প্রধানমন্ত্রী নিজেই তদারকি করেছেন শ্যামল কান্তি ভক্তের ব্যাপারটা।এব্যাপারে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন শ্যামল কান্তি ভক্তকে পুর্নবহাল ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ভেঙ্গে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়।
.
১৩ই মে সেলিম ওসমান এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনির উপস্থিতিতে শ্যামল কান্তিকে মারধর এবং কান ধরে উঠবস করানো হয়।
.
পরে ২০ই মে বৃহস্পতিবার সেলিম ওসমান সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে শ্যামল কান্তি নিজেই কানধরে উঠবস করেছেন।
.
সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে গুজব রটানোর জন্য সাংবাদিকদের তিনি অশ্লীল একটা ভাষায় গালি দেন।
.
মুলত শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ধর্মকে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছিল।কেউই জানেনা আসলেই সে ধর্মকে আঘাত হেনেছিল নাকি নয়।তবে কথা একটাই কারপ ধর্মকে কেউ আঘাত দিয়ে কথা বলতে পারবেনা,তাহলে তার শাস্তির বিধান থাকতে হবে।সে যেই হোকনা কেন।
.
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর তদারকির ব্যাপারটা বলার পাশাপাশি আরো বলেন, "রাজনীতিবিদদের বুঝা উচিত ৫ বছরের অর্জন একটু খারাপ আচরনে মাত্র ৫ মিনিটে শেষ হয়ে যায়"..... এই কথাটা মনে লেগেছে।মুলত এটাই বাস্তব।তাছাড়া ধর্মকে আঘাত করে কারো কথা বলা মানায়না।
.
স্বাধীন নামক দেশে স্বাধীনতার দেখা আজো মিলেনি।তবুও স্বাধীনতার খোঁজে, দেশটাকে প্রকৃত পক্ষে স্বাধীন করতে বিচার ছাড়াও এক ধর্মের প্রতি অন্য ধর্মের মানুষদের সন্মানবোধ থাকতে হবে।সে যেই হোকনা কেন।
.
অন্যদিকে "মারার পুর্বে তনুকে ধর্ষন করা হয়েছে, এই রিপোর্টের সাথে সিআইডি একমত।দ্রুত হত্যাকান্ড এবং ধর্ষকের বিচারের দাবী পরিবারের।"
জানান বাংলাভিশন নিউজ
.
প্রায় ১ মাস ২৪ দিন হয়ে গেলো তনু নেই।শত প্রতিবাদেও মিডিয়াতে তা গেলো না।আজ হঠাৎ এতদিন পরে কি উদ্দেশ্য করে? তবে কি আবারো কোন বড় ইস্যুকে ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা?নাকি অন্য কিছু বুঝলাম না।মিডিয়াতে এসেছিল ১৭ই মার্চ।
.
তনু হত্যার ১ মাস ২৪ দিন পরে ব্যাপারটা মিডিয়াতে আসে। তাও আবার মার্চ ১৭ তে। এখন এই ২০ তারিখ পর্যন্ত কোন সারাশব্দ নেই।।জানিনা তনু হত্যার বিচার পাবো কিনা আমরা।তবুও ১৬ কোটি মানুষ কঠিন শাস্তির অপেক্ষায় আছে যারা অপরাধী তাদের।
.
মুলত আমার কথা হচ্ছে ১৩ই মে শ্যামল কান্তির সাথে যা হয় তার সমাধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে তদারকি করে ২০ই মে তে এসে সমাধান করে দিয়েছে।অন্যদিকে তনু হত্যার ১ মাস ২৪ দিন হলেও তনুর হত্যার বিচার পাওয়া যায়নি।অনেক রিপোর্ট অনেক তথ্য ফাঁস হয়েছে তবুও না।
.
যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে তদারকি করে মাত্র ৭ দিনে একটা কাজের সমাধান করলেন,সেহেতু যদি তনু হত্যার বিচারটা নিজে তদারকি করে হলেও বের করতেন তাহলে ১৬ কোটি জনগন খুশি হতো।১ মাস ২৪ দিন হলেও জনগন বলতে পারতো তনু হত্যার বিচার হয়েছে আর তনু হত্যার ধর্ষকরা শাস্তি পেয়েছে।আর অন্যদেশেরা আমাদের দেশের নামে বদনাম রটাতে পারতো না।
.
দেশের সবকিছুর দিক থেকেই অন্যায়ের বিচার হলে আমরা অনেকটা এগিয়ে যেতাম।১৬ কোটি মানুষের দাবী পুরন করা সরকার দলের কর্তব্য। কেননা দেশটা গনতান্ত্রিক।দেশটা কারো একার কথায় চলবেনা।
.
সর্বশেষে কথা একটাই তনু হত্যাকারীরা যাতে বিচার পায়,তবে যেন কোন ভুল মানুষ শাস্তি না পায়,আর কারো ধর্মকে আঘাত করার শাস্তি আর ধর্ষকদের শাস্তি যেন কঠোর হয় যা দেখে কেঁপে উঠবে সারাদেশ।আর কখনো ধর্মকে আঘাত করা বা ধর্ষন করার কথা কেউ চিন্তাও না করতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৭