এক্সপেডিশন
যখন দু:সাহসী ছিলাম
চেয়েছিলাম তোমার দীর্ঘ চুল বেয়ে
স্পর্শ করতে প্রশস্ত কপাল,
ডাগর টলটলে চোখে
দেখতে চেয়েছিলাম নিজের প্রতিবিম্ব।
যখন সৈরাচারী ছিলাম
চেয়েছিলাম ঐ গোলাপকলি ঠোঁটে
থাকবে শুধুই আমার
একচ্ছত্র অধিকার।
যখন হিংস্র ছিলাম
গণ্ডপ্রদেশে বসাতে চেয়েছিলাম
শ্বাপদের চেয়েও ধারালো নখর;
পেশীর হুংকারে বলতে চেয়েছি
নারী, আমারই পেষনে গলিত হবে
তোমার নধর মোমপালিশ দেহ।
চুলের ডগা থেকে পায়ের তালু পর্যন্ত
বইয়ে দেবো তপ্ত নি:শ্বাসের ঝড়;
বৃষ্টি হয়ে ঝরবো তোমার বুকে,
তোমাকে করে দেব-
বিশুদ্ধ দো-আঁশলা কাদা;
অত:পর তুমি হবে আমার
রবিশস্য বপনের
চাষাবাদী উর্বর পলি জমি।
কিন্তু...
কয়েক ক্রোশ মহা-সমতল পেরিয়ে
বসনের সূক্ষাতি-সূক্ষ সুতার বাঁধনের সাথে
মরণপণ লড়াই শেষে
দীঘল জলতার কাছে এসে
থমকে দাঁড়াই;
পরাজিত হই;
হারিয়ে ফেলি নিজেকে।
আলো আর কালোর মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়ি
দিগ্-দিশা ভূলে-
আবিষ্কার করি
সাদা আর কালো গহ্বরে নিজেকে
ঘূর্ণায়মান।
ধীরে ধীরে স্বপ্নের মত
ডুবে যাচ্ছি
উবে যাচ্ছি
কৃষ্ণ-গহ্বরের শুভ্র অতলতায়।