রবিবাবু সেই গত শতাব্দীতে কইছিলেনঃ ঐ যে সুদুর নিহারীকা... যারা করে আছে ভীর... আকাশেরো নীর...
কবিগুরু ম্যালা আগেই জানতেন নিহারীকা কি।
নেবুলা (nebula ) বাংলা কয় নীহারীকা। মহাকাশের ধুলিকণা আর গ্যাস একত্রে জোট বাইন্দা নেবুলা বা নীহারীকা বানায়ে ফ্যালে । গ্যাস বা ধূলিকণা একত্রে ইলাস্ট্রেটেড মেঘের মত নেবুলা বানায় যা রাইতের আকাশে দেখা যায়। গ্যাস গুলোর মধ্যে আছে ইন্টারস্টেলার ক্লাউড বা মেঘ, হাইড্রোজেন গ্যাস, হিলিয়াম গ্যাস এবং অন্যান্য আয়নিক গ্যাস । বস পাবলিক হিসাবে আছে প্লাজমা (ছোডবেলায় পড়ছেন পদার্থের তিন অবস্থা, পরে ক্লাস এগারোয় উঠে আবার অনেকেই জেনেছেন পদার্থের চার অবস্থা, এই চতুর্থ অবস্থা প্লাজমা। কোন জিনিসরে তাপ দিলে সেইডা তরল থেইকা বাস্প হওয়ার আগেই গোপনে আরেক অবস্থার জন্ম দেয়। সেইডাই প্লাজমা। প্লাজমা নিয়া ম্যালা কথাবার্তা। চিকিতসাবিদ্যা থিকা শুরু কইরা বাসার টিভি, হাতের আনস্মার্টফোনের ডিসপ্লেতেও প্লাজমা আছে !!! মহাশূন্য,সূর্যের সব হাইড্রোজেনে এ প্লাজমা অবস্থায় বইসা বইসা খায় দায় আর ঘুইরা বেড়ায় । বেশির ভাগ গ্যাসই প্লাজমা অবস্থায় আস্তানা বানাইসে নীহারিকার মইধ্যে। প্লাজমা অবস্থায় থাকার কারন হইতেসে উচ্চ তাপ। এই উচ্চ তাপে সকল গ্যাসই প্লাজমা অবস্থায় চইলা যায়। এই প্রসঙ্গেও রবিবাবু বলেছেন - যেতে নাহি দিব হায়
যাউকগা বাদবাকি ইন্টারস্টেলার ক্লাউড হৈতেসে আমাগো গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ ও অন্যান্য ছায়াপথের মইধ্যে বিদ্যমান গ্যাস, ধূলিকনা, প্লাজমা গুলানের একত্রিক রুপ।
ম্যালা কথা কইয়া ফেলাইসি। মূল আলোচনায় আসি। আপনার প্রেমিকারে একদিন গোলাপ না কিন্না দিয়া এন, জি, সি ৭১২৯ নেবুলার এই ছবিডা দেখাইয়েন। গোলাপের চাইতেও খুশি হবে। এইডা কোন ফটোশপ না। কোন ইলাস্ট্রেটেড শিল্পকর্ম না। এইডা দেখতে পুরোপুরি গোলাপের কুড়ির মত। তাই ব্যাডারা এইডার নাম দিসে রোসবাড নেবুলা।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:২৩