মন হাওয়ায় পেয়েছি তোর নাম
মন হাওয়ায় হারিয়ে ফেললাম

আজকাল তুমি বড্ড অপ্রতিরোধ্য হয়ে যাচ্ছ। কিছুতেই তোমাকে প্রতিহত করতে পারছি না। আমার মগজের প্রতিটি কোনায় কোনায় এখন তোমার অবাধ যাতায়ত। চব্বিশ ঘন্টার ছত্রিশ রকম কাজে বারবার তুমি এসে ভীষণ গোল বাঁধিয়ে ফেলছ।
আমি পালাব বলে, মনস্থির করেছি। তুমি আমাকে তোমার কথার চাতুর্যে বেঁধে... বাকিটুকু পড়ুন

অনেক দিন অন্ধকারে থাকতে থাকতে সুরত আলী অনেকটা মাকড়সা টাইপের হয়ে গেছে। ছোট্ট ঘরের মধ্যেই নিজের জাল বিছিয়ে থাকে। গতি মন্থর। এক জায়গায় স্থাণুর মত বসে থাকে। খুব সামান্যই পিলপিল করে এ কোনায় ও কোণায় হাঁটে। মানুষ আর মাকড়সার মধ্যে পার্থক্য খুঁজতে হলে... বাকিটুকু পড়ুন

অত্যন্ত আপন কিছু খুঁজবো বলে- ... বাকিটুকু পড়ুন

শেষ পর্যন্ত একটা মুখোশ তুলে নিয়েছি,

আর দেখতে হবে না, আড়ালে কতটা মেঘ-বৃষ্টি

আমাকে বোঝা গেল কি গেল না, এটা নিয়ে তোমাকে আর

অঙ্কের ঘরে খেলতে হবে না, এক্কা-দোক্কা।

ভালোবাসাকে ভেবেছিলে, ছল-চাতুরী- ... বাকিটুকু পড়ুন

বহুদিন যাইনি কোথাও,

বুনো গন্ধ গায়ে মেখে, করিনি সবুজ স্নান-বহুদিন।

পায়ে পায়ে খয়েরী পথেরা হারিয়েছে, কোন বাঁকে? ... বাকিটুকু পড়ুন

নিস্তব্ধ অন্ধকারে বোও বোও শব্দটা কেমন অদ্ভূত একটা কম্পন তৈরী করলো। ঘুমের ভেতর শব্দটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো রোহানের হৃদয় থেকে মস্তিষ্কে। হুড়মুড় রাতের নিস্তব্ধটা সেঁধিয়ে গেল তার পেটে। রোহান কোনরকমে উঠে ঘাতক টেবিল ঘড়িটাকে থামাতে গিয়ে, সেটা উল্টে পড়লো বিছানায়।

রোহান ঘড়িটাকে পেল বিপরীত অবস্থানে। এখন বাজে ৯২ টা ৯। মানে... বাকিটুকু পড়ুন

আমার এই লেখাটা আমার আদরের মেয়ে জিনাতের জন্য।





সে এক বিরাট ইতিহাস। আমার মেয়ে স্কুল শেষে যেখানে থাকে, সেখোনে অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে মাঝেমধ্যে সে হাড়ি-পাতিল নিয়ে খেলে এবং খাবার বানানোর সময়, সে প্রায়ই লাড্ডু জাতীয় কিছু বানায়। তো সেই লাড্ডু দেখে- তার অতি উৎসাহী এক শিক্ষক তাকে জিজ্ঞাসা... বাকিটুকু পড়ুন

মানুষটা ঠিক মানুষ নয়, ... বাকিটুকু পড়ুন

আমার বাচ্চাটা স্কুলের পর, বাচ্চাদের একটা ক্লাবে থাকে কিছুক্ষণ। ওটা আসলে স্কুলেরই একটা বর্ধিতাংশ। যেখানে কর্মজীবি মা'র বাচ্চারা সময় কাটায়। আমি কাজ থেকে ফিরে ওকে নিয়ে আসি।

প্রথমে আমি মা, তারপর বাঙ্গালী মা এবং সবশেষে কর্মজীবি মা। মনটা সব সময় চোরের মত হয়ে থাকে। যতক্ষণ স্কুলে থাকে, ততক্ষণ ঠিক আছে। কিন্তু... বাকিটুকু পড়ুন

দরোজায় ঠুক ঠুক করে তিনবার হাতের পাখাটা দিয়ে বাড়ি দিলেন, সামিহা। একটু পরে আব্দুর রশিদ এগিয়ে এলেন, দরোজা পুরোটাই বন্ধ ছিল। সেটাকে কোনরকমে সামান্য ফাঁক করে ;জানতে চাইলেন, তাকে কেন ডাকা হয়েছ?

সামিহা নিঃশব্দে মিষ্টির বাটিটা এগিয়ে দিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রশিদের বাসায় অতিথি এসেছে। পুরুষ অভ্যাগতদের আদর-আপ্যায়ন... বাকিটুকু পড়ুন

জেবুন্নেসা এই প্রথম হাওয়াই জাহাজে চড়েছেন। তিনি খুবই বিচলিত বোধ করছেন। যদিও তার সঙ্গে তার স্বামী হেলালুর রহমান আছেন। তাতে কি? তিনি ভাবতেই পারছেন না, তিনি শূন্যে কি ভাবে চলবেন? মনে মনে জানা যত দোয়া দরুদ ছিল সবই পড়ছেন। তিনি অবশ্য তার আমেরিকা শহরে যাবার সব কিছু ঠিকঠাক হবার পর... বাকিটুকু পড়ুন

এ জীবনে একবারই আমি হারিয়ে ছিলাম, তোর চোখের মায়ায়। চুলের ভাঁজে। তোকে নিয়ে কাঁদবো বলে, একটা বর্ষা তুলে রেখেছি। বৃষ্টি জল কিছু ছুঁয়ে দেখিনি।

যেদিন দখলে ছিলাম, তোকেই ছুঁয়ে ছিল; আমার সমস্ত পৃথিবী। তখন তোর আঙ্গুল তানপুরায়-আমিই কেবল বেহাগ বসন্ত হয়েছি।

আমাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে কত খেলাই না খেলতি।

এভাবে কেমন করে পারিস?... বাকিটুকু পড়ুন

সে রীতিমত একটা দস্যুই বটে! এক মিনিটও চুপ থাকে না। কথা বলে কম, কাজ করে অনেক বেশী। ছোট্ট ছোট্ট দুটো হাত খুব সচল। ছোট্ট মাথাটায় বেজায় সব বুদ্ধি সারাক্ষণ আপডেট হচ্ছে, প্রতিটাই নতুন। ঝাঁ চকচকে। একটার সাথে আগেরটার কোন মিলই নেই।

কাল চেয়ার টেনে উঠে, অনেক উঁচু থেকে ওর মায়ের ফেইস... বাকিটুকু পড়ুন

আমার ছানাটা দিন দিন যত বড় হচ্ছে, আমার মধ্যে দেখি মায়া জাতীয় গরল পদার্থটা ততই বাড়ছে। প্রথম যখন হল, অপারেশন টেবিলে কোন এক নার্স আমাকে দেখালেন, 'এই দেখুন আপনার কি ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়েছে," আমি অর্ধচেতন চোখ মেলে দেখলাম- মোমের মত অদ্ভূত এক দেব শিশু। আমি তো অবাক, এটা আমার... বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চিরদিন থাকবেই





আমার কৈশরে আমি কিছুদিন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। সময়টা অনেক সুন্দর ছিল। তখনও আমাদের গ্রামে বিদ্যুত যায়নি। পাড়ার মোড়ে মোড়ে ক্লাব ঘর উঠে উঠতি ছেলেরা জুয়ায় মেতে ওঠেনি। তখনও বুরকা পড়া মেয়েরা কাউকে পাগল করেনি বা মমতাজ ছড়িয়ে পড়েনি তার "যৌবন আমার ফাটা ডালিম"... বাকিটুকু পড়ুন