ছবি আর প্রথম প্যারার মাধ্যমে শুরুতেই দু'দুটি ছক্কা মারা হয়ে গেছে বিধায়- এখন আমি কিছুক্ষণ রাহুল দ্রাবিড় স্টাইলে খেলবো।
প্রথমেই বলে রাখছি আমি কিন্তু সেইসব তথকথিত প্রথম আলো বিরোধী নই এবং ইদানীং অনেক ব্লগার আছে যারা প্রথম আলো, মুসা ইব্রাহীম,উৎপল শুভ্র, ড. ইউনুস বিরোধী ব্লগ লেখাকে Smartness এর অংশ মনে করে আমি তাদের দলেও নই বরং তাদের কাছ থেকে আমি একশ হাত দুরে থাকতে পছন্দ করি। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমি অপেক্ষা করি হকার কখন প্রথম আলো দিয়ে যাবে এবং কোনদিন কোন কারণে প্রথম আলো পড়া নাহলে অন্য দশটি প্রত্রিকা পড়া হলেও আমার মনে হয় সারাদিন কোন পেপারই পড়া হয়নি
কিছুক্ষণ রাহুল দ্রাবিড় স্টাইলে খেলতে গিয়ে রানরেট কমে গেছে- so এখন থেকে তামিম স্টাইলে খেলতে হবে
তো যা বলছিলাম, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান লুইস কবি নির্মলেন্দু গুণ মোবাইল ফোনের বাংলা প্রতিশব্দ মুঠোফোনের ব্যবহার নিয়ে সেকি আহ্লাদীপনা- সেই থেকে প্রথম আলোতে মোবাইলের পরিবর্তে মুঠোফোনের ব্যবহার (নাকি দুর্ব্যবহার) শুরু। আরে বাবা, এতোই যদি বাংলাপ্রেমী হও ফোন লেখ কেন? লেখ মুঠোদূরালপনী- তাহলে অন্ততঃ মুঠোফোন আবিষ্কারের মাধ্যমে বাংলা ভাষা যতটা এগিয়ে গিয়েছে মুঠোদূরালপনীর মাধ্যমে বাংলা ভাষা আরো দু'ধাপ এগিয়ে যাবে।
আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, মুঠোফোন একটি বিশ্রী শব্দ- ভিন্নমতকে স্বাগতম
পাঠক একবার ভেবে দেখুন, মুঠোফোন লিখতে গিয়ে কেউ ভুলক্রমে মুঠোপোন লিখলে অর্থ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে- পাদটীকা চাটঁগাইয়া ভাষায় পোন পাঁছার প্রতিশব্দ
তামিম স্টাইলে খেলতে গিয়ে আমি পুরাই ফর্মে চলে আসছি- এখন খেলবো আফ্রিদি স্টাইলে
কেননা এখন আমার হাতে আছে তিন তিনটি পাওয়ার প্লে:
রেগুলার পাওয়ার প্লে এক: বদলে যাও বদলে দাও
bowling পাওয়ার প্লে দুই: আপনি শুরু করুন, বাকিরা ঠিকই বদলাবে
ব্যাটিং পাওয়ার প্লে তিন: আসুন, দেশকে মায়ের মতো ভালোবাসি
আমি ব্যাক্তিগতভাবে "বদলে যাও বদলে দাও" কিংবা "দেশকে মায়ের মতো ভালোবাসি"-এই দুটোর কোনটাই পছন্দ করিনা। কেন করিনা, সেটা বলবার আগে চলুন একটু ফ্ল্যাশব্যাকে "বদলে যাও বদলে দাও" নিয়ে রস-আলোতে শ্রদ্ধেয় আহসান হাবীবের একটি লেখাতে উনি বলেছিলেন, এক সরকারী কর্মকর্তা যিনি ঘুষ খেতেননা- প্রথম আলোর এ স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে বদলে যাওয়া শুরু করলেন মানে ঘুষ খাওয়া শুরু করলেন। স্মৃতি যদি প্রতারণা করে থাকে তাহলে ক্ষমাপ্রার্থী।
আমার point of view একই, মুখে অথবা কলমে বর্ষপূর্তিতে সম্পাদক যতই বলুক/লিখুকনা কেন, অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ- fact হচ্ছে এ দুটো স্লোগনোই দেশকে অথবা দেশবাশীকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে--- কেননা গনহারে একটা দেশের সবাইকে বদলে যাবার কথা বলার মানেই হলো- দেশটির বেশীরভাগ মানুষই খারাপ যেটা আমি বিশ্বাস করিনা। আমি বিশ্বাস করি দেশটির শতকরা সত্তরভাগ মানুষই সৎ( honest) আর শতকরা আশিভাগ মানুষই গ্রামে থাকে যারা দেশটির দুর্দশার জন্য খুব কমই দায়ী!
"দেশকে মায়ের মতো ভালোবাসি"- নিয়ে আরকি বলবো বেকুব তোমাদের কে বলসে আমরা মাতৃভূমিকে মায়ের মতো ভালোবাসিনা???? আর যাই হোক যে দেশের এত সুন্দর মুক্তিযুদ্ধ আর দেশকে নিয়ে আত্মত্যাগের এতসব কাহিনী আছে , তাদের অন্ততঃ দেশকে মায়ের মতো নাকি সৎমায়ের (stepmom) মতো ভালবাসবো সেটা নিয়ে শেখানোর কিছুনাই
আমার মতো যারা মুখে এত দেশ দেশ করে কি হবে বলে তাদের অনেকেই হয়তোবা মনে মনে দেশকে মায়ের মতো নয় বরং মায়ের চেয়েও বেশী ভালোবাসে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিলবোর্ডগুলোতে অনেক দুর থেকে আমরা দেখি এত মা মা করে কি হবে
জী পাঠক একশতভাগ সত্যি, কারণ "এত দেশ দেশ করে কি হবে" এ লাইন এ ক্রস দেয়া হয়েছে দেশ আর লাল কালিতে লেখা হয়েছে, মা। তো কি দাড়ালো অর্থ, এত মা মা করে কি হবে
দেশ দেশ করে কি হবে-এ পুরোটুকুতে ক্রস দি্যে লাল কালিতে এত মা মা করবোনাতোকি বউ বউ করবো এটা লেখা হলে নাহয় আমি এ সমালোচনার সুযোগ পেতামনা
এবার বোলিং পাওয়ার প্লে করবো শন ওয়ার্নের মতো- so ১৮ প্লাস না যারা দয়া করে আর পড়বেননা পিলিজজজজজজজজজজজজজজজজজজজজজজজজজজজজজজজজ- পড়লে নিজ দায়িত্বে পইড়েন কিন্তু
"বদলে যাও বদলে দাও"আর "আপনি শুরু করুন, বাকিরা ঠিকই বদলাবে"-প্রথম আলোর এ স্লোগানের সমসাময়িক আরেকটা আলোচিত স্লোগান হলো বিডিনিউজ২৪ এর "সব কিছু বদলে দিতে নেই"- তো আমরা তিন পোংটা ফ্রেন্ড করলামকি এ স্লোগানের শুধুমাত্র একটি শব্দ বদলে দিলাম-ওরাইতো বলসে বদলে যাও তো আমরা তিনজন ধুমায় আড্ডা দিচ্ছি কথানাই বার্তা নাই হুট করে একজন বলে উঠতাম- চুদে দাও, ___ যাও (sorry for the word)- ওর কথা শেষ হতেই আরেকজন বলে উঠতো, আপনি _____, বাকিরা ঠিকই ____- সবচে বেশী মজা হতো যখন এ কথা শেষ হবার আগেই তৃত্রীয়জন বিরস মুখে বলে উঠতো, সবাইকে ____ দিতে নেই
এবার সবশেষে আমি আতহার আলী খান (commentator), তাই প্রথম আলোর সম্পাদককে বলবো, আপনারা নিজেরা একটু বদলাননা পিলিজজজজজজজজজজজজ, বিজ্ঞাপন রেটটা একটু কমাননা। জানি, এই বলবেনতো, আমরা চাই বিজ্ঞাপন কম আসুক কারণ অন্যদের থেকে অনেক বেশী নিয়েও আমরা বিজ্ঞাপনের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। এটা আমাদের Brand Value
আপনার এ মন্তব্য শুনে ম্যাচ রেফারী তখন বলবেন, আসুন, দেশকে মায়ের মতো ভালোনাবেসে নিজেদেরকে সবাই Corporate Gimmick থেকে একশ হাত নয় সহস্র হাত দুরে রাখি- আমীন & FULLSTOP!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:২৬