গ্রীষ্মের খরাতপ্ত তৃষ্ণার্ত মাটি
কিম্বা ফুটপাতের ঘেও কুকুর
না,কেউ রাজী নয়,হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হতে।
সবার চোখ খোলা
সবার কান খোলা
তবু কেউ রাজী নয়-দেখতে
তবু কেউ রাজী নয়-শুনতে।
অদ্ভুদ এক নির্লিপ্ততায় বন্দী হয়ে আছি
তুমি,আমি-আমরা সবাই।
আমরা প্রতিবাদ করতে পারি
ততটুকু-যতটুকু আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে
ব্যহত করেনা।
আমরা প্রতিক্রিয়া জানাই
ততটুকু-যতটুকু জানালে সমাজ ধন্য ধন্য করে
আমাদের নামে।
বৃহৎ পশুটি শুয়ে আছে
চকচকে ছুরির নীচে-অসহায় দৃষ্টি তার।
রক্তের ফিনকি
বাতাসে ফ্যাঁসফাঁসে শব্দ
বেঁচে থাকার শেষ শরীরী চেষ্টা
দেখে দেখে কেমন নির্লিপ্ত হয়ে যাই!
এরপর,পশু সরে যেতে থাকে
নিষ্ঠুর ছুরির নীচ হতে,
একে একে সেখানে স্থান পায়-শিক্ষক(মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারী)
-মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ
-পুরোহিত
-যাজক,ছিয়া মতবাদের ধর্মগোষ্টির মানুষ।
সবাই নির্লিপ্ত,শুধু চেয়ে রয়
হত্যার সময়।
সবাই দেখে!আবার দেখেওনা।
পত্রিকার পাতায় লুকিয়ে থাকে
ইবলিশের চাতুরী
আর মানুষের হাহাকার।
সন্ত্রাস বদলে দেয় সবকিছু।
বদলে যায় মানুষ
বদলে দেয় সমাজ
বদলে যায় ইতিহাস।
সন্ত্রাস-এক নতুন হাতিয়ার
শোষণের।
কেমন নির্লিপ্ত চারপাশ
এই গাছ
এই খরাতপ্ত মাটি
ওই দিকচক্রবাল
ওই সুনীল আকাশ
কেমন নির্লিপ্ত তারা!
কোন সাক্ষী নেই
কেউ সাক্ষী নয়
শুধু জবাইকৃত একটি মানুষের দেহ
পড়ে থাকে সবুজ প্রান্তরে।
23/04/2016