বাংলাদেশের হৃদরোগীর সংখ্যা অনেক আশংকাজনকভাবে বাড়িয়া গিয়াছে | ফরমালিন, বিষাক্ত রং মেশানো খাদ্য খাইয়া , রাস্তার অসহনীয় জ্যামে ঘন্টার পর ঘন্টা পার করিয়া পাবলিক এতোই মানসিক চাপে থাকে, তাহার জন্য এই হৃদরোগের প্রকোপ অতি সাধারণ ব্যাপার |
হৃদরোগ যে একটি সংক্রামক রোগ ইহা চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা ইতিপূর্বে কখনো ধারণা করিতে পারেন নাই | কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলে ঘটিয়া যাওয়া একটি ঘটনা তাহাদের সকল ধ্যান ধারণা সম্পূর্ণ পাল্টাইয়া দিয়াছে |
সম্প্রতি হাওর অঞ্চলে প্রবল বন্যা বা প্লাবনের পর অসংখ্য মৎস্য, পক্ষী এবং কিছু গবাদি পশুর অকাল মৃত্যু ঘটিয়াছে | ইহার কারণ হিসাবে বিজ্ঞ জনেরা বিভিন্ন যুক্তি প্রদান করিয়াছেন, যেমন:
- উজান হইতে উরেনিয়াম মিশ্রিত পানির রেডিয়েশনের কারণে এদের মৃত্যু ঘটিয়াছে
- ফসলের জমিতে অত্যাধিক কীটনাশক ব্যবহারের কারণে ওই কীটনাশক পানিতে মিশিয়া এই গণহত্যা ঘটাইয়াছে |
আসলে এই বিজ্ঞজনেরা মূল কারণ হইতে সহস্র যোজন দূরে অবস্থান করিতেছেন |
মূল কারণ হইলো এই সকল মৎসকূল, পক্ষীকূল এবং গবাদি পশু হৃদরোগ সংক্রমণের কারণে অকালে ইন্তেকাল করিয়াছে | হাওর, বাওড় এবং সুন্দরবনের মতো ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের পরিবেশ দুষণের কারণে ইতিমধ্যেই ইহাদের হৃদযন্ত্র অনেক দূর্বল হইয়া পড়িয়াছিল | ইহার উপর মরার উপর খাড়ার ঘার মতো বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে কিছু সংখ্যক সবজান্তা বিশেষজ্ঞ জনপ্রতিনিধির সময়ে সময়ে প্রদত্ত পরিবেশ সংক্রান্ত বয়ান শোনার সৌভাগ্য এই সকল হতভাগা মৎস, পক্ষী এবং প্রাণীকূলের হইয়াছিল | এই ধরণের বাস্তববিবর্জিত এবং চরম হাস্যকর বয়ান শুনিয়া এই সকল দূর্বল চিত্তের হতভাগ্যদের অধিকাংশেরই ম্যাসিভ হার্ট এটাক হইয়া যায় এবং তাহারা তাৎক্ষণিকই মৃত্যূর কবলে পতিত হয় |
জনপ্রতিনিধিদের যে কোনো আবোল তাবোল বক্তব্য বা বয়ান প্রদানের পূর্বে ইহার কি বিরূপ বা নেতিবাচক প্রভাব পড়িতে পারে সেই বিষয়ে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত হইবে বলিয়া এই অধম মনে করে |