ষড়যন্ত্র ফাঁস: বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা ১৯৭৫ সালের মতো দখল করার জন্যই তারেক জিয়ার নির্দেশেই ইসরাইলের সাফাদির সঙ্গে আসলামের আর্থিক লেনদেন!
সাইয়িদ রফিকুল হক
বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা ভোটের মাধ্যমে বা যেকোনো সুষ্ঠু-নির্বাচনের মাধ্যমে আর তারেক জিয়ার অনুকূলে যাবে না। আসল কথা হলো: ভোটের রাজনীতিতে তারেক জিয়াদের আর কোনো আস্থা নাই। তাই, এখন তাদের একমাত্র আশা-ভরসা হলো: পিতৃপ্রদত্তপথ ১৯৭৫ সালের মতো পাটপরিবর্তন। আর সেই আশাতেই তারেক জিয়া ইহুদীরাষ্ট্র-ইসরাইলের শরণাপন্ন হয়েছে। প্রথমে শুনেছিলাম: ইসরাইলের গোয়েন্দাসংস্থা মোশাদের সঙ্গে তারেক জিয়ার আদর্শপুষ্টদের একটি গোপন বৈঠক হয়েছে। কিন্তু ধীরে-ধীরে সব খবর বেরিয়ে আসছে। গোয়েন্দাদের হাতে ইতোমধ্যে অনেক তথ্য চলে এসেছে। আশা করা যাচ্ছে: অচিরেই আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে। আর একসময় হয়তো বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।
মোশাদের সঙ্গে বর্তমান বিএনপি’র শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতার গোপন বৈঠক হয়েছে। আর তাই, তারেক জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতাদখলের জন্য সর্বপ্রকার সাহায্যকারী ‘মোশাদ’কে হাজার-হাজার কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছে। আর তাদের (মোশাদকে) একমাত্র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান তথা আওয়ামীলীগসরকারকে যেকোনোমূল্যে উৎখাত করা।
তারেক জিয়ার নির্দেশে বিএনপি’র ষড়যন্ত্র এখানেই থেমে থাকেনি। মোশাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তারেক জিয়ার নির্দেশে আসলাম চৌধুরীরা ইসরাইলের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গেও বৈঠক করেছে। আর গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদকালে বিএনপির বর্তমান যুগ্মমহাসচিব আসলাম চৌধুরী সত্যস্বীকার করে বলেছে: শুধু বৈঠক নয় তারা তারেক জিয়ার নির্দেশে লিকুদ পার্টির এই নেতাকে হাজার-হাজার কোটি টাকা দিয়েছে—আওয়ামীলীগসরকারকে উৎখাত করার জন্য। আসলাম চৌধুরী বর্তমানে সাতদিনের রিমান্ডে। আস্তে-আস্তে ষড়যন্ত্রের সব খবর ফাঁস হচ্ছে। একই বলে ‘ধর্মের কল বাতাসে নড়ে’!
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী একজন তারেক জিয়ার নির্দেশেই আসলাম চৌধুরীরা ইসরাইলের মোশাদ ও লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেছে। তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতাদখল করার জন্য হাজার-হাজার কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছে বিশ্বের একমাত্র ইহুদীরাষ্ট্র-ইসরাইলের মোশাদ ও লিকুদ পার্টিকে।
গোয়েন্দা-রিপোর্টে আরও জানা যায়: আসলাম চৌধুরীর মোবাইল-ফোনের মেসেজের মধ্যেই এইসব তথ্য পাওয়া গেছে। আর তার মোবাইলের সূত্রধরেই এসব তথ্য সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। ঘটনা ফাঁস হওয়ায় আসলাম চৌধুরী দোষারোপ করেছে মোশাদের ভারতীয়-এজেন্ট শিপন কুমার বসুকে। তার ভুলের কারণেই নাকি তারা ধরা পড়ে গেছে। আওয়ামীলীগসরকারকে উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের বৈঠক হয়েছে: দিল্লিতে, লন্ডনে ও ইসরাইলে। গোয়েন্দাদের সূত্র থেকে জানা যায়: লন্ডনের বৈঠকে মি. রহমান নামের একব্যক্তির নির্দেশে বিশাল অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়। আর এই মি. রহমানই হচ্ছে বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক জিয়া।
গোয়েন্দা-মারফত জানা যায় একজন আসলাম চৌধুরী একজন মোসাদ্দেক আলী ফালুর মতো জিরো থেকে হিরো হয়েছে। বিএনপি করার সুবাদে আসলাম চৌধুরী হঠাৎ তারেক জিয়ার নেকনজরে পড়ে যায়। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে আসলাম চৌধুরী পথের ফকির থেকে এখন হাজার-হাজার কোটি টাকার মালিক! শুধু তাই নয়: বিগত চারদলীয়জোট-সরকারের আমলে এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল ‘আদমজীজুটমিল’ ভাঙ্গার কাজ পেয়েছিলো এই আসলাম চৌধুরী। আর সেখান থেকে সে দু’হাতে লুটপাট করে নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছে। আরও চমকপ্রদ তথ্য হলো: মোশাদের একজন নির্ভরযোগ্য বাংলাদেশীএজেন্ট হলো এই আসলাম চৌধুরী। তার নেতৃত্বে এখন বাংলাদেশে যাবতীয় নাশকতার ছক কষা হচ্ছে। আর তাকে সবসময় মদদ দিচ্ছে নাশকতার বিশিষ্ট মদদদাতা লন্ডনে অবস্থানকারী যুবসমাজের অহংকার তারেক জিয়া!
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
২১/০৫/২০১৬
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০