-শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে মানববন্ধন
-সেই শিক্ষক তপু রায়
গত ২৫ এপ্রিল দিনাজপুর শহরের মুন্সীপাড়া এলাকায় রিজ স্কুলে এক ছাত্রীকে ক্লাসরুমে একা পেয়ে বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা-বিষয়ক শিক্ষক তপু রায় তার শ্লীলতাহানি ঘটায়। ওই ছাত্রী বাড়িতে এসে অভিভাবকদের জানালে অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেন। অভিযোগ শোনার পর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমৃত সাহা সেতু ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করেন এবং ঢাকা থেকে চেয়ারম্যান এলে বিষয়টি নিয়ে বসা হবে বলে জানান।
কয়েকদিন পর বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ওলিউর রহমান নয়ন ঢাকা থেকে দিনাজপুরে এলে ওই ছাত্রী ও তার অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে যান। কিন্তু চেয়ারম্যান অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করার অভিযোগে ওই ছাত্রীকে কান ধরে পুরো বিদ্যালয় ঘোরার আদেশ দেয়। অন্যথায় ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে রাখা সম্ভব হবে না বলে জানিয়ে দেন। পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে এসে অস্বাভাবিক আচরণ করে এবং আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করতে গেলেও অদৃশ্য কারণে সেখানে মামলা না নেয়ায় দিনাজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার সকালে দিনাজপুর শহরের ব্যস্ততম কালিতলা সড়কে দিনাজপুর সচেতন নারী সমাজের ব্যানারে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে মানববন্ধনের অংশগ্রহণকারীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এবার ভাল করে নামগুলো খেয়াল করেন। শ্লীলতাহানী করেছে 'তপু রায়', প্রধান শিক্ষকের নাম 'সমৃত সাহা সেতু' এবং স্কুলের চেয়ারম্যান ওলিউর রহমান নয়ন আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন নেতা।
স্বাভাবিক কারণেই কোন প্রতিষ্ঠিত মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় এই ঘটনা প্রকাশিত হয়নি। হবেও না।
আমার মনে আছে, ভিকারুন্নেসা স্কুলে পরিমলের ধর্ষণের পরও একই ঘটনা ঘটেছিল। প্রথমে কোন প্রগতিশীল সেই ঘটনার প্রতিবাদ করতে চায়নি, প্রথম আলো এবং মুন্নি সাহা উল্টো সেই ভিক্টিমকে দোষী করে রিপোর্ট করেছিল, 'ঘটনার দিন মেয়েটি স্কার্ট পরে প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল'। যেন দোষটা ধর্ষকের না, পোষাকের।
অপরাধীর ধর্ম দেখে তার বিচার না করার এবং তার অপরাধ প্রকাশের সিদ্ধান্ত না নেবার অলিখিত নীতিমালা যদি সাম্প্রদায়িক আচরণ না হয়, তাহলে সাম্প্রদায়িকতার সংগা নতুন করে লিখতে হবে।
সূত্র: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের ফেসবুক ওয়াল থেকে (৩১/০৫/২০১৬)
আমাদের দেশের শিক্ষার মানের সাথে এটা সম্পর্কযুক্ত। এসকল নষ্ট শিক্ষক তার ছাত্র-ছাত্রীকে ভাল কিছু কখনেই শেখাতে পারবে না। এইঘটানা গুলোর কোন বিচার হবেনা। কেয়েকদিন পর সবাই আমরা ভুলে যাব। এটাই আমাদের দেশের কালচার হয়েছে।
এই ঘটনায় সম্পৃক্ত শিক্ষকের বিচার হোক।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪