মেয়ে শিশু এবং মহিলারা রমজানেও বঞ্চিত।
রমজানে প্রায় সবকটি মসজিদে ইফতারের আয়োজন থাকে যেখানে দরিদ্র ছেলে শিশু এবং পুরুষেরা ইফতার গ্রহণ করে থাকে। মেয়ে শিশু এবং মহিলাদের সুযোগ নাই বললেই চলে। মসজীদ কমিটি এবং খতিব-ইমাম সাহেবরা এই ব্যাপারে একেবারেই নীরব।
বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন ও নেতা কর্মীরা তাদের অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার জন্য এতিমদের সাথে ইফতার করে থাকেন যার মধ্যে কদাচিৎ মেয়ে শিশুদের দেখা যায়। বাসাবাড়িতে দরিদ্র এতিমদের দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো হয়, এইখানেও পুরুষের আধিক্য। মিলাদের পর অথবা খতম পড়ানোর পর খাওয়ানো হয়, এইখানেও পুরুষ।
অনেকে এতীমদের জন্য পায়জামা, পাঞ্জাবী উপহার হিসাবে প্রদান করেন, এইখানেও ছেলে শিশু, এতীমখানার পুরুষ পরিচালক কিংবা পুরুষ হতদরিদ্র শ্রেণীর অগ্রাধিকার থাকে।
আমার যে দরিদ্র মা তার অসহায় সন্তানদের নিয়ে চক্ষু লজ্জায় দাঁরে দাঁরে ঘুরতে পারেন না, কিংবা যে অসহায় নারী শিশু ক্ষুধার্ত হওয়ার পরেও মসজীদের ইফতারের অংশীদার হতে পারে না, কিংবা এতীমদের জন্য আয়োজিত ইফতারে সঙ্গী হওয়ার সুযোগ পায় না তাদের জন্য কি কিছুই করণীয় নেই?
আছে, অবশ্যই আছে, তবে সেই ভুমিকা আমাদের মা-বোনদের নিতে হবে। বাংলাদেশের প্রায় সব ইসলামিক এবং গতানুগতিক রাজনৈতিক দলগুলোর নারী শাখা আছে যাদের শুধু পুরুষের লেজুড়বৃত্তি করতে দেখা যায়, তাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে বেশী। এই সময় পবিত্র মাসে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের আশায় তারা অনেক অনেক ইফতার মাহফিল আয়োজন করতে পারেন এবং দরিদ্র মেয়ে শিশু ও নারীদের আর্থিকভাবে পুনর্বাসনের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন, পারেন পুরুষের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে নারীদের জন্য সাহায্যের ব্যবস্থা করতে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:১৮