এত্ত কথা কেমনে বলে?
যখন তখন,যেথায়-সেথায়
যা ইচ্ছে তা বলেই ফেলে!
খেলতে গেলেই পড়তে বলে,
পড়তে গেলেই তুলনা চলে!
খেতে বসলে-"জলদী খা তুই"
ঘুমাতে গেলে
" এখনো ক্যান দু'চোখ খুলে!?
রোজ সকালে উঠতে গেলেই
ভিষণ রকম কান্না আসে..
"নবাবের পুত, ঘুমাই এখনো"
বিকট শব্দ কানে ভাসে!
"গরু চরা,স্কুলে যা"
পানি আনা,লাকরী খোঁজা
কৈশরে কি এসব আসে?
দু' টাকার এক কিনলে বেলুন
মাথায় বড় বাজ পড়ে যায়,
শার্টটা একটু ময়লা হলেই-
"মনে রাখিস, তোর খানা নাই!"
এক ডাকাতে না পেলে তো
বস্তা পিঠে বাধা-ই চাই!
মা যদি অন্ধ হতো,
খুব করে ভাই বেঁচে যেতাম,
ইচ্ছেগুলো হাসছে ভিষণ
নিজের চোখে দেখতে পেতাম।
বিচার দিলে পরশী আমার,
দোষটা যদি একটু শুনতো,
কখন ফিরবো হাতের নাগাল,
পুলিশী এক প্রহর গুণতো!
বাঁশের ছড়ির কড়া আঘাত
কত্ত ডোল হয়, (ডোল=ব্যাথার একক)
কেউকি জানতো"?
মা আমার বধির হলে,
কে শুনতো কার কথা আর!
বিচার ছাড়াই জয়ী হতাম,
হেডাম দেখতাম পরশীর মা'র!
কত্ত সখযে মরে গেছে,
কত স্মৃতি রোজনামচায়,
মা'কে এখন কথায় কথায়
ভিষণ করে আমি পঁচায়,
এখন তিনি বোবাই প্রায়,
বলার কোনো সুযোগ কী পায়?
অবতল এক চশমা ছাড়া
চোখেও নাকি ঝাপসা দেখায়!
কানের ভিতর শন-শনে এক
বুলডোজার খুব আওয়াজ তুলে
তিন ডাকে একবারই তাকায়
কৌতূহলী দু-চোখ তুলে!
মায়ের আর্জি ওপরওয়ালা
শুনেন নাকি তরিৎ করে,
মানবিক এক মা' চেয়েছি,
আর কিছু নয় জনম ভরে!
ছবি-অনলাইন হতে সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪৮