২০ দলীয় জোটের চলমান অবরোধ হরতাল কর্মসূচীর সুযোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভূমি অফিসে আগুণ দিয়ে মূল্যবান দলীল দস্তাবেজ পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আমি মনে করি, এই আগুনে শুধু গ্রাম বাংলার কৃষকরাই ক্ষতগ্রস্থ হবে না? জমির দলিল পোড়ানোতে চরম হয়রানীর শিকার হবে গ্রাম ও শহরের গরীব ও মধ্যবিত্ত মানুষগুলোও। এদের অনেকেই নিজের অজান্তে জাল দলিলের খপ্পরে পড়বে। এছাড়াও যারা ভুগবে তারা হল- আদিবাসী ও হিন্দু জনগোষ্ঠী কারণ তাদের জমি এমনিতেই হুমকির মুখে আছে। অনেকেই বাড়ীর জমিও হারাতে পারেন। আর এই সুযোগে জাল দলিল বানিয়ে চলবে জমি দখলের ‘হরিলুট’। চলবে মামলা মোকদ্দমার হয়রানীও।
যারা এই অপরাধ করছে তারা শুধু যে রাজনৈতিক কারণে এটা করছে, তা না। এর মূলে আছে ভূমি দখল। একটু খোঁজ নিলেই পাওয়া যাবে- যারা ভূমি অফিসে আগুণ দিচ্ছে, তারা এই ভূমি অফিসেরই পাশেপাশে সারাদিন ঘোরাফেরা করে; এরা জানে কোথায় আগুনটা লাগাতে হবে? কোন দলিলটা পোড়াতে হবে? হয়ত পাওয়া যাবে এই অফিসগুলোতে চাকুরেদেরও, এই অপকর্মে জড়িত হিসেবে বা উৎসাহদাতা হিসেবে!
যারা এটা করছে তারা তা জেনে বুঝেই করছে। এখানে আমাদের সৌভাগ্য যে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টা ধরতে পেরেছেন। আর তাই তো তিনি বলেছেন, “আন্দোলনের নামে যারা ভূমি অফিসে আগুন দিচ্ছেন তাদের খুঁজে বের করে সব জমি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে!”
২৩/০৩/২০১৫