টেকনোলোজি কি আমাদের গ্রাস করে ফেলতেছে!! আমরা কি অতি দ্রুত একটি পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে প্রবেশ করে ফেলেছি কিছু বুঝে ওঠার আগে? যে পরিবর্তন আমাদের আমাদেরকে শান্ত সুন্দর সরল স্বাভাবিক নাচারাল জীবন থেকে দ্রুত ডাইভার্ট করে রিভেঞ্জের ভেতর প্রবেশ করাচ্ছে?
যা দেখতে চাই না তাই ই দেখতে হচ্ছে, যা শুনতে চাই না তাই ই শুনতে হচ্ছে, সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস অসৎ সঙ্গে নরক বাস ক্রিয়েট হচ্ছে। কেউ কেউ ভালো হয়েও টেকনোলোজির মাধ্যমে দ্রুত অসৎ সঙ্গের সংস্পর্শে এসে খারাপ কিংবা যা কিছু ক্ষতিকর তার দিকে ধাবিত হচ্ছে। হচ্ছে না?? সব তো ভালো ভালো হচ্ছে তাই না, দেখতে হবে ক্ষতি মঙ্গল কোনটার পাল্লা ভারী, অজ্ঞতা ভুল করবার বয়স, না বুঝ বড়রা পর্যন্ত ভুল কাটিয়ে উঠে নিজের মনকে সঠিক পথে এক্সপ্রেস করতে পারছেনা।
রাস্তাঘাটে, স্কুলে, কলেজে অফিসে, হাসপাতালে, যে কোন পেশার যে কোন বয়সের যে কোন জেন্ডারের যে কোন মানুষ এই রকমভাবে নিজের ইথিক্যাল ইমপ্লিকেশন বিসর্জন দিয়া কোথায় কি আছে সেই সকল বিচার বিবেচনা অকার্যকর হয়ে গেছে এই রকম ভাবে বিকল যন্ত্রের মতন মোবাইলের দিকে ঝুঁকে থাকেন, এইভাবে পথ চলতে গিয়া এক্সিডেন্ট করে মরেও যাচ্ছেন , তবুও বেহুস এই পিপলদের হুস হচ্ছেনা।।
কয়দিন পর এই বেহুস জাতির মাথার উপর দিয়া এমনভাবে শিকড় বাকর গজাবে যে এই রকম ক্লিনিং মেশিন দিয়ে গন হারে পরিষ্কার করতে হবে।
গতকাল বাসায় যেতে যেতে দেখি আমার পাশে বসা এক চাষাভুষা চাচা এক্সট্রিম আনন্দিত হয়ে ফেইসবুক চালাচ্ছে, তার মোবাইল স্ক্রিনে একটি অসম্ভব রূপবতী মেয়ে সদ্য প্রোফাইল পরিবর্তন করেছেন তিনি তাতে লাইক কমেন্ট দিয়া এমন ভাবে উঁচু করে মোবাইল ধরেছেন যে সবাই তা দেখতে পাচ্ছে, দৃশ্যটি দেখে দুইটা স্ট্রেঞ্জ থিঙ্কিং আমার মাথায় খেলে গেলো! ১, আমার বেলায় কি এমন কভু হইছে!? কেউ কি আমার ছবি বাসের মধ্যে উঁচু করে সবাইরে দেখাইছে?২) বাসের যত লোক আছে তাদের কি সবার ফেইসবুক একাউণ্ট আছে এইটা কাউণ্ট করা সহজ না কার একাউণ্ট নাই সেইটা সহজ।
অবস্থা চিন্তা করে রীতিমত আমার হার্টবিট বেড়ে যাওয়ায় কানের মধ্যে হেড ফোন ডিা ডেকোডেট গান ছেড়ে দিয়ে লম্বা একটা নিঃশ্বাস নিতে নিতে নিশ্চিত হইলাম টেকনোলোজি আমারেও গ্রাস করে ফেলতেছে।
একদিন পৃথিবী থেকে গাছ লতা পাতা মাটি পানি বাতাস বিলুপ্ত হবে থেকে যাবে শুধু যন্ত্র আর যন্ত্র।
ছবি শিল্পী পাওয়েল কুকিজিনস্কির আঁকা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩