শৈশবে আমার বান্ধবী ছিল রিনা বীণা(ছদ্মনাম)।ওদের বাড়ি আমাদের বাড়ির কাছেই।আমরা একসাথে স্কুলে যেতাম।বিকেলে একসাথে ----গোশত,বৌ-ছি,দাড়িয়াবান্ধা,ফুটবল খেলতাম।দাড়িয়াবান্ধা খেলাটা ভাল খেলতে পারতাম।আমি ছোটবেলায় সব ধরনের খেলাই খেলতাম।তখন ত আর খেলার লিঙ্গ বুঝতাম না!
বড় হয়ে দেখলাম খেলাগুলো নারী পুরুষে বিভেদ করা।তারপর আর খেলা হলো না।ক্লাশ সেভেনে পড়ার সময় স্কুলে দাড়িয়াবান্ধা খেলতে আমার ভাই দেখে ফেলেন।তারপর নিষেধাজ্ঞা পেয়ে প্রিয় দাড়িয়াবান্ধা খেলার ইস্তফা দিলাম।
আমার শৈশব কৈশোর ছিলো ----রংধনুর সাত রঙে রঙিন,অজস্র স্মৃতির সমারোহে ঢাকা।গ্রামের খোলামেলা নির্মল পরিবেশে অবাধে প্রকৃতির টানে বড় হয়েছি।গ্রামের ----- বিশুদ্ধ হাওয়া,জল, বৃক্ষ,মাটি,মাঠ,ঘাট সবই মিশে আছে আমার অস্তিত্বের সাথে।
প্রাইমারী স্কুলে পড়ার সময় ছেলেদের সাথে আমাদের প্রায়ই তর্ক হত।কে কোথায় খেলবে এইসব নিয়ে।আবার সম্পর্ক ভালো থাকলে একসাথে খেলতাম এমন নজিরও আছে।একবার একসাথে খেলতে গিয়ে এক মেয়ে ক্লাশমেট পুকুরে পড়ে গিয়েছিল।
ক্লাশ থ্রীতে পড়ার সময় পরীক্ষা(যে কোন এক সাময়িক পরীক্ষা) শুরু হওয়ার আগে ছেলেগুলার সাথে খুব ভাল রকমের তর্ক হয়।রিনা বীণা আরও অনেকে ছিলাম একসাথে।তবে আমি তর্কে যেতাম না।শুধু ভেংচি দিতাম।এটাই ছিল আমার অপরাধ!
আমি আর আমার বান্ধবীরা পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম।এমন সময় ফোরে কিংবা ফাইভে পড়া দুজন ছেলে দৌড়ে এসে আমাদের পথ আগলে দাড়াল।ছেলেগুলার বাড়ি আমাদের বাড়ির পাশেই।তাদের একজন তৌকির(ছদ্মনাম) হঠাৎ করেই কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার মাথায় থাপ্পর দিয়ে দেয়।ছোটবেলা আমার চুলে বক্স কাট থাকত।আর চুল কেউ এলোমেলো করে দিলে খুব রাগ হতো।
ওই মুহূর্তে আমার হাতে ছিল স্টিলের স্কেল।অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করেই তৌকিরের বাহুতে স্কেলটা বসিয়ে দিলাম।চোখের পলকেই দেখলাম ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।তার বন্ধু সাথে সাথেই দুর্বা ঘাস তুলে চিবিয়ে কাটাস্থানে দিল।আমি চলে আসতে আসতে পিছন ফিরে দেখলাম।
আমরা ভয়ে দ্রুত পদে চলে আসলাম অনেকটা।তারপর ওরাও আমাদের পিছন পিছন দৌড়ে আসে।
তৌকির আমার হাত থেকে স্কেলটা নিয়ে নেয়।সেও আমার হাতে আস্তে করে স্কেলটা দিয়ে আঘাত করে।তারপর চলে যায় ওরা ওদের পথে।
আমার পড়নে ছিল কালো প্রিন্টের হাতা কাটা ফ্রক।হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলাম অল্প একটু কেটেছে।
এই ঘটনার পর থেকেই দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম।কখন কি হয়!সে নিশ্চয় বাড়িতে বিচার নিয়ে আসবে।এই দুর্ভাবনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা তিন বান্ধবী।ঘটনা ঘটালাম আমি তাই আমার চিন্তাটা একটু বেশি করছিল।আমরা বিকেলে খেলতে গিয়েও শান্তি পাচ্ছিলাম না।এই শত দুশ্চিন্তার মধ্যেই আমার কাছে খবর এল বাড়িতে ওরা বিচার নিয়ে এসেছে।
আমি দৌড়ে বাড়ি গেলাম।উঠানে ছড়ানো মায়ের শাড়ির আঁচলের নিচে ভয়ে লুকিয়ে শুনতে লাগলাম বিচার কর্মশালা।
আমার ভাইকে তৌকির বলল যে আমি তাকে ভেংচি দেই এটাই আমার অপরাধ।শুনে কিঞ্চিত মিটিমিটি হেসেছিলাম তখন।
কয়েকদিন পরে তৌকির রিনা বীণার মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাব দেয়।বান্ধবীরা আমাকে একটু জানিয়ে নিজেরাই নিষেধ করে দিল।শরীরের আঘাত মনে ঠেকে।আর তাতেই প্রেম জেগে উঠেছিল।প্রেম কি এত সহজেই জাগে!!
সেই স্টিলের স্কেলটা অনেকদিন আমার কাছেই ছিল।তারপর কিভাবে যেন হারিয়ে গেল!!
শৈশবে আমার বান্ধবী ছিল রিনা বীণা(ছদ্মনাম)।ওদের বাড়ি আমাদের বাড়ির কাছেই।আমরা একসাথে স্কুলে যেতাম।বিকেলে একসাথে ----গোশত,বৌ-ছি,দাড়িয়াবান্ধা,ফুটবল খেলতাম।দাড়িয়াবান্ধা খেলাটা ভাল খেলতে পারতাম।আমি ছোটবেলায় সব ধরনের খেলাই খেলতাম।তখন ত আর খেলার লিঙ্গ বুঝতাম না!
বড় হয়ে দেখলাম খেলাগুলো নারী পুরুষে বিভেদ করা।তারপর আর খেলা হলো না।ক্লাশ সেভেনে পড়ার সময় স্কুলে দাড়িয়াবান্ধা খেলতে আমার ভাই দেখে ফেলেন।তারপর নিষেধাজ্ঞা পেয়ে প্রিয় দাড়িয়াবান্ধা খেলার ইস্তফা দিলাম।
আমার শৈশব কৈশোর ছিলো ----রংধনুর সাত রঙে রঙিন,অজস্র স্মৃতির সমারোহে ঢাকা।গ্রামের খোলামেলা নির্মল পরিবেশে অবাধে প্রকৃতির টানে বড় হয়েছি।গ্রামের ----- বিশুদ্ধ হাওয়া,জল, বৃক্ষ,মাটি,মাঠ,ঘাট সবই মিশে আছে আমার অস্তিত্বের সাথে।
প্রাইমারী স্কুলে পড়ার সময় ছেলেদের সাথে আমাদের প্রায়ই তর্ক হত।কে কোথায় খেলবে এইসব নিয়ে।আবার সম্পর্ক ভালো থাকলে একসাথে খেলতাম এমন নজিরও আছে।একবার একসাথে খেলতে গিয়ে এক মেয়ে ক্লাশমেট পুকুরে পড়ে গিয়েছিল।
ক্লাশ থ্রীতে পড়ার সময় পরীক্ষা(যে কোন এক সাময়িক পরীক্ষা) শুরু হওয়ার আগে ছেলেগুলার সাথে খুব ভাল রকমের তর্ক হয়।রিনা বীণা আরও অনেকে ছিলাম একসাথে।তবে আমি তর্কে যেতাম না।শুধু ভেংচি দিতাম।এটাই ছিল আমার অপরাধ!
আমি আর আমার বান্ধবীরা পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম।এমন সময় ফোরে কিংবা ফাইভে পড়া দুজন ছেলে দৌড়ে এসে আমাদের পথ আগলে দাড়াল।ছেলেগুলার বাড়ি আমাদের বাড়ির পাশেই।তাদের একজন তৌকির(ছদ্মনাম) হঠাৎ করেই কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার মাথায় থাপ্পর দিয়ে দেয়।ছোটবেলা আমার চুলে বক্স কাট থাকত।আর চুল কেউ এলোমেলো করে দিলে খুব রাগ হতো।
ওই মুহূর্তে আমার হাতে ছিল স্টিলের স্কেল।অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করেই তৌকিরের বাহুতে স্কেলটা বসিয়ে দিলাম।চোখের পলকেই দেখলাম ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।তার বন্ধু সাথে সাথেই দুর্বা ঘাস তুলে চিবিয়ে কাটাস্থানে দিল।আমি চলে আসতে আসতে পিছন ফিরে দেখলাম।
আমরা ভয়ে দ্রুত পদে চলে আসলাম অনেকটা।তারপর ওরাও আমাদের পিছন পিছন দৌড়ে আসে।
তৌকির আমার হাত থেকে স্কেলটা নিয়ে নেয়।সেও আমার হাতে আস্তে করে স্কেলটা দিয়ে আঘাত করে।তারপর চলে যায় ওরা ওদের পথে।
আমার পড়নে ছিল কালো প্রিন্টের হাতা কাটা ফ্রক।হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলাম অল্প একটু কেটেছে।
এই ঘটনার পর থেকেই দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম।কখন কি হয়!সে নিশ্চয় বাড়িতে বিচার নিয়ে আসবে।এই দুর্ভাবনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা তিন বান্ধবী।ঘটনা ঘটালাম আমি তাই আমার চিন্তাটা একটু বেশি করছিল।আমরা বিকেলে খেলতে গিয়েও শান্তি পাচ্ছিলাম না।এই শত দুশ্চিন্তার মধ্যেই আমার কাছে খবর এল বাড়িতে ওরা বিচার নিয়ে এসেছে।
আমি দৌড়ে বাড়ি গেলাম।উঠানে ছড়ানো মায়ের শাড়ির আঁচলের নিচে ভয়ে লুকিয়ে শুনতে লাগলাম বিচার কর্মশালা।
আমার ভাইকে তৌকির বলল যে আমি তাকে ভেংচি দেই এটাই আমার অপরাধ।শুনে কিঞ্চিত মিটিমিটি হেসেছিলাম তখন।
কয়েকদিন পরে তৌকির রিনা বীণার মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাব দেয়।বান্ধবীরা আমাকে একটু জানিয়ে নিজেরাই নিষেধ করে দিল।শরীরের আঘাত মনে ঠেকে।আর তাতেই প্রেম জেগে উঠেছিল।প্রেম কি এত সহজেই জাগে!!
সেই স্টিলের স্কেলটা অনেকদিন আমার কাছেই ছিল।তারপর কিভাবে যেন হারিয়ে গেল!!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮