somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নাঈম মুছা
সুবোধ আমি। তবে পলায়নরত। কারন সময় আমার পক্ষে না। জীবন আমার সঙ্গে না। আগে কোথাও থিতু হই। তখন পরিচয়টা জানাব। ধন্যবাদ এখানে ঢু মারার জন্য। মোর নির্জীব ব্লগবাড়িতে আপনাকে স্বাগতম।

প্রকৃত বন্ধুত্বের সংজ্ঞা যেমন হওয়া উচিত

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বন্ধুত্বের সংজ্ঞাটাকে আপনি নানা রঙে নানা ঢঙে রাঙাতে পারেন কিন্তু যখনই এর সঙ্গে আবেগকে মিশ্রিত করবেন তখনই এর মহত্ত্বটা সম্পূর্ণরুপে বিনষ্ট হয়ে যাবে। দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুবাদে এমন কিছু বন্ধুর সংস্পর্শযুক্ত হতে পেরেছিলাম যাদেরকে শুধুমাত্র বন্ধুত্বের দাঁড়িপাল্লা দিয়ে পরিমাপ করলে নিতান্তই অবহেলে মার্জনা করা হবে। তারা শুধুমাত্র ভালো বন্ধু ব্যতীত আরো অনেক কিছু ছিল। আপনি তাকেই বন্ধুত্বের উপাধিতে ভূষিত করতে পারেন যে আপনাকে বিপদেআপদে সর্ব মূহুর্তে নিজের সর্বস্ব দিয়ে সাহায্য ও সহযোগিতা করবে তবে কোনো অন্যায় কাজ ছাড়া। হোক সেটা মেধা, বুদ্ধিবৃত্তি, সৎ পরামর্শ, বা আর্থিকভাবে বা আনুষঙ্গিক অন্যান্য সকল বিষয় দ্বারা।
.
আমরা সাধারণত বন্ধুত্বের সংজ্ঞাটা কিভাবে নিরুপণ করে থাকি? আপনি আচমকা কোনো একজন মেয়ের প্রেমে পড়লেন। এখন আপনি বলবেন বন্ধুত্ব মানে সেটাই যে, একজন বন্ধু হিসেবে সে আপনাদের প্রেমের সম্পর্কটা সচল রাখতে ও যুৎসই একটা পর্যায়ে নিয়ে যতে সকল প্রকার সাহায্য করবে। এবং এ কাজ করতে সে যত বেশি নিজের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে সক্ষম হবে বুঝতে হবে তাহলে বন্ধুত্বের গভীরতা ততটুকু। এরুপ একটি ঘটনা একবার আমাদের মাঝে ঘটল। বন্ধুগণের কোনো একজন কারো প্রেমে হাবুডুবু খেতে খেতে আরেক বন্ধুর স্মরণাপন্ন হলো কিছু পরামর্শের জন্য। পরামর্শ দিয়ে সেই বন্ধুটি একে উদ্দেশ্য করে যা বলেছিল তা দিয়ে বন্ধুত্ব নামক পবিত্র সম্পর্কের অনেকাংশকে সুচারুরূপে সংজ্ঞায়িত করা যায়। পরবর্তীকালে সেই বন্ধুটি এসব অনৈতিক কার্যকলাপ ছেড়ে দিয়ে শুধুমাত্র পড়াশুনায় আত্মনিয়োগ করেছিল। ফলাফল স্বরুপ বোর্ড পরীক্ষায় একটা ঈর্ষনীয় রেজাল্ট করতে পেরেছিল। যার দরুণ আমাদের বন্ধুত্বটা আরো টেকসই হয়।
.
প্রকৃত বন্ধুত্ব সেটাই যে, আজ থেকে দশ বছর পর কর্মজীবনে আপনি আপনার বন্ধুকে সমাজের কোন আসনে সমাসীন হতে কামনা করেন। বন্ধুত্বের আসলত্ব সেটাই যে, আজ থেকে দশ বছর পর আপনি আপনার বন্ধুকে কোনো সাধারণ কাঠের চেয়ারে দেখতে চান না দামী রিভলভিং চেয়ারে। পরীক্ষার হলে এক্সট্রা খাতাটা শেষ ঘন্টা অবধি আপনার কাছে দিয়ে রাখাকে আমার বন্ধুত্বের মহত্ত্ব বলে মনে হয় না। সেই-ই আপনার প্রকৃত বন্ধু যে পরীক্ষার আগের রাত পর্যন্তও আপনাকে সকল প্রকার সাজেসান্স, নোটস, টিপস ইত্যাদির মাধ্যমে সহযোগিতা করবে, কিন্তু পরীক্ষার হলে আপনি হবেন তার নিকট কোনো এক অপরিচিত ব্যক্তি।
.
সেই-ই প্রকৃত বন্ধুর উৎকৃষ্টতম উদাহরণ যে, সর্বদা আপনার গার্লফ্রেন্ডকে কুৎসিত ও আরো নানা খোচা মারা কথা বলে থাকে। আপনার কানের নিকট সবসময় দ্বায়িত্ব নিয়ে ঘ্যানর ঘ্যানর করতে থাকে এই বলে যে, 'দোস্ত এখন সময়টা নিজেকে গড়ার, যোগ্যতমের একজন হওয়ার, এখন এসব মরীচিকার পিছনে ছুটে চলার সময় নয়, বিবাহপূর্ব এসকল সম্পর্কের কোনো বৈধতা আজও নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি, এসব আমাদের ধর্মের সাথে পরিপূর্ণ ভাবে সাংঘর্ষিক ' ইত্যাদি..... ইত্যাদি। কিন্তু পরিণত বয়সে বিবাহের সময় আপনাকে রীতিমত উদ্বুদ্ধ করবে একজন যোগ্য জীবনসঙ্গিনী খুঁজে নিতে। বলবে 'দোস্ত, তুই এবার তোর যোগ্য কাউকে পেয়েছিস, তোর জীবন ধন্য হোক, দেখিস এবার তুই সত্যিই সুখী হবি'। ব্লা..ব্লা...।
.
আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি এ কারণেই যে, জীবনের কোনো এক মুহুর্তে আমি এমন মাস্টারপিস কিছু বন্ধুর দেখা পেয়েছিলাম। যাদেরকে উত্তমরুপে ভূষিত করার মত কোনো বিশেষণ আমার জানা নেই। নগণ্য একজন হিসেবে সবসময় আশা রাখি ও খোদা তা'য়ালার কাছে প্রার্থনা করি যেন পরিণত বয়সে আমরা সকলেই সমাজের দৃষ্টিনন্দন একটা পর্যায়ে উপনীত হতে পারি। বন্ধুত্বের এ অটুট বন্ধনের অতীত স্মৃতি মাঝে মধ্যে আপন সত্ত্বাকে খুবই পীড়া দেয় যেটা ভাষায় প্রকাশ করা অতিশয় দুঃসাধ্য!
.
পৃথিবীর আপামর বন্ধুগণ বেঁচে থাকুক সকলের হৃদয়ে আবহমানকাল। সকল পবিত্র বন্ধুত্ব অমরত্ম লাভ করুক। সঙ্গ দোষে লোহা ভাসার মত বন্ধুত্বগগুলোর বিনাশ সাধিত হোক। সবশেষে বন্ধুত্বেরই জয় হোক।

সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দীপনের দীপ নেভে না

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯


ছবিঃ সংগৃহীত
আজকে সামুর অন্ধকার ব্লগার নামে খ্যাত ফয়সাল আরেফিন দীপনের মৃত্যু দিবস। ২০১৫ সালে আজকের এই দিনে জঙ্গি হামলায় দীপন মারা যান নিজ প্রকাশনীর কার্যালয়ে । যে ছেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বজলুল হুদাকে জবাই করে হাসিনা : কর্নেল (অব.) এম এ হক

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৯

মেজর বজলুল হুদাকে শেখ হাসিনা জবাই করেছিলেন।

(ছবি ডিলিট করা হলো)

শেখ মুজিবকে হত্যার অপরাধে ২৮শে জানুয়ারী ২০১০ এ মেজর (অব.) বজলুল হুদা সহ মোট ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মি. চুপ্পুর পক্ষ নিয়েছে বিএনপি-জামাত; কারণ কী?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬


বিএনপি গত ১৬ বছর আম্লিগের এগুচ্ছ কেশও ছিড়তে পারেনি অথচ যখন ছাত্ররা গণহত্যাকারীদের হটিয়েছে তখন কেন বিএনপি চু্প্পুর পক্ষ নিচ্ছে? অনেকেই বলছে সাংবিধানিক শুন্যতা সৃষ্টি হবে তার সংগে বিএনপিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগারেরা প্রেসিডেন্ট চুপ্পুমিয়াকে চান না, কিন্তু বিএনপি কেন চায়?

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪



**** এখন থেকে ১৯ মিনিট পরে (বৃহ: রাত ১২'টায় ) আমার সেমিব্যান তুলে নেয়া হবে; সামুটিককে ধন্যবাদ। ****

***** আমাকে সেমিব্যান থেকে "জেনারেল" করা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিকাহের পরিবর্তে আল্লাহর হাদিসও মানা যায় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪




সূরা: ৪ নিসা, ৮৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৭। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তিনি তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্র করবেন, তাতে কোন সন্দেহ নাই। হাদিসে কে আল্লাহ থেকে বেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×