লেখার শুরুতে পাঠকদের হাসির উদ্দেশ্যে একটি জোঁক মনে পড়লো...
ছেলে ফ্রেন্ড : জানু কেমন আছো,
মেয়ে ফ্রেন্ড : কিছুক্ষণ চুপ থেকে উত্তরে বলে হুম ভালো
ছেলে ফ্রেন্ড : কিছু বলছোনা যে, তোমায়না খুব মিস করি, পরিমাণ আরও বেড়ে যায়
যখন কল ওয়েটিংয়ে থাকে বা নক করেও রেসপন্স না পাই।
মেয়ে ফ্রেন্ড : কোন জবাব নাই (স্মার্ট ফোনটির কি প্যাড চাপতেই আছে)
ছেলে ফ্রেন্ড : কী হলো, অনলাইনে যেমন অফলাইনেও তেমন দেখছি, তোমায় না বড্ড
ভালোবাসি, কয়েকবার বলার পর.....
মেয়ে ফ্রেন্ড : তার নিজ কর্মেই ব্যস্ত (কি প্যাড টিপাটিপি),একটু পরে বলে, শোন ওত
লাভ লাভ করো না, তোমার মত 4/5 জন ছেলে আমার পেছনে লাইন
ধরে থাকে, তুমি দেখছো না, তাদের রেসপন্স দিতে দিতে তোমার প্রতি
খেয়ালই নেই। উত্তরে ছেলে ফ্রেন্ড ক্ষোভে বলল, তুমি হয়তো ভুলেই
গেছো যে, বাজারে কম দামের পন্যের ভোক্তা বেশি।
কৌতুকটি বলে আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছি যে, যা সহজে লাভ করা যায় তার মুল্য পরিমাণের চেয়ে কম থাকে।
শিরোনামে উল্লেখিত “কে কাকে অনুসরণ করছে” বলতে ফেবু আর ব্লগের মধ্যে চ্যাটিং ছাড়া অন্য কোন তফাত খুঁজে না পাওয়াতে উল্লেখিত ব্লগের শিরোনাম হিসেবে দেওয়া হলো। ফেবুতে যেগুলো প্রায়শই দেখি ব্লগেও ইদানিং তা পরিলক্ষিত হচ্ছে। লেখা শুরুতেই কৌতুকটিতে যা প্রমাণ করে তা হলো সহজলভ্য যা তার মানও কম। বর্তমানে ফেবু সহজলভ্য হওয়ায় সমাজের প্রায় সব শ্রেণীর মানুষ এর সাথে জড়িত। সমাজে রিক্সা ড্রাইভার থেকে শুরু করে ব্যাংকার পর্যন্ত ফেবু নামক সামাজিক ব্যাধির সাথে পরিচিত। যার কারণে একজন মানুষের মৌলিক চাহিদা হিসেবে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার সাথে আরও একটি চাহিদা যোগ হলো তা হলো প্রতিদিন অন্তত 10 টাকা দামের 01টি এম.বি কার্ড, আর তা হওয়ার একমাত্র কারণ যা ফেবুসহ স্মার্টফোনে (এনড্রয়েড) সহজে ব্যবহার্য ইমু, হোয়াটসআপ, ভাইবার।
ফেবু’র মত ব্লগেও আমিন লিখা শুরু হলো তা নিয়ে বিজ্ঞ ব্লগার শাহাদাত হোসেন, একটি পোষ্ট দিয়েছিলো, তাতে অন্যান্য পাঠক ও ব্লগারগণের মন্তব্যের সাথে আমিও মন্তব্য করি, প্রায় মন্তব্যেই আমিন লিখাটি ক্লিকবাজদের নিয়েই।
ফেবুতে ক্লিকবাজ ব্যবসায়ীদের প্রধান মুলধন হিসেবে “আমিন”কেই বেঁচে নিয়েছে। আর “অামিন” কথাটি মুসলমানের বোধগম্য প্রত্যাশিত কোন বাক্য কবুল হওয়ার আশায় বলা হয়।
ফেবু সহজে ব্যাবহার করা যায় বিধায় এর গ্রাহকও বেশি, সমাজে এমন লোকও আছে যে আমিন কোন অর্থে ব্যবহার হয় তাও জানেনা, ইসলামের কোন কিছু দেখতে পেয়েই আমিন বা লাইক দিয়ে থাকে, এতে করে ক্লিকবাজের ব্যবসা চাঙ্গা।আর এর সুবাধে ক্লিকবাজ ব্যবসায়িরাও কোন কমন শব্দ, যেমন- মুসলামনরা জোরে বলেন, অামাদের রব কে? ফেবু ইউজারকারীদের প্রদর্শণকরে যার অর্থ আল্লাহ্ সবাই জানে, সবাই কমেন্টস্ করে আল্লাহ্, এইরকম হাজারও প্রমাণ আছে যা বলতে গেলে পোষ্ট বড় হয়ে যাবে তাই একটি প্রমানই দিলাম।
সামুতে প্রায় ব্লগারগণ ব্লগিং করে শখ বশত বা লিখাগুলো সামুতে যত্নে থাকবে কিংবা অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষে, আর ব্লগ পোষ্ট করে তখনই আনন্দ পায় বা লিখার উৎসাহ আসে যখন উক্ত পোষ্টে পাঠক সংখ্যা, লাইক কমেন্টস বেশি থাকে।
সম্প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সামুতে এমনও পোষ্ট পড়ে যা, এক পন্থি বা যার মন্তব্য অবশ্যই পড়বে জেনে একপন্থি ব্লগ পোষ্ট করে এবং পাঠকগণ উহাতে সমর্থন কিংবা বিরূপ মন্তব্য করবেন, যদি মন্তব্যের আশায় এমন পোষ্ট হয় তাহলে বুঝে নিবো, আপনি হয়তো ফেবুকে অনুসরণ করছেন। নিম্নের ছবিতে একপন্থি পোষ্ট মনে হচ্ছে পাঠকদের নিকট অনুরোধ হলো ভুল হলে মন্তব্যে জানিয়ে দিবেন।
মন্তব্য অবশ্যই এমন ধরনের যেন না হয় যাহা (চিত্রে দেওয়া হলো), অন্যদের মন্তব্য করতে যেন ভয় না পাই যেমনটি আমি পেয়েছিলাম।
পরিশেষে বলতে পারি, সামুতে ইউজার বা পাঠক বেশি হলে সামুর বা আমাদের (ব্লগারদেরই) লাভ, নতুন নতুন লেখা পাবো, নতুন কিছু শিখতে পারবো, যদি নিম্নমানের ফেবু ব্যবহারকারী হয়ে সামুকে অনুসরণ করে তাহলে বুঝতে হবে যে, সামুতে রিক্সা ড্রাইবারের মত মানসী জড় হয়েছে। আর এটি এক পর্যায়ে সামুর জাত মারবে পাশাপাশি সামুতে রেজিঃকৃত বড় বড় বিজ্ঞ ব্লগারগণেরও মান ডুবাবে। অল্প কয়েকদিনে সামুতে রেজিঃ করে পাঠে ও মন্তব্যের আলোকে ধারণাটুকু পেশ করলাম। কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে পোষ্টটি করিনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১১