ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখতে কার না ভাল লাগে। আমরা স্বপ্ন দেখি সাধারণত যা আমাদের চিন্তায় থাকে, আবার কোনদিন চিন্তা করিনি এমন কিছুও স্বপ্নে চলে আসে। কিছু স্বপ্ন আছে দেখার পর মনে হয় আরো কিছুক্ষন দেখতে পারতাম বা কখনো কখনো এর পরবর্তী পর্ব দেখার ইচ্ছা হয়। আবার কখনো কখনো খুব কাছের মানুষকে স্বপ্নে অন্তরঙ্গ ভাবে পেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু ইচ্ছা করলেইতো হবে না কারণ আমরা স্বপ্নে কি দেখব না দেখব তা ইচ্ছার উপর নির্ভর করে না।
আমি আজ কিছু গবেষণামূলক তথ্য দিব যার দ্বারা আপনি নিজের ইচ্ছায় যে কোন ধরনের স্বপ্ন দেখতে পারবেন।
১. স্বপ্নে যা দেখতে চান সারা দিন এটা নিয়ে চিন্তা করুন।
২. বিছানায় যাওয়ার আগে অবশ্যই চা বা কফি খাবেন যেন শুয়া মাত্রই ঘুম চলে না আসে।
৩. ঘুমানোর অন্তত ৩ ঘন্টা আগে রাতের খাবার খাবেন, তবে খেয়াল রাখবেন যেন ভুড়িভোজ না হয়।
৪.ঘুমানোর আগে বেশী পানি খাওয়া যাবে না, তাতে স্বপ্নের সময় টয়লেট চাপলে সব পরিকল্পনা শেষ হয়ে যাবে।
৫. রাতে খাওয়ার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়ার মাঝখানে কারো সাথে কথা বলা, ফোন করা, ব্লগিং করা বা টিভি দেখা সম্পূর্ণ নিষেধ। তবে যে বিষয়ে স্বপ্ন দেখতে চান সে রিলেটেড কিছু করা যাবে, যেমন প্রেমিকাকে দেখতে চাইলে ফোনে তার সাথে কথা বলা যাবে, বলিউডের কোন স্টারকে দেখতে চাইলে তার মুভি দেখা যাবে ইত্যাদি।
৬. মশার উপদ্রব থাকলে অবশ্যই ঘরকে মশামুক্ত করতে হবে। মশারির ভিতর যেন কোন অবস্থাতেই মশা না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
৭. চেষ্টা করবেন বিছানায় একা ঘুমাতে, যদি সম্ভব না হয় তবে একা একা ফ্লোরিং করতে পারেন। কোন অবস্থাতেই এক বিছানায় ২ জন শুয়া যাবে না, তাতে মারাত্মক বিপর্যের সম্ভাবনা আছে।
৮. ঘুমানোর সময় বিছানায় মোবাইল, এলার্ণঘড়ি ইত্যাদি রাখা সম্পূর্ণ নিষেধ।
৯. কোল বালিশ ব্যবহারে ভাল ফল পাওয়া যায়। এক গবেষনায় দেখা গেছে যারা কোল বালিশ নিয়ে ঘুমায় তারা কাঙ্খিত স্বপ্ন সহজেই দেখতে পারে এবং স্বপ্নের স্থায়িত্বও বেশী হয়।
১০. কাঙ্খিত স্বপ্নের জন্য নির্দিষ্ট কোন দিন তারিখ নাই তবে বন্ধের আগের দিন রাত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য উত্তম। গবেষনায় প্রমাণিত যে যারা সাফল্যের সাথে প্রত্যাশিত স্বপ্ন দেখেছেন তাদের প্রায় ৮০ ভাগ লোকের পরের দিন ছুটি ছিল।
তবে আর দেড়ি কেন এখনই স্থির করে ফেলেন আজ রাতে কি স্বপ্ন দেখবেন এবং সেই সাথে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে থাকুন। আপনি কতটুকু সফল হয়েছেন তা অবশ্যই আগামিকাল ব্লগে শিয়ার করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে