somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রশাসনে ঘি আর তেলের দাম এক হলে যা হয়!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গল্প
আজকে অনেক দিন পরে একটা গল্প বলবো। মূল গল্পটি লিখেছেন শেখ সাদী। পল্লীকবি জসীম উদ্দীন তার বাঙালির হাসির গল্প নামের বইতে এই গল্পটি নিজের মতো লিখেছেন। তিনি গল্পের শিরোণাম দিয়েছিলেন, ‘কে আগে শূলে যাইবে’। গল্পটি অনেকেরই জানা রয়েছে। এবার আমি আমার মতো গল্পটি বলছি।

পশ্চিমের দেশে একজন পীর বাস করতেন। তার কিছু মুরিদ বা শিষ্য ছিল। একসময় শিষ্যরা অভিযোগ করলেন, হুজুর এদেশে অনেক গরম। শুনেছি পূর্ব দিকের দেশে গরম কম। সেসব দেশে বসবাস আরামদায়ক। আমরা এরকম একটা দেশে বসবাস করতে চাই। পীর সাহেব তার মুরীদদের পীড়াপিড়িতে সবাইকে নিয়ে পূর্ব দিকে রওয়ানা হলেন। তবে এক জায়গায় কিছু দিন থাকার পর বিপত্তি দেখা যেতো। মুরীদরা বিভিন্ন অভিযোগ ও সমস্যার কথা তুলে ধরতেন। পীর সাহেব অগত্যা তাদের সাথে আবার পূর্ব দিকে পথ ধরতেন। একসময় তারা একটি দেশে উপস্থিত হলেন। সবুজ শ্যামল দেশ। গরম কম। দিনের পর দিন চলে যায়। মুরীদরা কোন সমস্যা উত্থাপন করেন না। পীর সাহেব অবাক হলেন। তিনি কারণ অনুসন্ধান করতে লাগলেন। একসময় জানতে পারলেন, এদেশে তেলের চেয়ে ঘিয়ের দাম কম। এ কারণে তার শিষ্যরা তেলের বদলে ঘি খাচ্ছেন। এতে সবাই এত মজা পেয়েছেন যে, সবকিছু ভুলে গেছেন। তেল আর ঘিয়ের দাম এক শুনে পীর সাহেব আতঙ্কিত হয়ে পড়লেন। তার জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝলেন, যে দেশে তেল আর ঘিয়ের দাম একই হয়, সেদেশে কোন বিচার থাকার কথা নয়। এটা জুলুম আর নির্যাতনের দেশ হবে। প্রাপ্য ব্যক্তির সম্মান থাকেনা। শিক্ষিত ও মুর্খদের একই মূল্য। তার ওপর এদেশে তেলের চেয়ে ঘিয়ের দাম কম। এটা আরো বেশি মারাত্মক ব্যাপার। তিনি দ্রুত শিষ্যদের পাততাড়ি গুটাতে বললেন। দ্রুত এদেশ ছাড়তে হবে। নয়তো সামনে সমূহ বিপদের সম্মুখিন হতে হবে।

পীর সাহেব লক্ষ্য করলেন, তার সকল শিষ্য তার সাথে ওই দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। তবে একজনের মধ্যে কোন ভাবান্তর নেই। পীর সাহেব তাকে কারণ জিজ্ঞাসা করলে শিষ্য কাচুমাচু হয়ে জানালেন, তিনি এদেশে থেকে যেতে চান। কারণ তার শরীরে মাংস নেই। সব হাড্ডি। তিনি কম দামে ঘি খেয়ে স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে চান। পীর সাহেব যতই তাকে বুঝালেন, শিষ্য তার সিদ্ধান্তে আরো বেশি শক্ত হন। অবেশেষে পীর সাহেব তার অন্য শীষ্যদের নিয়ে ওই দেশ ছাড়েলেন। রয়ে গেলেন তার ভগ্নস্বাস্থ্যের অধিকারী প্রিয় শিষ্য।

কয়েক বছর পর পীর সাহেব নিজের ওই শিষ্যের জন্য মায়া অনুভব করলেন। ভাবলেন, নিজে গিয়ে শিষ্যকে দেখে আসবেন। তাছাড়া তেলের চেয়ে ঘিয়ের দাম যেদেশে কম সেখানে বিপদ আসবেই। পীর সাহেব শীষ্যকে দেখতে ওই দেশে চলে গেলেন। এসে যা দেখলেন, তার জন্য তিনি আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন। দেখেলেন, তার শিষ্যকে বেঁধে রাখা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর শূলে চড়ানো হবে।

পীর সাহেব তার শিষ্যকে শূলে চড়ানোর কারণ জানতে পারলেন। ওই দেশে এবছর হঠাৎ ফসল কম হয়। রাজা গণকদের ডাকলেন। কারণ অনুসন্ধান করতে বললেন। গণকরা চন্দ্র সূর্য তারার অবস্থান গণনা করে দেখলেন, এক ব্যক্তি বেশি খাবার খেয়ে ফেলেছেন। খেয়ে দেয়ে বেশি মোটাসোটা হয়ে গেছেন। তার কারণে প্রকৃতি রুষ্ট হয়েছে। শুনে রাজা রেগে গেলেন। বললেন, তাকে খুঁজে বের করো। এবার রাজ্যজুড়ে সবচেয়ে মোটাসোটা ব্যক্তির অনুসন্ধান চলতে লাগলো। ওদিকে পীর সাহেবের শিষ্য কম দামে ঘি পেয়ে খেয়ে খেয়ে এমন স্বাস্থ্যের অধিকারী হয়েছেন যে, তার নিজের দিকে খেয়াল নেই। মোটাসোটা হওয়াও যে অপরাধ হতে পারে সেটা তার আগে জানা ছিলনা। একপর্যায়ে রাজার লোক এসে তাকে ধরে বেঁধে রাজার কাছে নিয়ে গেলেন। রাজা তাকে শূলে চড়িয়ে হত্যা করার আদেশ দিলেন। শিষ্য অবাক হয়ে তার অপরাধ জানতে চান। রাজার স্রেফ একটাই জবাব। তিনি বেশি খেয়ে ফেলেছেন। এতে প্রকৃতি রুষ্ট হয়েছে। ফসল কমে গেছে। তাকে হত্যা না করলে প্রকৃতিকে সন্তষ্ট করা যাবেনা। একজনের জন্য সকল প্রজার ক্ষতি তিনি করতে পারবেন না।

পীর সাহেব তার শিষ্যের কাছে গেলেন। তাকে দেখেই শিষ্য বলে উঠলেন, হুজুর আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে বাঁচান। পীর সাহেব বললেন, এবার আমার কথা শুনবে তো! শীষ্য কাকুতি মিনতি করতে থাকেন। পীর সাহেব বুদ্ধি দেন, বিপদে ভেঙ্গে গেলে চলবেনা। বরং বিপদটা কৌশলে মোকাবেলা করতে হবে। তিনি শিষ্যকে কানে কানে কিছু বুদ্ধি দেন। শিষ্য শুনে হো হো করে হাসতে থাকে।

রাজার কাছে উজির গেছেন। রাজা জিজ্ঞাসা করছেন, যাকে শূলে চড়োনো হবে তার কী কোনো শেষ ইচ্ছা রয়েছে? উজির জবাব দেন, তার আবার কী ইচ্ছা! সে কথা বলেনা। শুধু হো হো করে হেসে যাচ্ছে। কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলেছে, এটা তোমাদের বলা যাবেনা। একমাত্র রাজা জিজ্ঞাসা করলে তাকে বলা হবে। রাজা কৌতুহলী হলেন। তিনি নিজে ওই শিষ্যের কাছে গেলেন। শিষ্য তাকে বললেন, প্রকৃতিকে খুশী করার জন্য শূলে চড়ানো হলে সে পুনরায় এদেশে রাজা হয়ে জন্মাবে। রাজা বললেন, তাই নাকি! উপস্থিত পীর সাহেব বললেন, সে সঠিক বলছে। তার বদলে আমাকে শূলে চড়ান। রাজার উজির ছিলেন অসুস্থ। চিকিৎসকরা বলে দিয়েছেন, তিনি বেশি দিন বাঁচবেন না। তার রাজা হওয়ার খুব শখ ছিল। তিনি বললেন, তাহলে আমি শূলে চড়বো। আমি রাজা হাবো। এবার উজির, শিষ্য ও পীর সাহেব তিনজনেই আমি আমি করতে থাকেন। রাজা দেখলেন, তার বয়সও শেষ। তিনি পরের জন্মেও এদেশের রাজা হতে চান। এ সুযোগ ছাড়বেন কেন! বললেন, খামোস! তোদের কারো কথা চলবেনা। শূলে আমি চড়বো।

পীর সাহেব ও শিষ্য পালাচ্ছেন। পীর সাহেব তার শিষ্যকে জিজ্ঞাসা করলেন, কী শিক্ষাটা পেলে? শিষ্য জবাবে দিলেন, হুজুর আগে পালাই। তারপর কথা হবে। যে দেশে তেল আর ঘিয়ের দাম সমান সেদেশে ন্যায় বিচার নেই।

বাস্তবতা
গল্পটা শুনে যারা মজা পেয়েছেন এবার বাস্তবতা শুনে আহত হবেন। ছোট বেলায় দেখতাম, গুড় আর চিনি দিয়ে জিলাপি বানানো হতো। তবে গুড়ের জিলাপির চেয়ে চিনির জিলাপির দাম বেশি ছিল। অনেক বছর জিলাপি খাওয়া হয়নি। হঠাৎ একদিন দেখি গুড়ের জিলাপি পাওয়া যায়না। পাওয়া গেলেও চিনির জিলাপির চেয়ে দাম বেশি। বাস্তবে গুড়ের দামও বেশি। এখন গুড় তৈরি হয় চিনি দিয়ে। সবচেয়ে বেশি অবিচারটা হয় মুগরির ওপরে। ছোটবড় সব ডিমের দাম সমান! এরপরেও কমিউনিস্টরা এদেশে কেন বড় কিছু করতে পারেলেন না এটা নিয়ে মাঝে মাঝে ভাবনা হয়।

এদেশে এখন সবাই অফিসার। যাদের পদবিতে অফিসার শব্দটা নাই তারাও এজন্য আন্দোলন করছেন। এখন সন্তানের কথার চেয়ে বাবার কথার মূল্য কম। শিক্ষকের চেয়ে শিক্ষার্থীদের কথার মূল্য বেশি। পীরের চেয়ে মুরিদরা বুঝে বেশি। নেতার চেয়ে অনুসারীরা এক ধাপ এগিয়ে।

আমি যে পেশায় রয়েছি, এবার সেদিকে একটু আলোকপাত করি। সিভিল সার্ভিস সরকারের অনির্বাচিত অংশ। সিভিল সার্ভিসকে শাসন ব্যবস্থার খুঁটি হিসাবেও বিবেচনা করা হয়। সরকার চলে যায় তবে সিভিল সার্ভিস থেকে যায়। বৃটিশদের মার্কেন্টাইল সিভিল সার্ভিস থেকে এদেশের সিভিল সার্ভিসের জন্ম। এর ধারণাই বনেদি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। যারা ভদ্র ও কুলীন পরিবারের হবে। যাদের আচার আচরণে কৌলিণ্য থাকবে। এরা মেধায় হবে তুখোড়। দুর্নীতি এদের স্পর্শ করতে পারবেনা। এরা সংখ্যায় হবেন কম। কারণটা কী! রবীন্দ্রনাথ শেষের কবিতায় বলেছলেন, ‘ভালোর সংখ্যা যত কম হয় তত ভালো। ভালোর সংখ্যা বেশি হলে তা হয় মাঝারি’। ঘি আর তেল, চিনি আর গুড় আলাদা থাকতে হয়। সমস্যাটা হচ্ছে, এদেশে সিভিল সার্ভিসে তেল আর ঘিয়ের দাম সমান করে দেয়া হয়েছে। কে করেছে; কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে-এসব বলবোনা। শুধু গল্পটাই বলে যাবো।

ভারতের রাজনীতিকদের নৈতিক স্টান্ডার্ড আামাদের দেশের নেতাদের মতোই। তবে এত বড় দেশটি আইএএস কর্মকর্তারা চালাচ্ছেন। সেখানকার জেলা পয়ায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে আইএএস কর্মকর্তারাই ইমাম হন। বাকী সরকারি কর্মকর্তারা তাদের অনুসরণ করেন। জেলার উন্নয়নে তাদেরকেই সহায়তা করেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা করতে সরকারকে বেগ পেতে হয়না। কীভাবে আইএএস কর্মকর্তারা বিশ্বমানের হলেন! ভারতের নেতা সরদার বল্লভ প্যাটেল ব্রিটিশ সরকার এবং তাদের আইনের কট্টর বিরোধী ছিলেন। এজন্য ব্রিটিশদের পক্ষে কাজ না করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অথচ তিনিই ভারতের স্বাধীনতার পর বৃটিশ গভর্ণর মাউন্ট ব্যাটেনকে ভারতের গভর্ণর হিসেবে বহাল রাখেন। তাকে এক বছর মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদমর্যাদায় রাখা হয়। রেখে দেয়া হয়েছিল বৃটিশ আইসিএস অফিসারদের। যাতে বৃটিশদের প্রবর্তিত প্রশাসনিক আচার আচরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যত্যয় না হয়। কর্মকর্তাদের মান যাতে পড়ে না যায়।

ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের মাত্র তিনটি ক্যাডার রয়েছে। অথচ আমাদের দেশের মতো একটা দেশে ৩০ টি ক্যাডার করা হয়েছে। এর মধ্যে সচিবালয় ক্যাডার ও ইকোনোমিক ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সাথে একত্রিত করা হয়েছে। বাকী অনেকগুলো জেনারেল ক্যাডারও প্রশাসনের সাথে একত্রিত হতে চায়। প্রশ্ন হলো-আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ও প্রশাসনিক কাঠামোতে সকল ক্যাডারকে অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক সমতা দেয়া কী সম্ভব! আমার মনে হয়না। তাহলে এতগুলো ক্যাডার করে দ্বন্দ্ব তৈরি করার কারণ কী আমি বুঝতে পারিনা। প্রশাসন ছাড়া বাকী ২৫ টি ক্যাডার আন্দোলন করছে। তাদের দাবী দাওয়ার বিষয়ে কথা বলে ব্যক্তিগতভাবে কারো বিরাগভাজন হতে চাইনা। তবে তথ্য, সমবায়, ট্রেড ক্যাডারসহ জেনারেল অনেক ক্যাডারের এমন কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রশাসন ক্যাডারের একজন সেই কাজ করতে পারবেন না! তবে ক্যাডার হওয়ার দৌড় ৩০টিতে থেমে নেই। এখন আরো কমপক্ষে চার-পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ক্যাডার হতে চান। তারা এনিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। এদেশে ভালোর সংখ্যা এখন এমন পর্যায়ে যে সবার মান মাঝারি হয়ে গেছে।

এতো গেলো ক্যাডারের সংখ্যা নিয়ে কথা। এবার ঘি কে তেলে রূপান্তরিত করতে আরেকটি পদক্ষেপ নেয়া হয়। বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য হতেই নন ক্যাডারে নিয়োগ দেয়া শুরু হয়। শুধু কী তাই! ক্যাডার নন ক্যাডার এখন নবম গ্রেডে যোগদান করেন। এখন বিসিএসটাকে ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের পর্যায়ে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। তারাও বিসিএস লিখেন। কয়েকদিন পর তাদের আন্দোলনও দেখতে পাবো। সমস্যাটা হচ্ছে, এদের কয়েকজন উচ্চ আদালতে রীট করে বলেছেন, আমরা বিসিএসের জন্য আবেদন করেছি। নন ক্যাডারের জন্য আবেদন করি নাই। আমরা বিসিএস পাস করেছি। আমাদের নন ক্যাডার কেন দেয়া হবে। শুনেছি, এ যুক্তি দেখিয়ে রায় এনে কয়েকজন প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্যাডারেও যোগ দিয়েছেন। বাকীরা এ তথ্য হয়ত জানেনা। জানলে তারাও একই লাইন ধরবেন। এরপর থেকে বিসিএস পাস করার পর উত্তীর্ণ প্রার্থীরা যারা ক্যাডার পাচ্ছেননা তাদের কাছ থেকে নন ক্যাডারের জন্য আবেদন নেয়া হচ্ছে। শুধু নন ক্যাডারের জন্য একটা কেন্দ্রীয় পরীক্ষা না নিয়ে ক্যাডারের জন্য পরীক্ষা থেকে নন ক্যাডার নিয়োগ করার কারণ কী আমি বুঝতে পারিনা। এতে তেলের দামে এখন বিসিএস পাওয়া যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো আরো কত দ্বন্দ্ব তৈরি হবে-তা আল্লাহ মালুম।

যাই হোক, আল্লাহর কাছেও সব মানুষ সমান নয়। আল্লাহ বলেছেন, হাল ইয়াস তাওইল লাজিনা ইয়ালামুনা ওয়াল লাজিনা লা ইয়া লামুন? যারা জানে আর জানেনা তারা কী এক? আল্লাহ সবার সৃষ্টিকর্তা। তিনি সরাসরি মানুষ সমান না এটা বলতে পারেন না। এজন্য প্রশ্ন করে ছেড়ে দিযেছেন। বালাগাত অনুযায়ী এর অর্থ কস্মিনকালেও এক নয়। কোন কিছুই মেধার সমান হতে পারেনা। প্রতিযোগিতায় যারা এগিয়ে থাকবেন তারাই মেধাবি। তাদের আলাদা সম্মান ও মূল্য থাকা দরকার। ঘিয়ের দাম তেলের চেয়ে বেশি থাকা দরকার।

যা বলছিলাম, শেখ শাদীর লিখে যাওয়া গল্পের ঘি আর তেলের দাম সমান দেশটা যে আমাদের হবে এটা কে জানতো।

(সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছি কমেন্টে)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৩
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার বিহনে কাটে না দিন

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৩



অবস্থানের সাথে মন আমার ব্যাস্তানুপাতিক,
বলে যাই যত দূরে ততো কাছের অপ্রতিষ্ঠিত সমীকরণ।
তোমাকে ছেড়ে থাকা এতটাই কঠিন,
যতটা সহজ তোমার প্রতিটি চুল গুনে গুনে
মোট সংখ্যা নির্ণয় করা।
তোমাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

×