★ছোটবেলায় স্কুল থেকে অাসার সময় রিক্সাভাড়া বাঁচিয়ে দুটো চকলেট কিংবা একটা অাচার কিনে অানতো ছেলেটা।রাস্তায় খেতো না।বাসায় অানতো,যদিও সে জানে বাসায় গেলে তার ভাগ্যে প্যাকেট ছাড়া কিছু জুটবেনা।ছোট বোনটি সব নিয়ে নিবে।ছেলেটা সাথে সাথে টানাটানি করতো কিন্তুু প্রতিদিনই ইচ্ছে করে হেরে যেত।কারণ সে চাইতোই বোনকে দিবে।ছেলেরা যে বলতে জানেনা।
|
★ছেলেটা যখন ক্লাসে কোন একবার ফার্স্ট থেকে থার্ড হয়ে যায়,বাবা-মা বলতে থাকে তোমার জন্য মুখ দেখানো যাবেনা।অমুকের ছেলে ১ম,তমুকের ছেলে ২য়।ছেলেটা পরেরবার পরীক্ষার হলে যাবার সময় একটা কথাই ভাবে,যাতে বাবা-মা'র বকুনি না শুনতে হয়।তাদের মাথা যেন উপরে থাকে।অথচ ফার্স্ট হতেই হবে এমন কোন লোভ ছেলেটির নেই।
★ছেলেটা যখন ভার্সিটির গন্ডি পেরোতে থাকে,তখন চিন্তা ভর করে বাবা-মাকে কিছু দেবার জন্য চাকুরী পাবো তো।তার চিন্তা নিজেকে ঘিরে থাকেনা, থাকে পরিবারের জন্য।একা চলতে যে চিন্তার প্রয়োজনই হয়না।
|
★ছেলেটি যখন সংসারে ঢুকে,তার সারাদিনের অফিসের পর স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলে কিছু লাগবে?কখনো এটা অাশা করেনা তাকে সেটা কেউ প্রশ্ন করবে।
|
★ছেলেটা যখন বাবা হয়,রাজ্যের খুশি চাপে তার উপর।
|
প্রতিটি ছেলেই জন্ম থেকে কর্তব্যটাকে বেশ অায়ত্ত করে ফেলে।সেটা কখন যে হয়ে যায় সে টেরই পায়না।অথচ ছেলেটাকে যৌবনের শেষ ধাপ পর্যন্ত শুনতে হয় সে খারাপ,প্রতারক কিংবা বাবা-মা'র স্বপ্নভঙ্গকারী সন্তান।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৭