somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাখাওয়াত হোসেন  বাবন
ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে "আমার কবিতা নামে" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

ঢাকা শহরে এতো মসজিদ মন্দিরের কি দরকার ?

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ নিজেকে পরিশুদ্ধ করার প্রয়োজনে ধর্ম কর্ম করে । নিজের ভেতর থেকে জেগে উঠা পাপ বোধ পরকালের শাস্তির প্রতি ভয় থেকে রেহাই পাবার জন্যই মানুষ ধর্মের দিকে ঝুঁকে পরে । সারা জীবন পাপের স্রোতে জীবন অতিবাহিত করে মধ্যবিত্ত পুরুষেরা শেষ বয়সে দাড়ি,টুপি টুপি লাগিয়ে মসজিদে মসজিদে দৌড়ায় । সকাল বিকাল খোদার সামনে উঠ বস করে । সামথ্যবান হলে নিজেরাই মসজিদ মন্দির বানিয়ে দেয় । খোদা সন্তুষ্ট তো সব সন্তুষ্ট । খোদার জন্য ঘর বানিয়ে দিলে তার চেয়ে আর কে বেশি খুশি হবে ? তাই বানাও খোদার জন্য ঘর । লোকে এসে ইবাদত করবে । তাতে সোয়াব ও মিলবে নামও মিলবে । নিয়োগকৃত হুজুরেরা সকাল বিকাল দোয়া করবে তাতেই মসজিদ নির্মাতা চোদ্দ গুষ্টি সহ বেহেস্তে যাবে । মরার পরে কে কোথায় যায় সেটা তো আর দেখা যায় না । তবে অনুমান করা যায় । সৎ কর্মে স্বর্গবাস । অসৎ কর্মে নরক ।

ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের শহর ঈমানদারের শহর বলা হয় না কেন ?

ঢাকা শহরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মসজিদ, মন্দির । এমন কোন গলি নাই এমন কোন মোড় নাই যেখানে মসজিদ বা মন্দির নাই । এর মধ্যে রয়েছে আবার এসি, নন এসি মসজিদ । সবই মুসল্লিদের জন্য । মাজারের কথা না হয় বাদই দিলাম । আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ঢাকা শহরে এতো মসজিদ, এতো মন্দির কেন ? আমি তো এমন অনেক মসজিদ দেখেছি যেখানে নামাজের সময় দু'ই কাতারের বেশি লোক হয় না । তবুও মসজিদ থাকতে হবে । না হলে ইজ্জতে লাগে ।
মসজিদ আল্লাহ্‌'র ঘর । ইবাদতের জায়গা । ঢাকা শহরে যতো মসজিদ রয়েছে ততো কি ইমানদার আছে ? যদি থাকতো তা হলে দেশে একটা লোকও গরিব থাকতো না । মানুষ ভিক্ষা করতো না । জেলখানাগুলো থাকতো শূণ্য ।
মহল্লায় মহল্লায় মসজিদের কল্যাণে হুজুরদের শরীর যেমন তেল চকচক করে ঠিক তেমনি ঠাকুরদের শরীরও চকচক করে । তবুও মসজিদ একতলা থেকে তিন তলা হয় । তিন থেকে বেড়ে হয় পাঁচ তলা হয় । গরীব কিন্তু সেই গরীবই থাকে । অভুক্ত অভুক্তই থাকে । তাতে কার কি আসে যায় । রাতে মসজিদে বড় বড় তালা মেরে হুজুরেরা চলে যায় বিশ্রামের খোজে । বিবি বাচ্চা নিয়া আরাম করে । খোদার ঘরে তালে লাগে । খোদা নিজের ঘর নিজে পাহারা দেয় না । এতো সময় নাই খোদার । বড্ড ব্যস্ত সে । কি হাস্য কর তাই না ।

এক মসজিদের হুজুর আবার অন্য মসজিদের হুজুররে দেখতে পারে না যেমন পারে না মন্দিরের ঠাকুরেরা । মুসল্লিরা আবার নাক উচা সব মসজিদে বা মন্দিরে নামাজ পড়ে, পূজা করে শান্তি পায় না । তাদের আবার মনের শান্তি লাগে । ভাও লাগে । ঠাকুর বা হুজুরের সু দৃষ্টি লাগে । মসজিদে দুনীয়া দারির আলাম নিষেধ হলেও তাও চলে মসজিদ, মন্দিরে । মানে ধর্মের নামে সেই দলাদলি পাড়াপারি । এক কমিটির সাথে অন্য কর্মিটির মারামারি দেন দরবার, বিচার সালিস কোন কিছু বাদ নাই । খোদা কিন্তু নীরব । তিনি কোন শব্দ করে না । কোন দলও বেছে নেন না ।

আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, ঢাকা শহরে এতো মসজিদ মন্দিরের কোন প্রয়োজন নাই । সব গুটিয়ে ফেলুন বা ভেঙ্গে ফেলুন । তার পরিবর্তে প্রতিটি পাড়ায় বা মহল্লায় একটি বড় মসজিদ নির্মাণ করা হোক । সেখানে সবাই গিয়ে নামাজ পরবে । তখন দেখা যাবে কে কতো বড় মুসল্লি । এছাড়া একটি নিদিষ্ট দুরুত্বে দুরুত্বে জায়গার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক যেন সবাই সেখানে গিয়ে নামাজ পড়তে পারে, ইবাদত করতে পারে । সে জায়গার দায়িত্বে থাকবে রাষ্ট্র ।

অবস্থা এমন আমি সৎ থাকি বা না থাকি, ভাল কাজ করি বা না করি মসজিদে যাই বা না যাই মোড়ে মোড়ে মসজিদ, মন্দির লাগবেই । সত্যি বলতে, এই মসজিদ মন্দিরের নামে চলে এক ধরনের প্রতারণা । এরা খোদারে নিয়া ব্যবসা করে,দান গ্রহনের নামে ভিক্ষা করে । এসব বন্ধ হওয়া দরকার । আল্লাহ যেদিন ধরবে সেদিন আর শেষ রক্ষা হবে না । প্রতিটি জিনিষের হিসাব দিতে হবে । এদের কারো ইমানের ঠিক নাই । তার প্রমাণ হচ্ছে, ধর্মের নামে দলাদলী একদল বলে তারা ঠিক অন্যদল বলে ভুল । ছি । ঘেন্না লাগে এসব দেখলে । এদের পেছনে নামাজ হয় বলে আমার মনে হয় না ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১০
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দীপনের দীপ নেভে না

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯


ছবিঃ সংগৃহীত
আজকে সামুর অন্ধকার ব্লগার নামে খ্যাত ফয়সাল আরেফিন দীপনের মৃত্যু দিবস। ২০১৫ সালে আজকের এই দিনে জঙ্গি হামলায় দীপন মারা যান নিজ প্রকাশনীর কার্যালয়ে । যে ছেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বজলুল হুদাকে জবাই করে হাসিনা : কর্নেল (অব.) এম এ হক

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৯

মেজর বজলুল হুদাকে শেখ হাসিনা জবাই করেছিলেন।

(ছবি ডিলিট করা হলো)

শেখ মুজিবকে হত্যার অপরাধে ২৮শে জানুয়ারী ২০১০ এ মেজর (অব.) বজলুল হুদা সহ মোট ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মি. চুপ্পুর পক্ষ নিয়েছে বিএনপি-জামাত; কারণ কী?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬


বিএনপি গত ১৬ বছর আম্লিগের এগুচ্ছ কেশও ছিড়তে পারেনি অথচ যখন ছাত্ররা গণহত্যাকারীদের হটিয়েছে তখন কেন বিএনপি চু্প্পুর পক্ষ নিচ্ছে? অনেকেই বলছে সাংবিধানিক শুন্যতা সৃষ্টি হবে তার সংগে বিএনপিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগারেরা প্রেসিডেন্ট চুপ্পুমিয়াকে চান না, কিন্তু বিএনপি কেন চায়?

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪



**** এখন থেকে ১৯ মিনিট পরে (বৃহ: রাত ১২'টায় ) আমার সেমিব্যান তুলে নেয়া হবে; সামুটিককে ধন্যবাদ। ****

***** আমাকে সেমিব্যান থেকে "জেনারেল" করা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিকাহের পরিবর্তে আল্লাহর হাদিসও মানা যায় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪




সূরা: ৪ নিসা, ৮৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৭। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তিনি তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্র করবেন, তাতে কোন সন্দেহ নাই। হাদিসে কে আল্লাহ থেকে বেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×