আমায় একটা বলপেন ও সাদা কাগজ এনে দাও
আমি ক'টা ভাতের ছবি আঁকি—দুপুর বেলার রৌদ্রে ফুটানো
ভাতের ছবি
সাদা ভাতের ছবি
রুটি নয়, ভাতের ছবি।
এখানে দেয়ালে দেয়ালে আঁকা আছে
কত-শত বীভৎস চামড়ার রুটি
শূণ্য ভাটি,
চোখের জ্বলে পূর্ণ হয়ে ওঠে তৃষ্ণার্ত পেয়ালা; মিটে পিপাসা এটুকুখানি।
নেংটো জামা গায়ে স্থির চিত্রে উড়তে চাচ্ছে কিছু কঙ্কাল
আর কিছু বাস্তবে, আমিসহ আমাদের সাথে।
তবু সব ভুলে, চাই
সাদা ভাত এক ভাটি।
এখানে প্রচুর রোদ
কারাগারের ছাদে ভাত ফুটানো অসাধ্য কিছু নয়;
এখানে তো অসুস্থ রোগীকে রোদ্রে শুকিয়ে সুস্থ করা হয়।
তাও যদি সে সুস্থ না হয়, তবে আছে উত্তপ্ত ফুটানো পানি
চালের জন্য নয়,
নয় ভাতের জন্য; এ পানি মুমূর্ষু রোগীর
দেহে সেবিকা হিসেবে তাকে চুমু খায়,
সঙ্গমে সঙ্গমে চুষে নেয় সব কঠিন ব্যাধি।
এ পানি সত্যি তাকে সুস্থ করে!
অবাক হয়ে দেখি সাকরাতুল মাউতের কেরামতি
আর আঁতকে উঠি।
নিজেদের পরিনতি নিয়ে ভাবি।
আজ পহেলা বৈশাখ, হয়ত চৈত্রের রাঙা সর্বনাশ
হিসেবে গণ্ডগোল, বড্ড গণ্ডগোল
তৃষ্ণার্ত সূর্যের মত কিংবা গভীর অন্ধকারের,
তবে আজ আকবরকে নিয়ে যাবে রৌদ্রে
তা ভুলিনি আমরা কেউ।
যে ভুলে গেছে তার বোনের কথা মেয়ের কথা, সেও ভুলেনি
সেদিনের দুর্জয়ের ঝলসানো দেহে উঠা কাঁপন।
ভুলে গেছি আমরা পহেলা বৈশাখ কিংবা পবিত্র রজনীগুলোর কথা
আমাদের শান্তি কেবল আমাদের মায়ের স্মৃতি, যা ভুলতে পারলেই হয়ত মুক্তি পাই; যদি হতে পারি শব হাজতি।
(কবিতার মত দেখালেও এটি মোটেও কবিতা হওয়ার জোখা নয়, তাই মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।)
আপনার চোখে ধরা পড়া ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী!
ছবি: ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৫৯