রাত্রি ইদানিং সর্ব
শরীরে স্মৃতি মেখে বড়দীর্ঘ;
বিছানায় মিশে নিস্পলক
চোখে সিলিং ফ্যান দেখে।
নরম ঘুমোতে চেয়েছিলে লোমশ বুকে
হাতে হাত চুপরাত
কাটাতে চেয়েছিলে
চেয়েছিলে নোনাবালি সফর পায়ে পা মিলিয়ে।
ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র সেই সব চাওয়া।
দেওয়া হয়নি কিছুই।
যাওয়ার আগে বলেছিলে
‘এক টুকরো মেসেজ দিও প্রতিরাতে
শুভরাত্রি লেখা’।
দেওয়া হয়নি সেটাও।
এখন সারা সারা রাত
পাতা ভরিয়ে শুভরাত্রি লিখি।
মেঘে ঢাকা পূর্ণিমার চাঁদ
কে শুভরাত্রি;
শুভরাত্রি টবের
শুকিয়ে যাওয়া রজনিগন্ধা কে;
স্থবির বৃদ্ধ বাতাস,
প্রাণহীন নিথর ডোবার জল,
নীল শীতল নাইট বাল্ব
জোনাকির আলো, পেঁচার ডাক
সবাইকে শুভরাত্রি।
যখন ঘুমের প্রতিক্ষায় ক্লান্ত আমার
রাত;
রক্তজবা চোখের পলক
ধীরলয়ে বুজে আসে;
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর
হয়ে ঝোরে পড়ে আমার নিশ্বাস।
তখন রাত্রি তোমার চুল,
তোমার চোখ বৃষ্টি বুকে মেঘ
জ্যোৎস্না তোমার শরীরস্নাত
আমি খাতা ভরাই শুভরাত্রি লিখে।
ভোর হয়, আলো ফোটে, পাখি ডাকে।
আমার সময়!
শুভরাত্রি বলি নিজেকে।
শুভরাত্রি।
আবার ফিরব রাতে, লিখব তোমায়
সারা পৃথিবীর জুড়ে।
শুভরাত্রি।