পাকিস্তান সরকারের চামচা জামায়তে ইসলামির ছাত্র সংঘটন হচ্ছে ছাত্র শিবির। বাংলাদেশে এরা রগ-কর্তনকারী হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করে আছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই জামায়াতে ইসলাম ছিল পাকিস্তানের সাচ্ছা গোলাম, যা আমাদের নিকট রাজাকার বলেই পরিচিত। সামরিক শাসনের হাত ধরে এরা আবার পাগলা কুকুরের ন্যায় জেগে উঠে। বিএনপি সরকারের মদদে স্বাধীনতা বিরোধী এই অপশক্তি বাংলাদেশে তাদের নিকৃষ্ট জাল বিছাতে শুরু করে। তবে এবার রূপ ন্যায় মানুষের সাহায্যকারী হিসেবে। তাদের এই মুখোশ বেশিদিন টিকে থাকেনি। তারা নেমে পড়ে মানুষের রক্তপানে। সেই সময়কার ছাত্রলীগ সদস্যদের সাথে যেকোন সময় তাদের সংঘর্ষ লেগে যেত। তখন শিবিরের নেতা ও সদস্যরা মিলে ছাত্রলীগের সদস্যদের হাত ও পায়ের রগ কেটে দিত। যে ভয়ঙ্কর কথা শুনার সাথে সাথে লোম দাঁড়িয়ে যায় সেই কাজগুলো ছাত্রশিবির নিশ্চিন্তে করে যেত। তৎকালীন সময়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারতো না। সাধারণ ছাত্ররাও তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। এমনকি শিক্ষকদেরকে লাঞ্ছিত করতেও লজ্জাবোধ জাগতো না এই শিক্ষিত বেজন্মাদের।
শেখ হাসিনার সরকার আসার পর তারা আত্মগোপন করে। বিড়ালের হাত থেকে বাঁচতে ইঁদুর যেমন আত্মগোপন করে ঠিক তেমনই। কিন্তু ইদানীংকালে তাদের কিছু অপকর্ম চোখে পড়ার মত। বিগত দিনে ব্লগার হত্যাসহ আরো অনেক কুকর্মে এরা জড়িয়ে আছে। কিন্তু আমাদের সরকার এদের বিরুদ্ধে তেমন কোন গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যার দরুন, এখন ওরা গোপণে পেছন থেকে আমাদেরকে আক্রমণ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে যতদিন পর্যন্ত এ সংঘটন পুরোপুরিভাবে মুছে ফেলা হবে না ততদিন এই রকম গোপনহত্যা ও গোপন আক্রমণ হতেই থাকবে।
যদি এই অকর্মারা ইসলামের নামে মানব হত্যাকে পুণ্যের কাজ বলতে চায়, তবে নির্ঘাত তা ধর্ম নয় কিংবা এই মুর্খের দল ধর্মই বুঝতে পারেনি।
জাফর ইকবাল স্যার এখন শঙ্কামুক্ত
(ছবিগুলো ইন্টারনেটের টিউবওয়েল থেকে...)
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৫২