সাহিত্যের উদ্দেশ্য যদি হয় এমন, নারীর রূপলাবন্যকে পুরুষদের সামনে তুলে ধরা, নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে তুলে ধরা, নারীর প্রতি কামুকী দৃষ্টিতে তাকাতে সাহায্য করা। তাহলে এটা আর যাই হোক, কখনো সাহিত্য হতে পারেনা। আজকাল নতুন প্রজন্মের লেখকদের লেখা পড়লে বুঝে উঠা মুশকিল হয় যে, তাঁরা সাহিত্য চর্চা করলো নাকি ষোড়শী কোন রমনীদিগের ঠোঁট, গাল সহ দেহের অন্যান্য অঙ্গের বর্ণনা দিলো। নবীন লেখকদের এই নোংরা গণ্ডি ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে। আমি চমৎকার কয়েকটা শব্দকে পাশাপাশি বসাতে পারা মানেই আমি লেখক বনে গেলাম, বিষয়টা এমন নয়। আবার দু'একটা লেখায় কেউ কেউ বাহবা দিলো আর আমি বড়মাপের লেখকদের ভাব নিয়ে হাটা চলা শুরু করতে হবে বিষয়টি এমনওনা। মনে রাখতে হবে, রমণীদের শরীর নিয়ে লিখে কেউ সাহিত্যিক খেতাব পায়নি। এসব লেখা ক্ষনিকের জন্যই মানুষ পড়ে। এসব লেখা সংরক্ষণ বা সংগ্রহ করার কথা কেউ কখনো চিন্তাও করেনা। আপনার লেখা যদি কেউ কখনো সংরক্ষণই না করলো তাহলে সেটা লেখা (সাহিত্য) হয় কি করে? ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মত করে তাই বলতে হয়- সে লেখা বটতলার বাজে উপন্যাস ছাড়া আর কিছুই না।
সাহিত্যচর্চা হোক নিজের মনকে আনন্দ দেয়ার জন্য। যখনই নিজের মন প্রশান্তি পাবে তখন সে লেখা পাঠকের জন্যও মনে প্রশান্তির কারণ হবে। বটতলার বাজে উপন্যাস দিয়ে প্রশান্তি পাওয়া যায়না। যারা সত্যিকারের সাহিত্যচর্চা করতে চান তাদেরকে বলবো, আপনি বিখ্যাত লেখক প্রমথ চৌধুরীর লেখা 'সাহিত্যে খেলা' প্রবন্ধটা একাধিকবার মনদিয়ে পড়ে অনুধাবন করুন, সাহিত্যচর্চা কি?
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮