somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালোবাসার একডজন ক্ষুদে ছড়া কবিতা

২১ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক.
তাজমহাল
ঘুরে দেখলাম এ কোন জাদুতে গল্প পেয়েছে প্রাণ
মমতাজের গল্প কীভাবে লিখেছে সম্রাট শাজাহান৷
এখানে পাথর গল্প বলে যায় অনিমেষ ভ্রুক্ষেপহীন
সাদা পাথুরে গল্পের রেশ অকাতরে ছড়ায় প্রতিদিন৷
পাথর কাটা অভূতপূর্ব গল্পের সমাবেশের ফলাফল
রবী দেখেছে কালের কপোল তলে নয়নে বিন্দু জল৷
নজরুল দেখেছে বাইরে শাহজাহান অন্তরে মমতাজ
এই কীর্তি উদাহরণ বলে যায় কেমন তখনকার রাজ৷
অপলক দৃষ্টিতে অপার বিস্ময়ে বিস্মৃত হয়ে যায় সব
এমন গল্প কলমের কালিতে লেখা পুরাপুরি অসম্ভব৷
স্মৃতিসৌধের শুভ্র শিলায় এ লেখা চির অক্ষয় অম্লান
কালে-কালে অশ্রুত গল্প শুনে প্রেম পাবে পরিত্রাণ।

দুই.
চোখ
কে বলে হেয়ালি চোখে দেখা খুব পাপ
লুকিয়ে দেখাদেখি সে এক মহা অন্যায়!
আমি বলি কালবেলার যতটা অভিশাপ
ভেসে গেছে ওই চোখের আলোর বন্যায়৷

তিন.
কাছাকাছি
কোনদিন যদি চলে যাই যদি আর না ফিরি কখনো কোনদিন,
দৃষ্টির বাইরের সীমানা পেরিয়ে দূরে কোথাও যদি হই অন্তরীণ;
আমাকে পাবেনা কখনো তুমি জানবেনা আমি কেমন আছি,
নিজের কাছ থেকে দূরে ঠেলে দিওনা যতক্ষণ থাকি কাছাকাছি৷


চার.
ঢেউ
জানিনা আমার এই মন কখন ছুঁয়েছিলে
সেই থেকে মনের নদীতে ঢেউ তুলে দিলে৷
সব পেয়ে গেছি অার কী চাই এই জীবনে
তোমার ছন্দের রেশ মনে বাজে ক্ষণে ক্ষণে৷
জীবনের যত রঙ মানে তোমার ছোঁয়া বুঝি
সেই থেকে এই মনে শুধু তোমাকেই খুঁজি৷


পাঁচ.
বিশ্বাস
তুমি কখনোই আমাকে ছেড়ে যাওনি- এটা আমি জানি
তবু জানলেনা তোমাকে ভালোবাসি বুকজুড়ে কতখানি৷
তোমাকে ভেবে রাত কেটে যায়; কেটে যায় পুরো দিন
সবকিছু নিয়ে বেঁচে আছি এই আমি বুকে স্মৃতি অমলিন৷
ঘুম চলে যাও বহু দূরে না হয় লম্বা হোক রাতের অভিযান
তবে আমার কাছে দিন রাত বলে কিছু নেই সব এক সমান।
পৃথিবীর সব খারাপ তার হবে মানুষ কখনো যদি জেনে যায়
আমার মতো তোমাকে বুকে ধরে বাঁধাহীন পথ চলে নির্দ্বিধায়।

ছয়.
অসুখ
তোমাকে দেখেছি আমার বিরহ আর গ্রহণের কালে,
তোমাকে দেখেছি আড়ালে আবডালে হৃদয়ের অন্তরালে।
তোমাকে দেখে দেখে অন্তরে শিহরণ আনন্দে কাঁপে বুক,
তোমাকে দেখে ভালো হয়ে যায় এই হৃদয়ের অসুখ।

সাত.
ইশরাত
ইশরাত ইশরাত একসাথে বিশ রাত
কাটিয়েছি আমরা,
সাক্ষী আছে ওই হোটেলের কামরা৷

স্মৃতিগুলো এত তাজা কড়কড়ে ঝরঝরে
তোমাকে দেখলেই খুব বেশি মনে পড়ে৷

ইশরাত ইশরাত চলো আরো বিশ রাত
এক সাথে কাটাবো
এইবার প্রাণপণ প্রতিক্ষণ আয়োজন
ভালোভাবে মাতাবো।৷

আট.
একটি মেয়ে
একটা মেয়ে হঠাৎ রেগে মারতে আসলে ঘুষি
সেই মেয়েটি কথা শুনেই হয়ে গেলে খুশি৷
সেই মেয়েটি দেখতে ভালো কথা বার্তায় পাকা
সেই মেয়েটি চলে গেলে মনটা হবে ফাঁকা৷
সেই মেয়েটি হাসতে গিয়ে ছড়ায় চান্দের আলো
সেই মেয়েটি না অাসলেই আমার ছিলো ভালো৷
গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর সেই মেয়েটার সাথে
সময় কাটে এমনি করে প্রথম দেখার রাতে৷
সামনে কী আর হতে পারে সবকিছুই ভুলে
চলছে চলুক কয়েকটা দিন ভাবনা রাখি তুলে৷

নয়.
পদ্মাসেতু
আগের মতো এই পদ্মায় জল বয়ে গেছে শুধু
কীর্তিনাশার ঢেউ আজ আর নেই তার বুকে৷
হঠাৎ স্বপ্নপূরণের কী সব হয়ে গেলো এখানে
দেখলাম পদ্মার ঢেউ এখন সবার চোখেমুখে৷

বহু চাওয়ার পর অনেক বড় প্রাপ্তি, খুব বাস্তব
এত দূর থেকেও এই চোখ ছুঁয়েছে পদ্মার জল,
সব সীমা ছাড়িয়েছে আজ আমার যত উচ্ছ্বাস
পদ্মা সেতু আমার দৃপ্ত শপথ, আমার মনোবল৷

যারা বুঝেনি তারা বুঝে যাক এতটুকু হোক বোধ,
অপমানের জবাবে কী সুন্দর এক মধুর প্রতিশোধ৷
এ অর্জনে বারবার ফুলে ওঠে স্পর্ধিত বুকের ছাতি৷
পদ্মা সেতুতে বিশ্ব জেনে যাক বাঙালি বীরের জাতি৷


দশ.
প্রতিকুল
বলেছিলাম বাতাস, এখানে আসবেনা নিজের মতো বিশ্রাম নাও
আমাকে আমার সাথে হিসাব মেলাতে একা একা থাকতে দাও৷
অবাধ্য বাতাস কথা রাখেনি; সবশেষে এলোমেলো করে গেছে চুল
কী হবে কাউকে দোষারোপ করে; যখন জেনেছি সব আমার প্রতিকূল৷
I requested the wind, don't come here, please take a rest.
Let me be alone to settle down about what is the best,
The bauky wind hasn't kept its words just left my hair untidy,
How do I blame someone when everything is against me?

এগারো.
বিজয়
নিজের দেশপ্রেমের প্রশ্নে এটাই আমি এই আমার উচ্ছ্বাসে
জয় পরাজয় যাই হোকনা- ভেতরের আমিটা বেরিয়ে আসে৷
আমার অবারিত এই খুশীর ঝলকানি নিজের দেশের অর্জনে
খুশীর জোয়ারে সব ভেসে যাক গগণ বিদারি বুকফাটা গর্জনে৷
On the question of my patriotism this is me in my exuberance
No matter win or lose - the inner self comes out instance
My unbridled flash of happiness for the fame of my country
Let all be swept away in the tide of happiness let it be free.

বারো.
চোখ
কাছ থেকে দেখা জীবনের অভিনয়
সব মনে আছে কিছুই বিস্মৃত নয়৷
সব কিছু লেখা এই চোখের গভীরে
দীর্ঘশ্বাস যত আসে এই বুক চিরে৷
বেদনা লুকাতে কখনো যদি মনে হয়
এই দুটি চোখ হবে তোমার আশ্রয়৷
So far as I have seen my life's performance
I remember and can't forget it's importance.
Everything is written in the deep of my eyes
All the pains I go through and all the shies.
If you feel like hiding your pains somewhere
These two eyes will be your address forever.


সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

'পাগলের প্রলাপ' যখন সত্যি হয়......
[/সব

আমার এক মামা ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জব করতেন হোটেলের শুরু থেকেই। সেই মামা মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে মুখরোচক কেক, পেস্ট্রি ছাড়াও বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তার চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না, তবুও

লিখেছেন খাঁজা বাবা, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২



শেখ হাসিনার নাকি বায়ক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না। শেখ মুজিবের বেয়ে নাকি দুর্নীতি করতে পারে না। সে এবং তার পরিবার যে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করতে পারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীনভুতে বিশ্বাসী বাংগালী ও ঢাকায় ৫০ হাজার ভারতীয় একাউন্টটেন্ট

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩




ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগে লিখেছিলেন যে, উনার ভগ্নিপতিকে জ্বীনেরা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; ২ সপ্তাহ পরে ভগ্নিপতিকে দিয়ে গিয়েছে; এই লোক, সামুর কাছে আমার বিরুদ্ধে ও অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেছুর নিজস্ব একটি জ্বীন ছিলো!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪



আমাদের গ্রামের খুবই সুশ্রী ১টি কিশোরী মেয়েকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, প্রতিবেশী একটা ছেলে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি ঘটনাকে সঠিকভাবে সামলায়ে, নিজের মাঝে রেখে দিয়েছিলো, এটি সেই কাহিনী।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×