somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বর্তমান সরকার কি তবে বাংলাদেশ নামক একটি গোরস্থানের উন্নয়নের সংকল্প নিয়েছে!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এটা এখন অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে যে বিএনপি নেতা-কর্মীরা রাজনীতির মাঠ ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যে মননিবেশ করেছেন। রাজনীতির নাম ভাঙ্গিয়ে যতটুকু এগিয়ে থাকা যায় তারা এখন সেই চেষ্টাটাই করছেন। হতে পারে তাদের বেলায় এটা এখন সময়ের দাবী। বিএনপি আর কোনদিন কোমর সোজা করে দাঁড়াবে এমন বিশ্বাস সঙ্গত কারণেই তারা হারিয়ে ফেলেছেন।

নেতারা অকর্মণ্য, প্রধান নেতৃত্ব দ্বিধান্বিত, কর্মীরা জেল জুলুমে অতিষ্ঠ। এই অবস্থায়ও দলটিতে নিষ্ঠাবান, ত্যাগী নেতারা নেতৃত্ব বঞ্চিত। সর্বোপরি প্রধান নেতৃত্ব যে রাজতন্ত্রের সূচনা করেছেন সেখানেও তো সত্যিকার অর্থে পরিচ্ছন্ন কোন ভাবমূর্তি নেই। তাহলে আর কিসের ভিত্তিতে একটি দল এগিয়ে যাবে।

বিএনপির একমাত্র আদর্শ ছিল আওয়ামীলীগের বিরোধিতা। আর সে কারণেই পঁচাত্তরের পরে তারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে জড়িয়ে কম মিথ্যাচার করেনি। আর সেই সব মিথ্যাচারের ডাল পালার সাথে যুক্ত হয়েছিল তখনকার রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশ। যা ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিল বিএনপির জন্য। সেই সুযোগে বিএনপি দোর্দণ্ড প্রতাপের সাথে ক্ষমতা ভোগ করেছে অথচ যে মিথ এর উপর দাঁড়িয়ে তারা ছড়ী ঘোরাচ্ছিল সেই মিথ এর পাশাপাশি এমন কোন ভিত তৈরি করেনি যার উপর দাঁড়িয়ে আজ তারা এই বৈরি পরিবেশেও রাজনীতি করে যেতে পারে।

আর সেটা করেনি বলে সব জেনে শুনেই অধিকাংশ মানুষের বিপক্ষে হলেও গতানুগতিক রাজনৈতিক ধারা থেকে তারা বেড়িয়ে আসতে পারছে না। সম্ভবত কোনদিন পারবেও না। আর এই ব্যর্থতাই দলটিকে কুড়ে কুড়ে খাবে। একেবারে নিঃশেষ করে দিবে।

এ জাতির এটা দুর্ভাগ্যই যে, যখন তারা প্রায় তিন যুগেরও বেশী সময় ধরে বয়ে বেড়ানো অভিশাপ মুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। যখন আওয়ামীলীগ চাইলেই দেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করে তুলতে পারত। সে সময় তারা তা না করে সেই অপশক্তিকে সুযোগ করে না দিলেও বিনাশে মনযোগী হয়নি। দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের আজ যতটা কঠোর হওয়ার প্রয়োজন ছিল যে কোন কারণেই হোক তারা তা হতে পারছে না।

আজ আমরা কেউ নিরাপদ নই! অথচ স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশের নাগরিক। আজ এ দেশের ক্ষমতায় সেই দলটি যে দলের নেতৃত্বে এ দেশটি স্বাধীন হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা আজ এ দেশের প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বে আজ এ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অভাবনীয় গতিতে। অথচ এ দেশের মানুষ প্রতিনিয়ত মৃত্যু শঙ্কায় শঙ্কিত।

আপনার স্বাভাবিক মৃত্যুর কোন গ্যারান্টি নেই। আপনাকে গাড়ী চাপায় মরতে হবে, আপনাকে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মরতে হবে, আপনাকে ভিন্নমতের চাপাতির ঘায়ে মরতে হবে। এ যেন এক মৃত্যু উপত্যকা! বর্তমান সরকার কি তবে বাংলাদেশ নামক একটি গোরস্থানের উন্নয়নের সঙ্কল্প নিয়েছে?

অথচ এই লেখাটি হতে পারত প্রিয় মাতৃভূমির এগিয়ে যাওয়ার গল্পের। হতে পারত স্বপ্নের বাংলাদেশের নিশ্চিন্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি। কেন আমরা বলেও মরব না বলেও মরব? মহান আল্লাহ আমাদের বিবেক দিয়েছেন, বিবেচনা শক্তি দিয়েছেন। ভাল মন্দের প্রভেদ করতে আমরা জানি। আমরা বুঝি কে আমার কাছ থেকে সুবিধা আদায়ের জন্য তোষামোদি করছে আর কে আমাদের প্রকৃত সুহৃদ। আমরা কেন তাদের আলাদা করছি না?

যে দেশে বিচার চেয়ে মানুষকে রাস্তায় নামতে হয় সে দেশের নেতারা যখন সুশাসনের তকমা লাগিয়ে ঘুরে বেড়ান তখন সে দেশের নাগরিকরা অসহায় বোধ করবেন এটাই তো স্বাভাবিক।

একটি জাতির কাছ থেকে তাদের আজন্ম লালিত শিক্ষা-কৃষ্টি কেড়ে নিলে। একটি জাতীর কথা বলার অধিকার কেড়ে নিলে সে জাতী অস্তিত্বহীন হতে বাধ্য। আপনারা কি আগামী প্রজন্মকে মেধাহীন পঙ্গু অথর্ব করে রাখতে চান? বিচার হবে, আমরা চেষ্টা করছি, আর নিত্য নতুন হত্যাকাণ্ড এই যেন আমাদের নিয়তি। এর বিরুদ্ধে কথা বলার যেন কেউই নেই। গড়ে উঠছে না কোন শক্ত প্রতীবাদ কিংবা প্রতিরোধ।

দেশের কথা না হয় বাদই দিলাম। কেননা এখানে যে, দেশের থেকে দল বড় সেটা সবাই জানে। এই দল প্রেমিকদের কাছেই আমার প্রশ্ন। আপনারা যারা বর্তমান সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষী তারা কি নিশ্চিত, আজ যা হচ্ছে তা আওয়ামীলীগের জন্য শুভ?

যদি মনে করেন শুভ তাহলে তো আর কিছু বলার নেই। আর যদি তা না মনে করে থাকেন তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে; আপনারা কেন দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারকে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেয়ার জন্য বলছেন না? ষড়যন্ত্র, বিচ্ছিন্ন ঘটনা এ সব কথার আড়ালে ব্যর্থতা ঢাকা পড়ে না বরং ওটা আরো বড় দাগেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। চোখ থেকে অদ্ভুত ঐ টিনের চশমাটা খুলে ফেল্লেই বাস্তব চিত্রটা বীভৎস হয়ে দেখা দেবে। উন্নয়ন গতীশীল হয়, দুদকও গতি পায় কেবল মুখ থুবরে পড়ে থাকে নাগরিক নিরাপত্তার নুন্যতম মানদন্ডটিও। যা সব অর্জনকে ম্লান করে দিতে যথেষ্ট। স্বজন হারানোর ব্যথা মোছার কোন বিকল্পই মানুষের হাতে নেই।

রাজনৈতিক দলের শূন্যতা দেশকে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে তা তো আওয়ামীলীগের আত্ম-কোন্দল আর দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বর্তমান পরিস্থিতিই বলে দেয়।

এর থেকে উত্তরণের জন্য আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় দেখি না। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের একটি মৃতপ্রায় আরেকটি ব্যস্ত আপোষ কামিতায়। আগামীর সময়টা যে আরও ভয়ঙ্কর এ তারই ইঙ্গিত বহন করে।

[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মত প্রকাশ মানে সহমত।

লিখেছেন অনুপম বলছি, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৭

আওয়ামী লীগ আমলে সমাজের একটা অংশের অভিযোগ ছিলো, তাদের নাকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই। যদিও, এই কথাটাও তারা প্রকাশ্যে বলতে পারতেন, লিখে অথবা টকশো তে।

এখন রা জা কারের আমলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্নমর্যাদা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

রেহমান সোবহান একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার। রেহমান সাহেব এমন একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন যা খুব নির্জন এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে যাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে ।
...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×