বর্তমান অধিকাংশ মেধাহীন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ভিড়ের মধ্যে ম্যাগ্নিফায়িং গ্লাস দিয়ে খুঁজলে যে গুটিকয়েক মেধাসম্পন্ন নেতা পাওয়া যাবে ওবায়দুল কাদের তাদের মধ্যে একজন | ছাত্র জীবনে তিনি অনেক মেধাবী হিসাবেই পরিচিত ছিলেন | তাই তিনি যখন কোটার আন্দোলনকারী ছাত্রদের সাথে আলোচনা করে একটা মোটামুটি সমঝোতা করে আসলেন তখন আমার মনে হচ্ছিলো সরকার এই রাজনৈতিক সংকটটিকে ম্যাচিউরডভাবে সমাধান করে ফেলবে | দেশের সংখ্যাগরিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের নাড়ীর স্পন্দন বুঝে কোটার মতো একটি চরম বিতর্কিত বিষয়টির যুগোপযোগী সংস্কারের জন্য হয়তো একটি কমিটিকে দায়িত্ব প্রদান করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আন্তরিক চেষ্টা চালিয়ে যাবে |
কিন্তু বিধি বাম | সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীদের নিজ ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎকণ্ঠা এবং আশংকাকে সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করে মতিয়ার মতো ক্ষমতাসীনদের পদলেহী, অর্বাচীন চরম মেধাহীন এবং কান্ডজ্ঞানহীন কিছু সংখ্যক নেতা/নেত্রীর দায়িত্ব জ্ঞানহীন মন্ত্যব্যের কারণে আগুনে ঘি দেয়ার মতো ঘটনাই ঘটলো | একটি দেশের সংখ্যাগরিষ্ট ছাত্রছাত্রীকে কিভাবে এবং কি কারণে "রাজাকারের বাচ্চা" বলা হতে পারে আমার কোনো ভাবেই বোধগম্য হচ্ছে না |
শুধু আওয়ামী লীগই নয়, ইতোপূর্বে বিএনপি সরকারের পতনের পূর্ব মূহুর্তে তারেক জিয়া এবং বিএনপির কিছু অর্বাচীন নেতা/নেত্রী বিরোধী দলের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি এবং মতামতকে এই ভাবে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে আবোল তাবোল বকে জনগণের মধ্যে চরম বিরক্তির উদ্রেক করেছিল | তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বল্পভাষী হিসাবে পরিচিত হলেও দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি এই সকল বাচাল নেতাদের মুখের লাগাম টেনে ধরতে পারেন নি | তার পরের ইতিহাস সবারই জানা |
আফসোস - ইতিহাস থেকে কেহই শিক্ষা নেয় না | দেশের তরুণ সমাজের আত্মমর্যাদায় আঘাত করে আবোল তাবোল বকে যাওয়া মগজহীন নেতা/নেত্রীদের মুখে লাগাম টেনে ধরতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও | তাইতো এখনো দেখা যাচ্ছে মতিয়া, এইচ টি ইমাম, হাসান মাহমুদ, তারানা, ইনুর মতো যত সব রাবিশ নেতা/নেত্রীদের চরম যুক্তিহীন ফালতু প্রলাপ| ক্ষমতার কেন্দ্রে আজীবন থাকার প্রাণপণ চেষ্টায় নিজ প্রভুকে তৈলমর্দনরত এই সকল চিজগুলোর চরম আস্ফালন দেখে মনে পড়ছে কবি গুরুর কবিতার সেই লাইনটি "বাবু যত বলে পারিষদ-দলে বলে তার শতগুন..." |