মানুষ জন্মের পর হইতেই স্মৃতি সন্ঞ্চয় করিতে থাকে|এই কাজ মানুষের মস্তিস্ক স্বপ্রনোদিত ভাবে করিয়া থাকে; মস্তিস্ক এই স্মৃতি সন্ঞ্চয় প্রক্রিয়া দেহের ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে ঘটিইয়া থাকে|মানব দেহের সাতটি মতান্তরে দশটি ইন্দ্রিয় মস্তিস্ককে নিজের পরিবেশ এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্বন্ধে তথ্য প্রদান করে যা মস্তিস্ক নিজের স্মৃতি কোষে সন্ঞ্চিত করিয়া রাখে|আপাত দৃষ্টিতে মানবের উপলব্ধিকৃত সকল অনুভূতিই ইন্দ্রিয়লব্ধ; ক্ষুধা, তৃষ্ণা, শীত, গরম, সুখ, দু:খ, স্বাদ, বর্ণ, গন্ধ ইত্যাদি সকল অনুভূতিই ইন্দ্রিয় হইতে প্রাপ্ত অনুভূতি|এই সকল অনুভূতিকে আলমে মূলকের সাথে সংযোগ বলা হয়|যে যত বেশী ইন্দ্রিয়ের দ্বারা প্রভাবিত সে তত বেশী বস্তু জগতের সাথে সংযুক্ত আর যে যত বেশী সংযুক্ত তাহার বিক্ষিপ্ততা বা অস্থিরতা তত বেশী হইয়া থাকে|বস্তুজগত হইতে প্রাপ্ত অনুভূতির বিশ্লেষণ করিয়া মস্তিস্ক চাহিদা, কাম, মোহ, লোভ ইত্যাদি রিপুর সৃষ্টি করিয়া থাকে এবং মস্তিস্কে রিপু সমূহকে জমা করিয়া রাখে|
বস্তুত এই সকল অনুভূতিই ক্ষণিকের উপলব্ধি মাত্র, চিরস্থায়ী নহে|চিরস্থায়ী অনুভূতি হইতেছে 'লা' অর্থাত অনুভূতি শূন্য অবস্থা|পরম রহমানের সাথে সংযোগ স্হাপণ করিবার মাধ্যমে 'লা' প্রতিষ্ঠা করিতে হয়|'লা' প্রতিষ্ঠা করিবার অর্থ হইল নিজের যাবতীয় বস্তুমোহকে অবলুপ্ত করিবার মাধ্যমে দুনিয়াবি অনুভূতি শূন্য অবস্থায় উপনীত হওয়া|
পরিপূর্ণ সালাতের মাধ্যমে ইন্দ্রিয় হইতে প্রাপ্ত অনুভূতি হইতে বাছাই করিয়া সঠিক অনুভূতিকে প্রতিষ্ঠিত করিবার মাধ্যমে মস্তিষ্কে সন্ঞ্চিত বস্তু মোহকে ধ্বংস করাই মানবের আধ্যাত্মিক সাধনার মূল উদ্দেশ্য|
ছাদাক্বাল্লা হুয়াল আলীউল আযীম|
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:৪৪