বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ঠগ বাছার (গা উজাড় করার জন্য নয়) জন্য এক বিস্ময়কর ছাঁকুনিযন্ত্র আবিষ্কার করিয়াছে যা ইতোপূর্বে স্বয়ং দুদক বা কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষেই করা সম্ভব হয় নাই | এই যন্ত্রের সাহায্যে মোট ৩০৬৫টি নমিনেশন পেপারের মধ্যে ক্রিমিনাল টাইপের ৭৮৬ জন প্রার্থীকে নিরভুলভাবে সনাক্ত করিয়া নমিনেশন পেপার বাতিল করিয়াছেন | এই মাত্র ২৫% এর মনোয়নপত্র বাতিল হইয়াছে জনগণের অর্থ লুটের (ঋণ খেলাপি) জন্য, যাদের অধিকাংশই বিএনপি ও তাদের লেজুড় দলগুলোর | ফেইল করা হইতে বাদ পড়ে নাই হিরো হীরালাল খ্যাত 'হিরো আলম' অথবা প্রাক আওয়ামী এবং বর্তমানে বেয়াদপখ্যাত গোলাম মাওলানা রনিও | এদের বাদে বাকি ৭৫% নমিনেশন প্রার্থী তাহলে ফেরেস্তা বলিয়াই ধরিয়া নেয়া যাইতে পারে - নির্বাচন কমিশন বলিয়া কথা | বাংলাদেশের এই সরকারি সংস্থা যে অভাবনীয় এফিসিয়েন্সি অর্জন করিয়াছে অচিরেই তাহা সারা বিশ্বের জন্য এক বিরল দৃষ্টান্ত হইয়া থাকিবে বলিয়া মনে হয় |
দুর্ভাগ্য সেই সকল অপরাধীদের যাহাদের মনোয়নপত্র বাতিল হইলো | ইহারা সময়ের সাথে নিজেকে এডাপ্ট করিতে শিখেন নাই | এই সকল বেকুবরা পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্রদের মতো (আমার এক ব্লগার বন্ধুর ভাষায়) ঠিকমতো পড়াশুনা করেন নাই, তাই তাহাদের এই করুন পরিণতি |
তবে চরম দুর্নীতিবাজ, লুচ্চা ও খুনি লেজেহোমো এরশাদ, শেয়ার বাজার, ব্যাংক লুটেরারা অথবা নারায়ণগঞ্জের 'দাদা' ভাই, বা টেকনাফের বদিভাবি সহ বেশ কিছু জিনিয়াস কিভাবে এই ছাঁকুনি যন্ত্র এড়াইয়া তাদের নমিনেশন বজায় রাখিতে পারিলেন তাহা সত্যি বিস্ময়কর ব্যাপার | নমিনেশন ফেইল প্রার্থীদের উচিত ছিল এই সকল পীরদের নিকট হইতে পরীক্ষা পাশের কোচিং নেওয়া |
অথবা এই সকল বেকুবদের উচিত ছিল দলমত নির্বিশেষে ক্ষমতাসীনদের সাথে হাত মিলানো | তাহা হইলে যত বড়ো ঋণ খেলাপিই হন না কেনো, তাহারা তারা এই বিস্ময়কর ছাকুনিযন্ত্রকে এড়াইয়া যাইতে পারিতেন - সংসদ সদস্য হওয়াটাই বড়ো কথা | এমনকি এই সকল স্বল্প মগজের ব্যক্তিরা হয়তোবা নির্বাচনে জয়ী হইয়া অন্যান্য মহান সংসদ সদস্যদের সাথে লুটপাটের মহাযজ্ঞে অংশ নিতে পারতেন | জনগণকে ছিবড়া বানাইয়া আরো নাদুস নুদুস হইতে পারিতেন | আফসোস, তাহাদের সেই ইরাদা আর পূরণ হইলো না |