somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাইয়িদ রফিকুল হক
আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

আজকাল একশ্রেণীর সস্তা-মোল্লা-মৌলোভী ও মসজিদের ইমাম কিছু হলেই শুরু করে নারীবিরোধী ওয়াজ-নসিহত! কিন্তু এর শেষ কোথায়?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজকাল একশ্রেণীর সস্তা-মোল্লা-মৌলোভী ও মসজিদের ইমাম কিছু হলেই শুরু করে নারীবিরোধী ওয়াজ-নসিহত! কিন্তু এর শেষ কোথায়?
সাইয়িদ রফিকুল হক

আজকাল মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে গেলে ভয়ানক বিপদে পড়তে হয়। মসজিদের একশ্রেণীর সস্তা-ইমাম যেন একেবারে ক্ষেপে গেছে। এরা জুম্মার নামাজের আগে খুতবার আলোচনার নামে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শুরু করে দেয় নিজেদের বস্তাপচা, মনগড়া, আবোলতাবোল, উদ্ভট, আজেবাজে, আলতুফালতু ও কী-সব কাল্পনিক শয়তানী-কথাবার্তা।
এরা দিনের-পর-দিন যেন আরও লাগামছাড়া হয়ে উঠছে। আর এদের কথাবার্তার মধ্যে সততার লেশমাত্র নাই। আর এরা জুম্মার নামাজের আগে পবিত্র কুরআন-হাদিসের কথা বলার চেয়ে নিজেদের মনগড়া কথা বলতে বেশি ভালোবাসে। যেমন, একটি খুতবায় আছে আমলের গুরুত্ব-সম্পর্কে আলোচনা। কিন্তু এরা আমলের কথা প্রথমে একলাইন শুরু করে তারপর আচমকা শুরু করে দেয়: “দেশে আমল কীভাবে হবে? দেশে মেয়ে-ছেলেরা যে-ভাবে দিন দিন বেপর্দা হচ্ছে, তাতে মনে হয় এদেশে আর ইসলাম থাকবে না। ইসলামকে ধ্বংস করার বিরাট চক্রান্ত চলছে। আর বাংলাদেশে ইসলাম না রাখার জন্য ইহুদী-নাসারাগোষ্ঠী বিরাট এক ষড়যন্ত্র করছে। এদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। দেশে ইসলামীশাসন থাকলে কখনও এরকম হতো না। পাকিস্তানে, সৌদিআরবে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের শিরোচ্ছেদ করা হয়! আমাদের দেশেও নাস্তিকরা খুব বেড়ে গেছ। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।” আপনারাই ভেবে দেখুন, এর মধ্যে আমাদের মহান আল্লাহ ও পবিত্র রাসুলের কোনো কথাবার্তা নাই। এই ইমাম-নামধারী ব্যক্তিটি এভাবে মসজিদের মিম্বরে বসে দিনের-পর-দিন যা-কিছু বলেছে আর বলছে তার পুরোটাই এর নিজের মনগড়া। এখানে কোনো ইসলামধর্ম নাই। এখানে আছে তার পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক দলের শয়তানী-এজেন্ডা। আর পাকিস্তানপন্থীদের শয়তানী-এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্যই এই ইমাম আজ দিশেহারা। সে আর মসজিদের ইমাম নাই। সে হয়ে গেছে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের এজেন্ট। এদের পিছনে মুসলমানরা এখন নামাজ পড়বে কীভাবে? একজন ইমাম এভাবে মিথ্যকথা বললে তার পিছনে তো মুসলমানদের নামাজ হবে না। এরা সত্যকে পাশ কাটিয়ে ওলী-বুজুর্গদের লিখিত খুতবার আলোচনা বাদ দিয়ে বিশেষ রাজনৈতিক দলের ‘খুতবা-আলোচনা’ করতে বেশি পছন্দ করে। আর তা-ই এদেশের একশ্রেণীর অজ্ঞ-মূর্খ-মুসলমানদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। এরা আর ইমাম নাই। এরা এখন হয়ে গেছে পাকিস্তানের বিশ্বস্ত-এজেন্ট।

এভাবে কিছু-একটা আলোচনার সুযোগ পেলেই তারা আমাদের দেশের মেয়েদের সরাসরি আক্রমণ করে বসে। এরা এগুলো করতে ভালোবাসে। আর এরা বলে থাকে সমাজের, রাষ্ট্রের অবনতির জন্য একমাত্র নারীরাই দায়ী। তাদের হাবভাবে, চালচলনে ও চিন্তাচেতনা দেখে তাইতো মনে হয়। এরা কিছু হলেই বলে থাকে: “সমাজে বেপর্দা মেয়ে-ছেলের সংখ্যা বেশি বেড়ে গেছে। তাই, দুনিয়ায় এতো আজাব-গজব! মেয়েরা হলো: শয়তানের ওয়াস ওয়াসা!” কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো: এই আত্মস্বীকৃত ইমাম-ব্যক্তিটিও কমপক্ষে দুই-একটি বিয়ে করেছে। আর তার আরও বিয়ে করার ইচ্ছা আছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় আইনের কারণে তা হয়তো করতে পারছে না। সে কিন্তু এখনও একজন ‘মেয়েছেলে’ নিয়ে জীবন কাটাচ্ছে। আর এই ব্যক্তিই কিনা ওয়াজ করে নারীবিরোধী! হয়তো এই ব্যক্তি বলবে: তার স্ত্রী পর্দানশীন-জেনানা। আর সে নিয়মিত বোরকাপরিধান করে থাকে। আর তাইতে সে ভালো! আর দুনিয়ার সব মানুষ—যারা বোরকা পরে না, তারা বুঝি খারাপ? এভাবে তারা ইসলামের বিকৃত-ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের সমাজ-রাষ্ট্রকে কলুষিত করছে।

আমাদের পবিত্র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৩টি মতান্তরে ১৪টি বিবাহ করেছেন। আর তিনি তার স্ত্রীদের খুব ভালোবাসতেন। তিনি জীবনেও তাঁর কোনো স্ত্রীকে কখনও সামান্যতম গালমন্দ কিংবা মারধর করেননি। আর তিনি সবসময় তিনটি জিনিস ভালোবাসতেন। এগুলো হলো: সালাত (নামাজ), স্ত্রীলোক, আর সুগন্ধি। এগুলো রাসুলের সুন্নাত। তিনি কখনও নারীবিরোধী বক্তব্য দেননি। কিন্তু এখন দেশের একশ্রেণীর ইমাম-নামধারী জাহেল নিজেদের মনমতো আর মনগড়াভাবে ইসলামপ্রচারের নামে পাকিস্তানীশরীয়তের আজগুবীধারা-বাস্তবায়ন করতে চায়। এরা মনে হয়: পাকিস্তানের কুখ্যাত লম্পট-লোচ্চা-সামরিকজান্তা আইয়ুব খান, শয়তান-পাপিষ্ঠ ইয়াহিয়া খান, আর বেজন্মা টিক্কা কসাই খানের মতো ইসলাম কায়েম করতে চায়। আমাদের মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনে কখনও-কোনোদিন নারীদের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেননি। তিনি যদি নারীদের খারাপ ভাবতেন—তাহলে, ১৩-১৪টি বিবাহ করতেন না। কিন্তু আমাদের দেশের একশ্রেণীর ভণ্ডইমাম আর একাত্তরের পরাজিতগোষ্ঠী সবসময় পবিত্র রাসুলের নামে ‘জাল-হাদিস’ প্রচার করেছে, আর এখনও করছে। এরা আমাদের ধর্মের চিহ্নিত-শয়তান। এদের হাত থেকে ইসলামকে রক্ষা করতে না পারলে একশ্রেণীর মূর্খমুসলমান আরও গোমরাহ হয়ে যাবে। দেশের শিক্ষিত-মুসলমানরা এখন যথেষ্ট সচেতন (তবে এর ভিতরেও একশ্রেণীর সার্টিফিকেটধারী-নরপশু বিভ্রান্ত হচ্ছে। আর এরা সন্ত্রাসবাদের সমর্থক)। কিন্তু ইসলামের সুমহান ত্যাগের আদর্শ এদের ভালো লাগে না। ইসলামের কোথাও জঙ্গী হয়ে ওঠার নির্দেশনা নাই। এগুলো ইসলামত্যাগী ‘ইসলামিক রাজনীতির ধ্বজাধারী’ বিকৃতমনাদের কাজ। আর এই বিকৃতমনাদের মুখপাত্র এখন মসজিদের একশ্রেণীর ভণ্ডইমাম। এরা ইসলামের স্বার্থরক্ষা নয়—বরং পবিত্র ইসলামকে ধ্বংস করার কাজে নিয়োজিত। এরা দুনিয়ালোভী—ওলামায়ে ছুঁ। এদের কাছে আখেরাতপরকাল কিছুই না। তাই, এরা ইসলামের নাম-ভাঙ্গিয়ে এখন মানুষহত্যায় মেতে উঠেছে। মহান আল্লাহ অনেক ভালোবেসে মানুষসৃষ্টি করেছেন। আর সেই মানুষকে কারও ব্যক্তিগত-দলীয় স্বার্থের কারণে কখনওই হত্যা করা যাবে না।

এই শ্রেণীর ভণ্ডইমামরা ইদানীং ভয়ানকভাবে ক্ষেপে গেছে। কারণ, এদের বাপদের—মানে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, তাদের ফাঁসি হচ্ছে। তাই, এরা এখন টালমাটাল আর খুব বেসামাল। এজন্য ওদের মুখে এখন যা আসে তা-ই বলে যাচ্ছে। কিন্তু এটা তো মেনে নেওয়া যাবে না। এরা এতোটাই বেসামাল যে, এদের জন্য আজকাল আর চুপচাপ মসজিদে বসে থাকা যায় না। এরা এমন সব ইসলামবিরোধী কথাবার্তা বলে থাকে যা আরবের জাহেলরাও বলতো না। গত এক জুম্মায় এক জাহেল ইমাম বলছিলো: “মেয়েদের চাকরি করা নাজায়েজ-হারাম। কারণ, মেয়েদের পর্দা করা ফরজ। আর যদি কেউ যথাযথভাবে পর্দা করে, মানে, বোরকা পরে অফিস-আদালতে যেতে পারে, তাহলে, তা জায়েজ আছে।” এগুলো এদের সম্পূর্ণ মনগড়া শয়তানী-কথাবার্তা। আর এরা কত বড় ভণ্ড! এরা পর্দার কথা বলে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মেয়েদের শালীন পোশাকআশাক পরতে বলেছেন। আর তারা বাইরে বের হওয়ার সময় যেন অতিরিক্ত একটা চাদর ব্যবহার করে। আর এরা মহান আল্লাহর সত্য-সুন্দর কথাটাকে জোর করে টানতে-টানতে বোরকা পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। এরা বলে: মেয়েদের পর্দা করা মানে বোরকা-পরা ফরজ! এরা এভাবে বোরকাকেও শরীয়তের অংশ বানিয়ে নিয়েছে। আর মেয়েদের চাকরি করা যাবে না—এমন কথা মহান আল্লাহ কিংবা আমাদের পবিত্র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর জীবনে কখনও-কোথাও-কোনোদিন বলেননি। যারা পবিত্র রাসুলের নাম-ভাঙ্গয়ে নিজেদের স্বার্থে আবোলতাবোল ও মনগড়াভাবে মিথ্যাকথা বলবে, তারা মুসলমান নয়। এরা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে।

ইসলামে পর্দার বিধান তো পুরুষদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। শুধু মেয়েরা পর্দা করবে—আর তুমি বেপর্দা হয়ে পাকিস্তানীস্টাইলে পাকিস্তানী-জেনারেলদের মতো দুনিয়ার সব আওরতের সঙ্গে অপকর্ম করার চিন্তাভাবনা করবে—তা হবে না, তা হবে না। মানুষ আর আগের মতো নাই। আশার বাণী হলো: দেশের কিছুসংখ্যক মানুষ এদের পরিকল্পিত-ভণ্ডামির বিরুদ্ধে জেগে উঠছে। আর তাদের এই জেগে ওঠার সুযোগটাকে আরও বেগবান করতে হবে। আর প্রচণ্ডদ্রোহে রুখে দাঁড়াতে হবে দুনিয়ার সমস্ত ভণ্ডের বিরুদ্ধে। আর সবাইকে উচ্চকণ্ঠে বলতে হবে: আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা দুনিয়ার সমস্ত ভণ্ডের বিরুদ্ধে। আর আমরা চিরদিন সকলপ্রকার ভণ্ডামির বিরুদ্ধে।

এরা কেন এসব মনগড়া ওয়াজ-নসিহত করে? এর কারণ হলো: সন্তানের জন্মদাত্রী হলো মা। আর সন্তানের সঙ্গে সবসময় তার সুসম্পর্ক রয়েছে। আর এই মাকে যদি একবার জোর করে বোরকা পরিয়ে মোল্লা বানানো যায়, তাহলে, দেশে অনবরত মোল্লা পয়দা হতেই থাকবে। তাই, এরা পর্দার কথা বলে, বোরকার কথা বলে, নারীদের গৃহবন্দী করে রাখতে চায়। মহান আল্লাহ মেয়েদের শালীনপোশাক পরে পর্দা করতে বলেছেন। আর তারা বাইরে যাওয়ার সময় যেন অতিরিক্ত একটা চাদর ব্যবহার করে। এর বেশি কিছু নয়। কিন্তু এই সাধারণ মোল্লারা আল্লাহর বাণীকে বেমালুম ভুলে গিয়ে এদেশের নারীদের জোরপূর্বক বোরকা পরানোর চক্রান্ত করছে। মোটকথা, তারা এই দেশে পাকিস্তানীস্টাইলে মোল্লাতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাচ্ছে। আর এরা ইসলামের নয়—এরা শুধু পাকিস্তানের।

এর কিছুদিন আগে (কয়েক জুম্মা আগে) এক ভণ্ডইমাম মসজিদের মিম্বরে বসে তারস্বরে ঘোষণা করছিলো: “মেয়েদের চাকরি করা হারাম। আর সব চাকরি মেয়েরা করতে পারবে না। আর যদি সেইরকম পর্দাপুশিদার সঙ্গে—মানে, বোরকা পরে সে যদি সবসময় অফিসে যাতায়াত করতে পারে, তাহলে, জায়েজ!” বোরকা পরলেই সব জায়েজ!
একটু পরে এই ইমাম আবার বলতে লাগলো: “স্বামীদের দায়িত্ব হলো স্ত্রীকে সবসময় পর্দাপুশিদার সঙ্গে, বোরকা পরিয়ে রাখা। আর এই দায়িত্ব অবহেলা করলে কাল-কিয়ামতে স্বামীদের এইজন্যে জাহান্নামে যেতে হবে! আর স্বামীদের কাছে অনুরোধ হলো: আপনারা জোর করে আপনার স্ত্রীকে বোরকা পরান। আর স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় বোরকা পরতে রাজী না হয়—তাহলে, আপনি বুঝবেন সে শয়তানের অনুসারী। আর এক্ষেত্রে আপনি তাকে প্রহার করুন। আর এক্ষেত্রে স্ত্রীকে মারধর করা জায়েজ আছে। এছাড়াও, আরও নানাকারণে স্বামীদের অধিকার রয়েছে, তাদের স্ত্রীদের প্রহার করার। এগুলো আমি আগামীজুম্মায় পরে আপনাদের বুঝিয়ে বলবো!”

এইসব ভণ্ডইমাম সবসময় পবিত্র কুরআন-হাদিসের নাম-ভাঙ্গিয়ে নিজেদের মিথ্যা-মনগড়া-কথা প্রচার করে থাকে। আমাদের মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৩-১৪জন স্ত্রীর সঙ্গে পর্যায়ক্রমে ৩৮ বছর যাবৎ পবিত্রভাবে দাম্পত্যজীবনযাপন করেছেন। কিন্তু তিনি কখনও তার কোনো স্ত্রীকে সামান্যতম বকাঝকা কিংবা মারধর করেননি। আর এইসব ভণ্ডইমাম এসব কী বলছে? আশা করি বুদ্ধিমানদের আর-কিছু বুঝিয়ে বলার দরকার নাই। শুধু এইটুকু বলবো: এইসব ভণ্ডইমাম শয়তানের একটা এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছে। এরা নারীদের পদে-পদে বাধাগ্রস্ত করে দেশটাকে মোল্লাতন্ত্রের দিকে নিয়ে যেতে চায়। মহান আল্লাহ এর থেকে আমাদের রক্ষা করুন। আমীন। আমীন। আমীন।

এইসব ভণ্ডইমামের কারণে আজ আমাদের সমাজে-রাষ্ট্রে নারীর প্রতি বৈষম্য বাড়ছে। আর এদের নেতিবাচক চিন্তাচেতনার কারণে একশ্রেণীর সস্তা-মুসল্লি ও সাধারণ মানুষ স্ত্রীনির্যাতনে-নারীনির্যাতনে আরও বেশি উৎসাহিত হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে এইসব সস্তা-ইমামকে প্রতিরোধ করতে হবে। আর চিরতরে বন্ধ করতে হবে এদের মনগড়া-নারীবিদ্বেষী-আগ্রাসন।

দেশ, জাতি ও পবিত্র ইসলামের স্বার্থে একশ্রেণীর ভণ্ডইমামের নারীবিরোধী তথাকথিত-ওয়াজ-নসিহত চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে। পবিত্র ইসলামের নামে এগুলো আধুনিকযুগের জঘন্য ফিতনাফাসাদ। আর জাতি, আজ এর থেকে মুক্তি চায়।

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
২৩/০৪/২০১৬
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মত প্রকাশ মানে সহমত।

লিখেছেন অনুপম বলছি, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৭

আওয়ামী লীগ আমলে সমাজের একটা অংশের অভিযোগ ছিলো, তাদের নাকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই। যদিও, এই কথাটাও তারা প্রকাশ্যে বলতে পারতেন, লিখে অথবা টকশো তে।

এখন রা জা কারের আমলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্নমর্যাদা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

রেহমান সোবহান একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার। রেহমান সাহেব এমন একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন যা খুব নির্জন এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে যাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁঠালের আমসত্ত্ব

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

কাঁঠালের কি আমসত্ত্ব হয় ? হয় ভাই এ দেশে সবই হয়। কুটিল বুদ্ধি , বাগ্মিতা আর কিছু জারি জুরি জানলে আপনি সহজেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাতে পারবেন।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানানের জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প বলেছে, বাংলাদেশ পুরোপুরি এনার্খীতে, তারা মাইনোরিটির উপর অত্যাচার করছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬



৩ দিন পরে আমেকিকার ভোট, সাড়ে ৬ কোটী মানুষ ভোট দিয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যে; ট্রাম্পের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৫১ ভাগ। এই অবস্হায় সনাতনীদের দেওয়ালী উপক্ষে ট্রাম্প টুউট করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। অ্যাকসিডেন্ট আরও বাড়বে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



এরকম সুন্দরী বালিকাকে ট্র্যাফিক দায়িত্বে দিলে চালকদের মাথা ঘুরে আরেক গাড়ির সাথে লাগিয়ে দিয়ে পুরো রাস্তাই বন্দ হয়ে যাবে ।
...বাকিটুকু পড়ুন

×