ্গি গোষ্ঠী। এদের দমনের দায়িত্ব তো সরকারের। যতই বিএনপি জামায়াতের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশে করুন না কেন ক্ষমতায় যারা থাকেন আসল দায়টা কিন্তু তাদেরই।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯