অনিয়ন্ত্রীত নফস ক্রমবর্ধমান চাহিদার সৃষ্টি করে৷সালাত কায়েমের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি নিজের নফসের বাহুল্য/অতিরিক্ত/অপ্রয়োজনীয় চাহিদা সম্পর্কে অবগত হয়৷মৌলিক চাহিদা পূর্ণ হবার পর বিলাস এর চাহিদা সৃষ্টি হয় আর বিলাস ক্রমশ নেশায় রূপান্তরিত হয়৷শরীর কেন্দ্রীক বিলাস প্রকারান্তরে অপচয় ছাড়া কিছুই নয়৷যেকোনো ক্ষেত্রেই অপচয় অত্যন্ত নিন্দনীয় কারন অপচয় জগতের ভারসাম্য নষ্ট করে৷যেকোনো প্রকারের অপচয় হতে নিজেকে মুক্ত রাখার পদ্ধতি/কৌশল হচ্ছে সিয়াম৷এ কারণে সিয়ামকে সাধনা বলা হয়েছে৷
খাদ্যে সংযম(শরীয়ত): শরীয়ত মোতাবেক প্রতি বছর একমাস খাদ্যে সংযম বাধ্যতা মূলক৷এই বিষয়টি সকলেরই জানা তাই এ বিষয়ে অধিক আলোচনা নিস্প্রয়োজন৷
জাগতিক কর্মে সংযম(তরিক্বত): তরিক্বতে দাখিল হবার পর মুর্শিদ একজন শিষ্যকে যাবতীয় জৈবিক কর্ম সম্পাদনে সংযমী হবার শিক্ষা প্রদান করে থাকেন৷অধিক নিদ্রা, ভোজন, বাচন কে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে ইনসান রূপ প্রকাশিত হতে শুরু করে৷তবে এই প্রক্রিয়া মুর্শিদ ভেদে ভিন্ন হতে পারে৷
ইন্দ্রিয়ে সংযম (হাক্বিকত) : এই স্তরে ষড়রিপুর কুমন্ত্রনা হতে নিজেকে নিবৃত্ত রাখাই মূল উদ্দেশ্য৷অনিয়ন্ত্রিত ইন্দ্রীয়ের সৃষ্ট মোহের কারনেই মানুষ সময়, শক্তি, বীর্য্য, সামর্থ্য ইত্যাদী অপচয় করে থাকে, মানুষ দুনীয়াবি জীবনের মোহে আচ্ছন্ন হয়ে জীবনের মূল উদ্দেশ্য বিস্মৃত হয়৷হাক্বিকতের সিয়াম এমন বিস্মৃতী হতে মানুষকে রক্ষা করে৷
চৈতন্য সংযম(মারেফত) :এই স্তরে নিজস্ব চৈতন্যবোধকে পরিশিলীত এবং পরিমার্জিত করা হয়৷চিত্তাকাশের যাবতীয় বাহুল্য অনুভুতিকে দমন করার মাধ্যমে সকল চিন্তা এবং নিয়তে সংযমী হয়ে একজন মানুষ প্রাকৃতিক ভারসাম্যের সাথে চলতে থাকে৷নিজস্ব অনিয়ন্ত্রিত চৈতন্য তখন মহাজাগতিক ভারসাম্যে কোনো বিঘ্নের সৃষ্টি করেনা৷
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৩০