সবগুলো টাকার নোটে যদি ছেপে দেই প্রস্থ প্রস্থ কবিতা তাহলে কি অর্থহীন হয়ে পড়বে পৃথিবী, কিংবা মানবিক হয়ে উঠবে যাপিত আলো-আধার,কমে যাবে গ্রীষ্মের কিছুটা তাপ? বাদুরের মতো উল্টো হয়ে এসব প্রশ্ন ঝুলে থাকতো আমাদের মাথায়। আর আমরা ইস্কুল কলেজ ভ্রমণের পর যতোটুকু বিদ্যে পেয়েছিলাম তা বেচে কাটিয়ে দিতাম ডাগর ডাগর দিনগুলো।
আহত শহরের শেষ বাড়িটা ছিলো আমার বন্ধুর, সেই বাড়ির পুব দিকে বাস করতো আমার অবসর। পুব দিকের সেই স্বচ্ছ পানির বিবরগুলোকে আদর করে আমরা বিল ডাকতাম।পাড়ের রাস্তায় পিতার মতো ছায়া দিতো সাড়ি সাড়ি গাছ,সাম্পানের গতিতে বইতো মেরুন বাতাস যেনো কারো গাড় বুকে ঘুমায় পৃথিবী। আমরা পাখিদের নামে লিখে দিতাম প্রিয় গানগুলি, চুমো খেতাম সিঁদুরে দিগন্তে।
উন্নয়নের সাইমুমে ডুবে গেছে আজ সবটুকু সবুজ, ভেঙ্গে গেছে কল্পনার চিমনি।আজকাল আমরা অনেক ক্লান্ত,রক্তশুন্য। আমাদের খানিকটা রক্ত খেয়েছে পতঙ্গে,খানিকটা আন্ধারে আর বাকিটা পলিটিকাল শুয়োরে। এতোটা ক্লান্ত শরীর নিয়ে আজকাল কোথাও যেতে ইচ্ছে করেনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০২২ রাত ১:০৪