যখন আমাকে আর ভালো লাগবে না তোমার
জাগা হবে না অসংখ্য গভীর রাত
ঘুমপাড়ানি গল্পগুলো খুঁজতে যাবে নির্বাসন
বৃষ্টিবেলার যেমন খুশি তেমন ছাদে দাঁড়াবো না গরম চায়ের কাপে
খুব কাছে শুনতে চাইবে না সদ্য কবিতা ফিসফাসে
মশারীর ভিতরে জোনাকি ধরে দিবোনা তোমায় হীরের আলো
আমার বুক পকেটে সারাদিনের ক্লান্তি
ফুচকা প্লেটে চামচের যুদ্ধ
মুঠোফোনে শরীরে কোমল আঙ্গুলের বৃদ্ধ হওয়া
সযত্নে লুকিয়ে রাখা সুখী একটা হাসি ;
ভালো লাগবে না আমাকে তোমার
শেষ রাতের জানালায় জড়িয়ে থাকা অন্ধকার
রান্না বাড়ি কাগজ কলম খুনসুটি
আদর আবদার অবহেলা অভিনয়
অপেক্ষা থাকবে না বলে দেখা হবে না তেপান্তরের মাঠে আর
অভিমান রবে না বলে পলক তলে অশ্রু হারাবে অধিকার ।


যখন আমাকে আর ভালো লাগবে না তোমার
তখনও স্মৃতিরা কোলাহল করে ঘুমিয়ে যাবে ডায়েরির পাতায়
একটা পানকৌড়ি উড়ে যাবে বিষণ্ণ নীলের ক্যানভাসে
কেউ কেউ ভিজে যাবে বলে কপাট খুলবে শ্রাবণ
বালিশের ফাঁপা বোবা ফ্রেম বেঁধে রাখবে কিছু দীর্ঘশ্বাস
বিকেলের হলদেটে রোদের গন্ধ খুঁজে নিবে বুড়ো কাকের ডানা
কেউ জানবে না কবির মন খারাপ হলে শব্দের মিছিল হেঁটে যায় নির্বাক
কেউ জানবে না শহুরে চোরাস্রোতে ভেসে যাওয়া মানুষের সুব্দর গল্প থাকেনা
অথচ তখনও শিশির প্রেমে পড়বে প্রথম রোদের
তখনও ল্যামপোস্ট নিজেকে পোড়াবে আলো হতে রাতের গহীন কষ্টে
তখনও ফিরবে না জেনেও হারিয়ে যেতে দিবো ঘুমপরীদের
আমার কবিতার উপমা খুঁটে খুঁটে খাবে কালি উপাচানো কলম
শুধু জানালার ওপাশে দুটো শালিক জেনে যাবে,
এ জীবন অসমাপ্ত গল্পের দুর্বোধ্য ভাগশেষের তলানি ছাড়া কিছু নয় ।


যখন আমাকে আর ভালো লাগবে না তোমার ; এইসব হবে
দারুচিনি গন্ধা খামের ভিতর শুয়ে রবো একদিন সব শেষে
ঘাসফড়িঙের ডানায় ঠিকানাবিহীন ডাকটিকিট দেখে
কোনও মৃত সময় তুমি পুষবে কিনা আমার জানা হবে না ।



( কি লিখছি, আদৌ কিছু হলো কিনা জানি না । শুধু কড়া বিষণ্ণতা আর তীক্ষ্ণ মাইগ্রেনের সাথে যুদ্ধ করে গেলাম কি বোর্ড আর আঙ্গুলের কর্কশ শব্দে)