মুক্ত বুদ্ধির চর্চা কেন্দ্রে আজ কিসের চর্চায় ব্যস্থ আমি এবং আমরা? (পুরোটা পড়ার অনুরোধ রইল)।
শিক্ষক, ছাত্রের যতই সদিচ্ছা থাকুক না কেন দেশের গোড়ায় বসে যারা কল-কাঠি নাড়ছে তাদের হাতের পুতুল আমি এবং আমরা। এই সব করার জন্য এতো ডিগ্রীর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। পড়াশুনার মান বাড়ানো, গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা, বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় যখন ছাত্র শিক্ষকের একটা দল অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে তখন আরেকটা দল শুধুই হলে কারা থাকবে বা থাকবে না তাই নিয়েই ব্যস্থ। এইখানে ব্যস্থ হওয়ার দরকার কি? হলে মেধার ভিত্তিতেই সিট বরাদ্ধ করা হয়, যাদের নামে সিট বরাদ্ধ করা হয়েছে তাদের থাকতে দিলেই হয়।
প্রশ্ন আসে নিরাপত্তা নিয়েও, এতো পুলিশ সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরাঘুরি করার পরও এতো অস্ত্র শস্ত্র আসে কোত্থেকে? বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশ পথে আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনী এবং প্রশাসন সতর্কতা অবলম্বন করলে এই অঙ্গনে একটি ছুরি, কাঁচিও ঢুকতে পারবে না বলে আমার বিশ্বাস। শিক্ষকদের নিকট ছাত্রদের কোন দল থাকতে পারে না। ছাত্রদের নিজস্ব রাজনৈতিক বিশ্বাস থাকতে পারে, কিন্তু তার মানে এই নয় শিক্ষকগণ তাদের এই বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠা অথবা ধ্বংস করার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হবে।
শিক্ষকই পারেন তার প্রিয় ছাত্রদের মাঝে সহনশীলতার পরিবেশ তৈরী করতে, বিভিন্ন মতের সহাবস্থান সৃষ্টি করতে, কিন্তু শিক্ষক যদি ছাত্রদের প্রতিপক্ষ হয়ে আবির্ভূত হয় তাহলে সমাধান কোথায়?