মাহসা আমিনীর মৃত্যুর মাধ্যমে ধসে পড়ুক হিজাব সংস্কৃতি ইরানের। মেয়েরা জ্বালিয়ে দিচ্ছে হিজাব প্রকাশ্যে রাস্তার উপর আগুনে। আর কতকাল বন্দী করে রাখবে আভরণে অন্ধকারে।
এই সব নিয়ম মেয়েরা মানে না। ওদের প্রতিবাদ সফল হোক । ফিরে যাক ১৯৭৯ সালের আগের আধুনিক সময়ে আবার। যখন ইরানের মেয়েদের এমন হিজাব পরে ঢেকে রাখার প্রয়োজন ছিল না নিজেদের। শান্তি এবং সুন্দর ভাবেই জীবন চলছিল তখন।
ধর্মের নামে মেয়েদের উপর পোষাকের ভাড় চাপিয়ে আনন্দ পায় ধার্মিক নেতা। অথচ নিজেদের কু চিন্তাকে সংযত করতে পারে না।
আর এদিকে বাংলাদেশের শাড়ি সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে বোরখা, হিজাবের ভাড়ে। মাথামোটা ধর্ম বিশ্লেষকরা প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রয়োজনে বাংলাদেশের শাড়ি পরা নারীদের আরবের মরু অঞ্চলের পোষাকে দেখতে চাচ্ছে। নারীরাও মেনে নিচ্ছে অনেকে বুঝে না বুঝে। ধর্মের অন্ধ বিশ্বাসে। এবং সাথে প্রতিবাদ করছে যারা হিজাব নিয়ম মানছে না তাদের দেখে।
বাংলাদেশের মেয়েরা সাফ গেমসে সোনা জিতে ফিরেছে। নারীদের হাটু বের করা জার্সি পরে ফুটবল খেলা নিয়ে কারো কারো মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। যত না আনন্দ তার চেয়ে বেশি কুৎসিত ভাষার গালাগালি ছূঁড়ছে ধার্মিক পুরুষরা।
এই পুরুষদের উচিত নিজেদের অন্ধকার ঘরে লুকিয়ে রাখা। আর ধর্মের নাম জপ করা একা একা। মেয়েরা খেলল নাকি জিন্স, সর্ট, টপ পরে ঘুরল তা দেখার কোন অধিকার তাদের নেই। মেয়েরা নিজের পছন্দে নিজেদের পোষাক পরবে যেমন ইচ্ছা তেমন।
অন্যরা কে কি করবে তা নির্ধারন করে দেওয়ার এরাকে। যখন রাষ্ট্র মেয়েদের খেলার অনুমতি দিচ্ছে মেয়েরা বিজয়ী হয়ে ফিরছে দেশের অহংকার হয়ে ।
ধার্মিক এসব পুরুষের কোন যোগ্যতা নেই এই সব মেয়েদের সমকক্ষ হওয়ার। কিন্তু মাথামোটা অন্ধ ধর্মভিত্তিক পশ্চাৎপদ ভাবনায় সমালোচনা নয়, কুৎসিত চিন্তা ভাবনা উৎগড়ে দেওয়া এই সব মন্তব্যকারীদের ধর্ষক হিসাবে গ্রেফতার করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব মনে করি।
রাষ্ট্র যখন নারীদের স্বাধীন ভাবে চলার সুযোগ দিচ্ছে তখন মেয়েদের চলায়, বলায়, খাওয়ার সমালোচনাকারী পুরুষ, নারী, যারা পাশে থেকে বিরোধীতা করে এবং অর্ন্তজালে নোংরা মন্তব্য মেয়েদের নিয়ে করে, এরা অপরাধীর পর্যায়েই পরে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী মনে করি, নয় তো সমাজ পিছিয়েই যেতে থাকবে। সহজ সাবলীল ভাবে কেউ এগুতে পারবে না। নারী পিছিয়ে গেলে সমাজ আরো বেশি পিছিয়ে পরবে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:২৪