যুদ্ধ মনে হয় বেঁধেই যাচ্ছে, যেভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট , রাশিয়াকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে; তাতে মনে হয় এর সহজ কোন মীমাংসা হবে না! আমাদের গ্রাম্য একটা কথা আছে, পাটা-পুঁতায় ঝগড়া করে আর পেঁয়াজ মরিচের প্রাণ যায়! ইউক্রেনের হয়েছে সেই দশা। আমেরিকা, রাশিয়া তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়াতে যেয়ে আজ এই দেশটার অস্তিত্বই হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। ক্রিমিয়া তো আগেই গেছে এখন মূল ভূখণ্ডও যায় যায় করছে।
রাশিয়া ইউক্রেনের রুশ ভাষী নাগরিকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে এবং পিছন থেকে বেনামে নিজ বাহিনী পাঠিয়ে এই ব্যাড গেমটা খেলছে। অবশ্য এই ব্যাড গেমটা তাকে খেলতে বাধ্য করেছে আমেরিকা ও তার ন্যাটো জোট। ইউরোপের বড় বড় দেশেগুলোরও এতে সায় ছিল। সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোতে ন্যাটোর সম্প্রসারণের দরকারটা কি ছিল? কি দরকার ছিল যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর? এতে রাশিয়া নিজ ঘরে নিজেকে বন্দি হয়ে যাওয়ার প্রমাদ গুনেছে। যেখানে ঘোষণা দিয়ে স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল দুপক্ষ সেই ৯০ এর দশকে, বিলুপ্তি ঘটেছিল ন্যাটোর প্রতিযোগী ওয়ারশ জোটের। সেখানে শুধু শুধু চুলকিয়ে ঘা বানানোর দরকার কি ছিল?
আমেরিকার সহযোগী ইউরোপের দেশগুলো এই প্ল্যানকে আগ বাড়িয়ে সমর্থনও করেছিল তখন। জর্জিয়া যুদ্ধে রাশিয়ান আর্মির লেজেগোবরে অবস্থা দেখে তারা ভেবেছিল, রাশিয়ান আর্মির বড় ধরনের যুদ্ধে জড়ানোর সক্ষমতা আর নাই; তাই এই সুযোগে বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় তাদের শতাব্দী প্রাচীন পরাজয়গুলোর প্রতিশোধ সহজেই নিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু ব্যাপারটা হয়েছে হিতে বিপরীত; পুতিন যে তার বাহিনীকে তলে তলে অনেক আপগ্রেড করেছে, এনেছে পরিবর্তন যুদ্ধাস্ত্রে; সেটা তারা ঠাহর করতে পারে নাই। যখন এটা বুঝলো তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে; রাশিয়ান আর্মি এখন পুরাপুরি না হোক আংশিক বড় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত যা নেপোলিয়ন আর হিটলারের দেশকে তাদের পুড়নো দিনের কথা মনে পড়তে বাধ্য করছে; আর তাই তো জার্মানি আর ফ্রান্সের সরকার প্রধানরা সরাসরি মাঠে নেমেছে, যুদ্ধ থামাতে। কিন্তু তারা তা পারবে না কারণ তাদের ব্যবহার করে মিঃ প্রেসিডেন্ট খেলছে আর একটা ব্যাড গেম।
তাই আমাদের মত চুনোপুঁটিদের এতে সমস্যা না হোক, মাথাব্যথা শুরু তো হতে পারে!
১১/০২/২০১৫