আলোচক বলছেন সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সাধারণ মানুষকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে। এগিয়ে এসে বলতে হবে হ্যাঁ আমি সেখানে ছিলাম, আমি দেখেছি তারা কারা। সাধারণে মানুষকেই সাক্ষী দিতে হবে। এদেরকে ধরিয়ে দিতে সাহায্য করতে হবে। কি আশ্চর্য! তারা তা করছে না কেন? আত্ম রক্ষার্থেই তো তা করতে হবে।
আলোচক এও বলছেন সরকার চাইলেই কি? প্রশাসন কি সম্পূর্ণরূপে সরকারের ইচ্ছামত চলছে? সেখানেও ভিন্ন ভাব ধারার মানুষ রয়েছে।
আলোচকের কথাই যদি সঠিক ধরে নেই তাহলে তো এ প্রশ্ন করতেই হয় যেখানে আপনি নিজেই সন্দিহান যে সরিষার মধ্যেই ভূত সেখানে সাধারণ মানুষই বা কি করে বুঝবে কে ভুত আর কে ওঝা?
আর সাধারণ মানুষ তথ্য সরবরাহ করবেই বা কিভাবে? অথবা কোথায়? কে তাকে ভরসা দিল যে তুমি তথ্য সরবরাহ কর আমরা গোপনীয়তা রক্ষা করার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। কে তাদেরকে বলে দিল এই হট লাইনে তথ্য দাও। তোমার নিরাপত্তা সরকার নিশ্চিত করবে?
আলোচক বৃন্দ, সাধারণ মানুষ কম সচেতন নয়। এমনকি তারা প্রাণভয়ে ভিতও। প্রত্যেকেই চায় একটি নিরাপদ জীবন। এ দেশের মানুষ অন্যের বিপদে এগিয়ে আসে না এমন দুর্নাম দেয়ার ক্ষমতা বোধ করি খোদ শয়তানেরও নেই। তার পরেও কেন সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসছে না। আস্থার সঙ্কটটা আসলে কোথায় এটা বের করার চেষ্টা করুন। আর সেটাই হওয়া উচিৎ আপনাদের মুল আলোচ্য।
প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের পর আপনাদের এমন আলোচনা মানুষকে আরও বেশী হতাশাগ্রস্ত করে তুলছে সেটা কি বুঝতে পারছেন?
আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে নৈতিকভাবে আমরা কেউই সমর্থন করতে পারি না। করছিও না। তবে এটা তো পরিলক্ষিত হয় যে সরকার সত্যিই তাদের দমন চেয়েছে। আমরা কি আক্ষরিক অর্থেই এমন কোন পদক্ষেপ নিতে দেখছি যাতে এইটুকু অন্তত আশ্বস্ত হওয়া যায় যে সরকার বা প্রশাসন এদেরকে দমনে আন্তরিক।
হে আলোচক বৃন্দ সব দিক সামলে সত্যিটা উচ্চারণ করা যায় না। একটি বার অন্তত বিবেকের আশ্রয় নিন। আপনার বিবেক আপনাকে নিশ্চয়ই সঠিক পথ নির্দেশ করতে সক্ষম হবে। সোজা কথা বলুন, সত্য কথা বলুন। দয়া করে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকুন।
[email protected]