ভাগ্য নির্ধারকের দ্বারা গর্ভে থাকা অবস্থাতেই কিছু মানুষের নির্মম ভাগ্য নির্ধারিত হয় অতি সহজ প্রাপ্য রসায়নের মাধ্যমে। এটা একটা পরীক্ষার অংশ।
সাধারণত পরীক্ষায় সহজ কঠিন উভয় প্রশ্নই থাকে।
যে যার মতো নির্ধারণ করে কোন প্রশ্নের উত্তর দিবে। পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢোকার আগে প্রস্তুতি নেওয়ারও সুযোগ থাকে।
এখানে তার বালাই নাই। কারো জন্য কঠিন প্রশ্ন, কারো সহজ প্রশ্ন, কারো জন্য সহজ কঠিন মিলিয়ে তৈরি প্রশ্ন।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার নামে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে অনেক প্রতিষ্ঠান,অনেক মানুষ অর্থ কামাই করে নেয়।
উক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেও অনেক প্রতিষ্ঠান,অনেক মানুষ অর্থ কামাই করে নেয়।
প্রহসনের নির্বাচন হলে ভোট না দিতে পারা মানুষকে যদি এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়,অনেকেই বলে,"রাজনীতি বুঝি না,ভোট দিতে পারি নাই তাতে আর এমন কি ক্ষতি?!"
গর্ভ থেকে,জন্ম থেকে নির্মম ভাগ্যের শিকার অনেক মানুষও একই রকম উত্তর দেয়,ভাগ্য নির্ধারক তাদের এই ভাগ্য নির্ধারণ করে দিছে,এটা পরীক্ষার ই অংশ।
যে রসায়নের মাধ্যমে এই নির্মম ভাগ্যের শিকারের জন্ম হলো,সেই রসায়নের অর্ধেক রাসায়নিক পদার্থ অন্য কোনো গর্ভে পতিত হলে হয়তো তার এই ভাগ্য নির্ধারিত হতো না। সে নিয়ে এতো চিন্তার কি আছে?
ভাগ্য নির্ধারককে আমরা কতটুকু বুঝি?
গর্ভ,জন্ম থেকে শুরু করে হয়তো সারাজীবন ই নির্মম ভাগ্যের মধ্য দিয়েই কারো কারো পরীক্ষার পরিসমাপ্তি হয়। পৃথিবীর এই পরীক্ষার ফলাফল মৃত্যুর পরে। সেখানে পরীক্ষার ফলাফল ভালো হবে কি মন্দ হবে তারও ঠিক নাই।
নিজেকেই চালানোর সামর্থ্য নেই এমন মানুষও বস্তির কোনো কুঠুরিতে বসে প্রতিদিন নতুন নতুন রসায়ন ঘটাচ্ছে। ভাগ্য নির্ধারকও প্রতিদিনই কতগুলো হতভাগ্য ভাগ্য নির্ধারণের খসড়া তৈরি করে যাচ্ছে....
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৮