জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনা, কে কাকে ত্যাগ করবে? নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে মতামত দিচ্ছেন অনেকেই?
এটা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বর্তমানে সবচেয়ে কঠিনতম সময় পার করে যাচ্ছে ।
তার উপর তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের উপর চালানো হচ্ছে নৃশংসতম বর্বরতা যা অতীতের যেকোনো রেকর্ড ব্রেক করেছে।
ঠিক এই ধরনের লাগাতার গুম ,খুন আর অত্যাচার নিপীড়ন নির্যাতন নিকট অতীতে অন্য কোন দল বা ছাত্র সংঘটনের উপর চলেছে বলে আমার জানা নাই। (কারো জানা থাকলে বা বল্লে বাধিত হবো)
যদি হতো তাদের অস্তিত্ব থাকতো কিনা? যথেষ্ট সন্দেহ হয়। শিবিরের ধারনা?
কিন্তু সেক্ষেত্রে জামায়াতের শিবির তাদের অবস্থান ঠিকই ধরে রেখেছে বলে মনে করছে (ধারণা) শিবিরের?
এবার যদি মূল প্রসঙ্গে আসি তাহলো যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের বিচার নিয়ে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জামায়াতের সাথে বিএনপি র মধ্যে যে নৈকট্য কমেছে তা দৃশ্যমান ।
বিশেষ করে সন্ত্রাস দমনে জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে যখন কথা উঠল বিষয়টি আরো প্রকট হলো।
ডঃ এমাজ উদ্দিন সাহেবের মতে প্রয়োজনে জাতীয় স্বার্থে জামায়াত নিজেকে ২০ দলীয় জোট হতে দুরে রাখবে।
ডাঃ জাফরুল্লাহ সাহেব ও প্রায় একই কথা বলেছেন।
এরপর সর্বশেষ বিএনপি নেতা জনাব হান্নান শাহ ও বলে দিয়েছেন আওয়ামিলীগের সাথে জাতীয় ঐক্য হতে বাধা নেই।আর সে ক্ষেত্রে আওয়ামি কথা বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে হবে।?
এই মূহুর্তে জামায়াত ২০ দলীয় জোটের কোন প্রকারের সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই কঠিন সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যাচ্ছে ।
বর্তমানে বলতে গেলে জোটের কোন প্রকার কার্যক্রম নাই শুধুমাত্র নাম টি ছাড়া।
এত কিছুর পরেও এটি এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে, বাংলাদেশ জামায়াতের অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ধারনা জামায়াতের?
তার অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কখনো নেতৃত্ব সংকটে আক্রান্ত হবে না।
বিশেষ করে শিবিরের প্রতিষ্ঠার পর হতে এই পর্যন্ত যত গুলো কেন্দ্রীয় সভাপতি হয়েছিলেন তারা প্রত্যেক জনই জামায়াতের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা রাখেন।তাই রাজনৈতিক উত্থান পতনের হিসেব কষলে জামায়াতের অবস্থান অনেক শক্ত এটি মানতেই হবে।
কট্টর জামায়াত বিরোধী অর্থনীতিবিদ ডঃ আবুল বারাকাত যার গবেষণার এক বিশাল সাবজেক্ট হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী, তার মতে “ এক মাত্র জামায়াতে ইসলামীই সরকার পরিচালনার যোগ্যতা রাখে। ”
তাই ২০ দলীয় জোটে জামায়াত থাকবে কি থাকবে না সেই সিদ্ধান্ত আমার মনে হয় বিএনপি কেই নিতে হবে। যেহেতু ইস্যু টি বিএনপি র পক্ষ থেকেই এসেছে সুতরাং সিদ্ধান্ত ও তারা নেবে ..
ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২১