শেষ পর্যন্ত একটা মুখোশ তুলে নিয়েছি,
আর দেখতে হবে না, আড়ালে কতটা মেঘ-বৃষ্টি
আমাকে বোঝা গেল কি গেল না, এটা নিয়ে তোমাকে আর
অঙ্কের ঘরে খেলতে হবে না, এক্কা-দোক্কা।
ভালোবাসাকে ভেবেছিলে, ছল-চাতুরী-
দূরে চলে গেলে।
যখন ঘৃণা করেছিলাম, তোমার চোখে তখন ভেজা ভেজা মায়া।
ফিরে এসেছিলে।
"এক জীবনে একটা মুখই পড়তে পারলে না।"
নাকি আমিই মুখ ও মুখোশে মাখামাখি-
আমি কি আমাকে বুঝিনি, না তুমি আমাকে? সেই প্রশ্নবোধক চিহ্নটা ধরে
ঝুলে আছি বহুকাল।
আমি ছুঁয়ে দেবার আগে ওখানে বসন্ত ছিল-
আমি ছোঁবার পরে, পাতারা রং বদলে খয়েরি,
যখন যা ছুঁয়েছি, সব হয়েছে নীলকণ্ঠী্-
তোমার দিকে হাত বাড়ালাম, থমকে গেলে-
কাছে আসবে কি আসবে না, সেই প্রশ্নবোধক চিহ্নটা তোমাকে সরিয়ে রাখলো নিরাপদ দূরত্বে-
এবার মুখোশ কিনেছি, এবার আর তোমাকে দেখতে হবে না,
ছায়ার ভেতরের হৃদপিণ্ড, থোকা থোকা রক্তজবার মত জমে থাকা কষ্ট।
হয়তো কাউকেই দেখতে হবেনা,
আমি কতটা.........
আসলে আমি কতটা কি?
এই প্রশ্নবোধক চিহ্নটা অন্ধকারে একা কুঁড়ে কুঁড়ে খেল
স্বপ্ন-বুকের পাঁজর।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:১৮