১) বিভাগীয় শহরের বড় এক জামাত নেতা আমার আত্মীয় হন। গতবার দেশের বাড়ি থেকে আসার পথে উনার শহরস্থ বাসায় উঠলাম। উনার ওখানে দু'দিন মেহমান হয়ে ছিলাম। উনার বাসায় থাকাকালীন সময়ে লক্ষ্য করলাম, সালাফি মতাবলম্বীদের প্রতি উনার আলাদা এক ধরণের টান কাজ করে। বলা যায়, আশেকে এলাহি কারবার-সারবার। উনি যে ইমাম সাহেবের পেছনে নিয়মিত নামায আদায় করে আসছিলেন, কিছুদিন পর ঐ ইমাম উনার কাছে সর্বনিকৃষ্ট মানের মুর্খ প্রমাণিত হন। আমি এর কারণ আবিষ্কার করতে গিয়ে জানতে পারলাম, ইমাম মিয়া নাকি সালাফি মতাবলম্বীদেরর বিরুদ্ধে দলিলটলিল দিয়ে বয়ান করেন। রাহুল সাংকিত্যায়ন বলেছিলেন, 'ভারতীয়রা মুখের ভাষা দিয়ে পারমানবিক চাহিদা পূর্ণ করে।' এ কথার বাস্তবায়ন এখানেও দেখেছিলাম। ইমাম দেয় না ছাড়, লেগে যায় গ্রামে মার..। শেষ পর্যন্ত সালাফি মতাবলম্বীদের পক্ষ অবলম্বন করতে গিয়ে তিনি নির্যাতিত হয়ে পুলিশের দারস্থো হন। দুর্ঘটনা-পর্ব শেষ হওয়ার পর পুলিশ এসে তাদের চিরাচরিত অভ্যাসমত সব লণ্ডভণ্ড করে দেয়। আর এই ফাঁকে আমাকেও উনার সাথে ক্লিনিক পর্যন্ত যেতে হয়েছে। দ্রষ্টব্যে বলে রাখা উচিত, এলাকায় উনিই একমাত্র সালাফিদের নেতা ছিলেন; বাকি জামাতিরা উনাকে পথ পদর্শক মানতো। (এরা ক্ষমতায় না থাকায় এলাকাবাসী এদের থেকে প্রকাশমান কোন প্রতিক্রিয়া দেখতে পড়েনি।)
২) ভার্সিটি জীবনে আমি প্রায় সবার সাথেই অর্ধেকের চেয়ে বেশি মেশার চেষ্টা করতাম। আমার ভার্সিটি জীবনের বন্ধুরা এখন দেশে বিভিন্ন চাকরী ও ব্যবসাবাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। অনেকের সাথেই যোগাযোগ হয়। নাম বলব না, ভার্সিটি জীবনে আমার কিছু বন্ধু ছিল শিবিরপন্থী। আজকাল তাদের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি, তারা জাকির মোল্লার ভক্ত হয়ে গেছে। সালাফি মতাবলম্বীদের মধ্যে নাকি তারা উঁচু দরজায় পৌঁছে গেছে, এখন নাকি তারা অনেক কিছুই জানে (হয়ত এটাই জ্ঞানপাপীদের প্রথম ধাপ) । আগে যেমন শিবিরের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য আমাকে ইনভাইট দিত এখনো দেয়, তবে এখন দেয় জাকির মোল্লার দলে অংশগ্রহণের ইনভাইট।
জাফর স্যারের উপর হামলাকারী সম্পর্কে জানা গেল, সে নাকি সালাফি মতাবলম্বী এক মুসলিম দাবীদার। জাতীয় সংবাদ পত্রের লিংক এখানে →→ সালাফি মতবাদে উদ্বুদ্ধ ফয়জুলের পরিবার
পুলিশ ও ছাত্রলীগের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য ছাত্রশিবির ইঁদুরের ন্যায় আত্মগোপন করে আছে। আর এই সুযোগে সালাফি মতাবলম্বীরা গোপনে ছাত্রশিবিরের চেলাচামুণ্ডাদেরকে তাদের দলে নিয়ে মগজে খিচুরি ধোলাই দিয়ে মুজাহিদ বানিয়ে রাস্তায় ছাড়ছে। আর খিচুরি মার্কা এইসব বকধার্মীকেরা জিহাদি জিহাদি ভাব নিয়ে নিরপরাধ মানুষ হত্যা করে চলেছে; রাস্তার পাগলা কুকুরের ন্যায় কামড়ও দিচ্ছে । আবার অনেক জামাত-শিবির পন্থীরা নিজেদের অবৈধ প্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে সমাজ ধ্বংস করার মাধ্যমে সালাফিদের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
আর তাই আপাত দৃষ্টিতে আবুল মাল ভাইয়ের সাথে একাগ্রতা জানিয়ে জোড় গলায় দাবী করতে চাই, জামায়াতকে এখনই দেশ থেকে বের করে দেওয়া হোক : ____অর্থমন্ত্রী
**জাতীয় পত্রিকা
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯